Monday, May 9, 2016

সবার নিকট কৃতজ্ঞ


সবার নিকট কৃতজ্ঞ। যারা এসেছেন ও যারা আমার জন্য দোয়া করেছে।বিশেষ করে ছোট ভাই মুরাদ এর কারনে মনে হয় আল্লাহ আমাকে এ যাএায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছে।গতকাল মেডিকেল থেকে বাসায় এসেছি।মেডিকেল এ সাতটা ইনজেকশান দিছি,বাকী দুইটা বাসায় দিলে হবে।নাজমুল ভাই,জসিম ভাই,নিরু ভাই,নুর উদ্দিন।টিংকু,মাসুক ভা ই এসেছিল।মুরাদ কে নিয়ে।ছোট ভাইটি ব্যাস্ততার মাঝে এসে ইনজেকশন দিয়ে গিছে।ভাইটির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।যেন আল্লাহ ভাইটিকে অনেক বড় করে।

আগামী বুধবার ঢাকা আসবো।রিমুর ওখানে এনজিওগ্রাম করতে হবে।সবাই দোয়া কইরেন যেন আল্লাহরর রহমতে অল্পতে সেরে উঠতে পারি।

আর পরিশেষে যদি আমি কখনো কোন কাজে কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকি আমাকে মাপ করে দিবেন।সবাই কে অনেক শুভেচ্ছা।


যখন স্টিল মিল কলোনীর বাসায় ছিলাম


যখন স্টিল মিল কলোনীর বাসায় ছিলাম,বাসার বারান্দা থেকে এয়ারপোর্টে নামতে থাকা বা উঠতে থাকা প্লেনগুলো খুব কাছাকাছি দেখা যেত । রাতের আকাশে লাল সবুজ বাতি জ্বালিয়ে বুম বুম করে চলে যাওয়া প্লেনগুলো এই ছোট্ট আমি মুগ্ধ চোখে দেখতাম,অবাক হতাম আর ভাবতাম প্লেনগুলোর ভেতরের মানুষগুলো কি আমাদের দেখতে পায়??
বাসার ভেতর থেকে মা ডেকে বলতেন,"তরু,এক্ষুনি পড়তে বোসো"
বিরস মনে পড়ার টেবিলে যেতে যেতে ভাবতাম একদিন অনেক বড় হবো,পড়ালেখা থাকবেনা, তখন সারারাত বারান্দায় বসে শুধু প্লেন দেখবো...

স্টীল মিল কলোনীর সেই বাসা ছেড়ে এসে আজ ৯বছর । 
এখন অনেক বড়ও হয়েছি,যতটুকু বড় হলে সবাই বড় বলে গন্য করে-ততটুকু...
অবসরও থাকে বেশ । কিন্তু প্লেন দেখা হয়না আর । বিশাল বিশাল দালানকোঠা,সশব্দে এগিয়ে চলা হরেক রকম যানবাহন আর রাতের আঁধারকে হার মানানো দানব ফ্ল্যাশলাইটগুলোর এই যান্ত্রিক শহরে ঠিকঠাক আকাশটাই দেখা হয়না আজকাল ।
আজ আকাশে ক'টা তারা উঠলো,তারাগুলোর কি নাম দেয়া যায়, প্লেনগুলোর মানুষগুলো কেমন- এসব কিচ্ছু ভাবা হয়না আর ।
অবসর কাটে মুভি দেখে বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মানুষের শো অফ দেখে ।
ছেলেবেলা কেটে গেলো,সাথে সাথে সব ইনোসেন্ট সুখগুলো ও যেন নিয়ে গেলো ।
বিকেলে মাঠে একটু বেশিক্ষন খেলতে পারা বা রাতে বারান্দার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে একটু বেশিক্ষন প্লেন দেখতে পারা- কি অল্পতেই না মন হেসে উঠতো ।

কিচ্ছু হয়না এখন আর । কিচ্ছুনা । আজ বহুদিন পর ছাদে উঠে হা করে প্লেন দেখতে দেখতে ভাবছি
বড় হয়ে কি খুব অপরাধ করে ফেললাম??
Now I know why some people say,
"Don't grow up,it's a trap"!!!!!

গত কয়েকদিন শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না


গত কয়েকদিন শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। গত পরশু রাত বারটার সময় ডাক্তারের সিরিয়াল পেয়েছিলাম। ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। গতকাল টেস্টগুলা করতে পারি নাই। তাই আজকে সকালে গেলাম। কাউন্টারে টাকা জমা দিয়ে স্যাম্পল কালেকশান রুমের বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছু সময় পরে ডাক দিলেন। রুমের ঢুকার পরে একজন কম বয়স্ক মহিলা (সম্ভবত বিবাহিতা) জিজ্ঞাসা করলেন কি নাম? নাম বললাম। আবার উনি বললেন আপনি কি রুগি? আমি বললাম কোন সমস্যা? উনি বললেন সমস্যা নাই, বসেন। উনার সামনে বসলাম। ব্লাড নেওয়ার জন্য উনার প্রস্তুতি শেষ করে বললনে বাম হাত দেন। আমি বাম হাত দিয়ে বললাম এই পাশে চেষ্টা করেন। উনি আমার কথা না শুনে সচরাচর যেখান থেকে ব্লাড নেওয়া হয় সেখান থেকে যখন রক্ত নিতে যাবে, তখন আমি আবার বাঁধা দিলাম। আমাকে উল্টা বলতে লাগলেন আমি পাঁচ বছর ধরে এই কাজ করছি। একথা শুনে আমি আর কিছু বলি নাই। উনি আমার বাম হাতে সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে অনেক ট্রাই করলেন কিন্তু রক্ত বের হলো না। মাথা গরম হয়ে গেল। এবার আমি বলতে লাগলাম আপনি পাঁচ বছর ধরে রক্ত নেন আর আমি সন্ধানিকে ১৯৯০ সালে প্রথম Blood donate করেছি। এবার এই মেয়ের চেহেরা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। মুখে কোন কথা নাই। পরে তাদের সিনিয়র এক ভাইকে বললেন ভাইয়া ওনার স্যাম্পলটা কালেক্ট করেন। ভদ্রলোকটি বললেন আপনার ডান হাত দেন। তখন আমি হাত দিয়ে বললাম ভাই এই পাশে ট্রাই করেন। লোকটি আমার কথা মত ট্রাই করলো এবং সাথে সাথে পেয়ে গেলো।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss