বার্ষিক পরিক্ষার রেজাল্টের পর যখন নতুন ক্লাসে ঢুকলাম। দেখি আমাদের চিরাচরিত পিছনের সারির বেঞ্চে(গুনধরদের স্থায়ী আসন)নতুন মুখের পুরাতন বাসিন্দা। আমাদের নতুন ক্লাসের নাম ৭ম শ্রেণী। পূর্বের বছরের অভিজ্ঞতা সস্পূর্ন যে বন্ধুকে আমরা পেলাম, তার এক মাথা কাচা পাকা চুলের জজ্ঞাল। গায়েগতরে আমাদের চেয়ে বেশ ভোলা-ভালি। চেহারায় রাজ্যের লজ্জা- শরম নিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে। কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের ভীষণ রকম বন্ধুত্ব হয়ে গেল। কিন্তু সমস্যা হলো পিছনের বেঞ্চের গুনধর ছাত্ররা বিদ্যা অর্জন ছাড়া যেমন বিচিত্র সব গুনের(!!) অধিকারী হয়। তার তেমন কোন গুনই ছিল না। তবে হা, তার একটা বিশেষ গুন ছিল। তা হলো, সে মহা-ধর্য্য সহকারে নির্বিকার স্যারদের প্যাদানি খেতে পারতো। একদিন এক স্যার তাকে আচ্ছা মত মেরে-টেরে বিরক্ত গলায় বললো----“আস্তো একটা পাঠা । তোকে মারাটা পন্ডশ্রম ছাড়া কিছু-ই না”। আমরা তার সমব্যাথি। তাকে বলি স্যাররা মারতে এলে একটু লাফা-লাফি আও-কাউ করলেই তো স্যাররা থেমে যায়। জবাবে সে তার মার খাওয়া জাগায় মালিশ ছাড়া কিছুই বলতো না।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Monday, September 7, 2015
বেসামাল লুংঙ্গি গ্রুপে"র পক্ষথেকে আবারও শুভেচ্ছা
অনেক দিন আগে আমার টাইম লাইনে ছবিটা দিয়ে ছিলাম। কলোনীর সবার জন্য আমাদের "বেসামাল লুংঙ্গি গ্রুপে"র পক্ষথেকে আবারও শুভেচ্ছা।
আমরা লুঙ্গিপড়া ৬হিরো....ডান দিক থেকে আমি-মোজম্মেল-রতন-জামিল-ফারুক(বাবু)-তারপরের জনের নাম মনে করতে পারছিনা। কোন এক সন্ধায় চট্টগ্রাম ষ্টিল মিলের মেইন অফিসের সামনে। যে কালো বারটার উপর আমরা হেলান দিয়ে দাঁড়ানো সেটা ১৯৬৭ সালে ষ্টিল মিলের প্রথম তৈরী ষ্টিলের in got সবই তো বেচা হয়ে গেছে জানি না ঐ ঐতিহাসিক ধতব পিন্ডটা কোথায় আছে.......হৃদয় .ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া ষ্টিল মিলের মানুষেরা কেউ কি জানেন ওটার হদিস...........

বিউটি আপার ক্লাস...
আমরা তখন পড়ি সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণীতে,
বিউটি আপা স্কুলে নতুন যোগদান করেছেন,
পড়াতেন সামাজিক বিজ্ঞান। পড়া দেয়া এবং নেয়ার ব্যাপারে আপা খুব কড়া। পড়া না পারলে কোনও মাফ নেই,
রীতিমত নিয়ম করে পড়া না পারার কারণে ধোলাই চলছে।
টিফিনের পর ক্লাস করা এমনিতেই বিরক্তিকর ছিল। বিউটি আপার ক্লাস ছিল টিফিনের পর প্রথম ঘণ্টায়। কোন এক কারণে আমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন খোরশেদও একদিন ধোলাই খেলো
(পড়া না পারার কারণে নয়)। ধোলাই খেয়ে বেচারা বেশ ক্ষেপে গেল। নিয়মিত ধোলাই খাওয়ারা তো আগে থেকেই ক্ষেপা। তো একদিন নিয়মিত ধোলাই খাওয়ারা ঠিক করলো যে ক্লাস পণ্ড করা হবে। খোরশেদ ব্যাপার টাতে পূর্ণ সমর্থন দিল । কথামত টিফিনের সময়, রানা এবং আরও দুই একজন মিলে গন্ধ ভাদালি পাতা
(পাদানি পাতা)
এনে বোর্ডের আশপাশে আর স্যারদের চেয়ারের এবং টেবিলের তলায় ভাল করে ঘষে রাখল।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!