Tuesday, May 3, 2016

আমাদের সকুলের গেইটাও চেঞ্জ হয়ে গেছে


আমাদের সকুলের গেইটাও চেঞ্জ হয়ে গেছে।আমার আগের গেইটাই ভাল লাগতো।খুব মনে পড়ে সেই দিনের কথা।যখন এসেন্মলি হতো পিটি স্যার বলে দিত সবাইকে আট টার আগে সকুলে ঢুকতে হবে আর না হলে গেইটের বাহিরে দাড়ায় থাকতে হবে।আমি অনেকবার গেইটের বাহিরে দাড়ায় থাকতাম।পারতাম না আগে আসতে।আবার আসলে অনেক লাইন ধরতাম না আমরা কয়জন ক্লাসে বা বাথরুমে লুকায় থাকতাম।অনেক রোদ হলে তাই-ই করতাম।কিনতু বাদলবাবু স্যার এসে চেক করতো।ধরাও কাইচি বহুবার।পরে যখন নাইন/টেনে তখন আমরাইতো জাতীয় সংগীত গাইতাম।ও অনেক মজার দিনগুলা সব হারায় গেল।আবার ছেলেদের এসেম্লির সময় ছিল আমাদের টিফিন টাইমে।তখন কত বদমাইশি করতাম।পিটি স্যার বলতো ছেলে লাইন চলাকালীন সময় মেয়েরা বের হবে না।কিনতু তারপরও আমরা বের হতাম।আমি তো অনেক সময় টিফিন পিরিয়ডে বাসায় জেতাম যে আর আসতাম না।এ রকম অনেকবার করেছি।আর আমরা পিছনে জানালা দিয়ে দেখতাম বড় ভাইয়েরা কবরস্থানের ওদিকে টিন টপকিয়ে সকুল পালাচছে।আর খালের পাড়ে,বইজ্জার বাগানে বসে টাস খেলছে।

ভেবেছিলাম চাচীকে দেখে এসেই তার অবস্থাটা সবাইকে জানাব


ভেবেছিলাম চাচীকে দেখে এসেই তার অবস্থাটা সবাইকে জানাব। আমি দুখিত সেটা করতে পারিনি. 
সময় ও মনের অবস্থার কারনে।

তবে এর মধ্যে কথা বলেছি পলাশের সাথে। খুব শিঘ্রী বসব তোমাদের কয়েকজনের সাথে।। ভালো কিছু করার জন্যই একটু সময় নিছছি।

চাচীর বরতমান শারিরীক অবস্থা, মনের অবস্থা,আর্থিক অবস্থা সবই ভংগুর। এ অবস্থায় আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

সব হারিয়ে এই 'একা' হয়ে যাওয়া মানুষটির উদ্দেশ্যে আমরা সবাই বলি :

"কেদো নাকো মা, 
তোমার সন্তানেরা ঘুমিয়ে পড়েনি ---"
বলবতো?

সকলের অনুমতি প্রার্থনাপূর্বক লেখাটি আবার পোস্ট করছি


এই লেখাটি গত বছর জুলাই বা আগস্টের দিকে লিখেছিলাম আমার টাইমলাইনে, উল্লেখ্য এই লেখাটিই ছিল আমার কলোনি নিয়ে উল্লেখ করার মত স্মৃতি চারন মূলক প্রথম পোস্ট।পরবর্তিতে এই সিএসএম পেজে লেখাটি আবার দেই, দুর্ভাগ্যবশত লেখাটি কিছুদিন পর ডিলিট হয়ে যায়। সকলের অনুমতি প্রার্থনাপূর্বক লেখাটি আবার পোস্ট করছি।

কলোনিতে কারেন্ট চলে যাওয়া মানে আমাদের কাছে ছিল চাঁন রাতের মত, এমনই এক অন্ধকার চাঁন রাতে আমি, মনিরুল,দুলি আর মরা রাশেদ ( মোর্শেদ ভাইয়ের ছোট ভাই) তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা কে বি এম শাহজাহান (C9)ভাইদের ডাব গাছ থেকে ডাব চুরি করতে গেছি, তুলনামূলক ওই গাছটি একটু নীচু ছিল।আমাদের মাঝে শুধু রাশেদই গাছে উঠতে পারে। তাই রাশেদ কে গাছে তুলে দিয়ে বাকী আমরা তিনজন একটু দূরেই সোনালি ব্যাংকের পিছনে চুপচাপ বসে আছি, একটু পরেই ধূপ করে শব্দ, তার মানে আমরা ধরে নিয়েছি রাশেদ উপর থেকে ডাব ফেলেছে। আমরা তিনজনই গাছের কাছাকাছি গিয়ে অন্ধকারে কোন ডাব দেখতে না পেয়ে উপরে গাছের দিকে তাকিয়ে রাশেদ কে উদ্দেশ্য করে বললাম রাশেদ ডাব কই ফেলছস, কয়েক সেকেন্ড পর নীচের অন্ধকার ঝোপ থেকে রাশেদের কাতর কন্ঠ স্বর "অডা ডাব ন ফরে, আঁই ফরি গি" ( ডাব পড়ে নাই, আমি পড়ে গেছি)। এর মধ্যেই শাহজাহান ভাইদের বাসা থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেছে, কোন মতে মৃদু আহত রাশেদ কে টেনে হিচড়ে আবারো সোনালী ব্যাংকের পিছনে লুকিয়ে থাকলাম।

চুলার উপর ভাত বসাইয়া সিএসএম পেজে ঢুকলাম


চুলার উপর ভাত বসাইয়া সিএসএম পেজে ঢুকলাম, দেখি তৈলের ছড়াছড়ি এই জন্যেই তো গতকাল মুরগী রান্না করতে গিয়ে দেখি তৈল সর্ট তা এখন বুঝতে পারলাম । বৌয়ের সাথে ফোনে কথা হলো , বললাম- কবে আসবা । উত্তরে বলে- কেন ? তোমার সিএসএম আছে না ! 

এখন কি আর অফিস থেকে এসে রান্না করতে মন চায় ? বৌয়েরা কেন জানি সিএসএম-কে তাদের প্রতিধন্ধি মনে করে ? 

অবশ্য Nazmul Huda নাজমুল ভাই গত দুইদিন আগে ওনার বাসায় যেতে বলেছিল । অনেক দিন আগে Jafar Alam Alam জাফর ভাই বলেছিল- আরে কোন সমস্যা হলে আমার এখানে চলে আসবি ! পতেঙ্গায় যাওয়া আর বড়পোল থেকে নোয়াখালী যাওয়া একই কথা । 

এভাবে আরো কয়েকটা দিন থাকতে হবে , অফিস থেকে এসে রান্না করা তারপর খাওয়া । ও আমার চট্টগ্রামের বড় ভাইরা এই কয়েকটা দিনের মধ্যে কি সিএসএমের কোন খাওয়ার প্রোগ্রাম/আয়োজন হবে না । হলে তো ভালই হয় অন্তত একটা দিন রান্না করা থেকে মুক্তি পেতাম । কোন বিয়ে শাদিও কি নাই ? 

যাক অবশেষে পেজে লিখতে লিখতে ভাতটা হয়ে গেছে , মুরগীটা তো গতকালের রান্না করা আছে, ফ্রিজ থেকে বের করে একটু গরম করে নিলেই হবে, আজ এতেই চলে যাবে । আগামীকাল যদি কোন প্রোগ্রাম থাকে , বড় ভাই সহ সবাইকে বিনীত অনুরোধ একটা হেলো করলেই হবে - তাতে এই বান্দা হাজীর হবেই আর রান্না করা থেকে একটা দিন রেহাই পেতাম !!!!!

কষ্ট থেকে মুক্তি পাবার একটা চরম সত্য হল, কস্টটা পেতেই হবে


কষ্ট থেকে মুক্তি পাবার একটা চরম সত্য হল, কস্টটা পেতেই হবে। কস্টকে পাশ কাটিয়ে আমি কিংবা আমরা ভাল থাকতে পারবো না। কেউ একজন কোন এক সময় আমাকে ছেড়ে চলে গেছে ? আমি যাই ভাবি না কেন রাতের একটা সময়ে কষ্টটা (নিরব ঘাতক) আমাকে পেতেই হবে। কস্ট থেকে মুক্তি পাবার এর আসলে কোন উত্তর আমার জানা নেই।

আমি কিংবা আমরা নিজের কস্টকে ভূলে থাকার জন্য হয়ত কিছুক্ষণ জোর করে অন্যকে হাসাতে পারব, কিছুটা সময় বন্ধুদের আড্ডা সাথে নিজেকে মানিয়ে নিবো, কিংবা মুভি দেখে ঘন্টা তিনেক সময় পাড় করতে পারবো সর্বপরি, বাসায় ফিরে ক্লান্ত শরীরে পরিবারের সাথে কিছুটা সময় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু কাজ হবে না, রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে সেই কস্ট আমাকে সহ্য করতে হবে।

চোখের জল আটকে রাখা যায়না। তাই যতদুর কান্না করা যায় কান্না করতেই থাকো নিরবে, একাকীত্বে। একটা সময়ে দেখবো চোখেরা আর কান্না করতে পারে না। সহ্য হয়ে যায় একটা সময়ে। কস্টকে সহ্য করতে জানতে হয়। সবাই সহ্য করতে পারে না। জীবন চলার পথে সৃস্টিকর্তা যেন আমাদের সকলকে সেই সহ্য করার শক্তিটুকু দেন।

একটা কাজ করতে হবে,টাকা দরকার,অনেক টাকা


একটা কাজ করতে হবে,টাকা দরকার,অনেক টাকা। হাতে এক কানাকড়িও নেই। এদিক সেদিক উদভ্রান্তের মত টাকার জন্য ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। অবশেষে টাকা যোগাড় হলো। তার মাঝে একজন থেকে চারশত টাকা নিয়েছিলাম। এরপর এই জীবনে কত চারশ টাকা হাতের উপর দিয়ে এলো আর গেলো, কিন্ত ঐ চারশ টাকা আর ফেরত দেওয়া হয়নি শুধুমাত্র আমার নিজের অবহেলা আর গাফলতির কারনে। টাকা প্রদানকারী কলোনির ঐ মুরুব্বি স্থানীয় ব্যক্তির সামনে পড়লে লজ্জায় পড়তে হয় আবার টাকা টি ফেরত দিতেও সংকোচ লাগে এই কারনে যে, এতদিন পরে টাকা ফেরত দিতে গেলে উনি কিছু মনে করেন কিনা।এদিকে আজ থেকে বাইশ তেইশ বছর আগের চারশ টাকা তৎকালীন বাজার মূল্য অনুযায়ী অনেক টাকা। সব মিলিয়ে এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি সবসময় এক ধরনের লজ্জায় ও হীনমন্যতায় থাকি।

পরিশিষ্ট, এত কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে সেদিন যে কাজ টি করতে চেয়েছিলাম তার রেজাল্ট পাইনি কোনদিন আর পাবোওনা কোনদিন।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss