রোজার প্রথম ১০ দিন হল রহমত এর দিন, রহমত এর ১০ দিনের ১ দিন আজ পার করলাম খুব ভাল ভাবে কোন কস্ট ই অনুভব হয় নাই তেমন গরম ও লাগে নাই সবই আল্লার ইচ্ছা,আমি আমার কথা বললাম আমি সবার কথা জানি না, তবে আশা করছি সবাই খুব ভাল ভাবে রোজা ও নামাজ পড়ে রহমতের প্রথম দিন পার করেছেন,আল্লাহ আমাদের কে বাকি দিন গুলো নামাজ ও কোরান পড়ে ,রোজা রেখে পার করার তোফিক দান করুক।সবাই আমার সাতে এক মত হবেন আশা করছি।আমিন।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Tuesday, June 7, 2016
এক ছোট ভাইয়ের অনুরোধে ঢেকি গিলি....
"রোজা মোবারক"
কলোনীর প্রথম সময় কার কথা।১৯৮৮-৯০ সময় কাল টা এমন।
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় প্রথম আসি কলোনীর সি/১০/এ তে।বাচ্চা কাল,এক দংগল বাচ্চাকাচ্চা খেলার সাথী মিলে গেল।সারা বিকেল হৈ হৈ রৈ রৈ, খেলা ধুলা।বাসার সামনে বড় একটা মাঠ।মেয়েদের খেলার দখলেই থাকত সারা বিকেল।কত ই বা বয়স এক এক জনের? ফ্রক পড়া আউলা ঝাউলা চুলে মাঠ ধাপিয়ে বেড়ানো বাচ্চা মেয়েগুলা তখন রংগীন শৈশবে দৌড় ঝাপে ব্যাস্ত।।
নিত্য খেলার পর মাগরেবের আজান দেয়ার সাথে সাথে মুরগী খোয়াড়ে ঢুকার মত তারাও বাসায় ঢুকে যেত।
ব্যাতিক্রম হাতে গোনা কয়েক দিন।
যেমন,শাওয়াল মাসের শুরু টা। বাচ্চা গুলা আরো অনেকের মত সন্ধ্যে হলেও বাসায় যেত না।গেলেও তিড়িং বিড়িং করে আজানের পর পর ই আবার মাঠে।
চোখ,সেই দূর আকাশের ওপারে।এ মাথা থেকে ও মাথা খোঁজাখুঁজি। আতিপাতি করে চলে চিরুনি অভিযান।কই কই কই????
হঠাৎ ই হয়ত কারো চোখের কোনে ধরা পড়ে এক ফালি চিকন রুপার বক্রপাত। উল্লাসের মাত্রা ছাড়িয়ে চিৎকার "ঐ তো রোজার চাঁদ "। সাথে সাথে চোখ জোড়া চলে যেত নিদৃষ্ট কোনে। নতুন চাঁদ দেখে নাকি সালাম দিতে হয়।তাই হাত ও উঠে যেত সালামের ভংগিতে। এক দিকে মিলের সেই সাইরেন বেজে উঠতো রোজার আগমন বার্তা জানিয়ে দিতে, অন্যদিকে মসজিদে আজান।
শুরু হয়ে গেলো সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস
শুরু হয়ে গেলো সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস। বারোটি মাসের মাঝে ব্যাতিক্রমী একটি মাস। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের প্রতিটি রমজান মাসই সম মর্যাদার। কিন্তু আমি যখন আমার "ব্যাক্তি বা সামাজিক জীবনে রোজার মাস" নিয়ে চিন্তা করি তাহলে নির্দিধায় বলা যায় কলোনি জীবনের মত এতো মজার রমজান মাস আর কখনওই পাবোনা।
কলোনিতে রমজান মাস আমাদের কাছে যত না ধর্মীয় ব্যাপার ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল কলোনির সামাজিক উৎসব। এর ওর বাসায় ইফতার আদান প্রদান ছিল সেই সামাজিকতার অন্যতম অনুষঙ্গ। এমনকি অন্য ধর্মাবলম্বী রাও এ উৎসব থেকে কখনো বাদ পড়তোনা।
আজকাল কার দিনের মত রোজার সময় স্কুল কলেজ গুলো খোলা থাকতো না, ছিলনা পড়াশোনার যান্ত্রিক চাপ। অনেকটা রিলাক্স মুডেই মাস পার করে দিতাম। জোহর নামায শেষে ক্যারাম, দাবা অথবা দিন ব্যাপী কার্ড খেলা, আছর নামাজ শেষে একটু আড্ডা। ইফতার শেষে দলবেঁধে মাগরিবের নামাজ তারপর জেক্সে গিয়ে সিগারেট আর চা য়ের তুমুল আড্ডা। তারাবির সময় নামাজ ফাঁকি দিয়ে পড়ে থাকতাম আম গাছ আর ডাব গাছের কাছে। অথবা বিশেষ কারো সাথে এক টুকরো হাসি আদান প্রদান।আরো কত কিছু।
আসলে সেই দিন গুলির কথা কখনো লিখে বা বলে শেষ করা যাবেনা বা কাউকে বোঝানো যাবেনা।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!