জাফর স্যার, আমাদের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন অসম্ভব কড়া মেজাজের আর প্রচুর ধূমপান করতেন অথচ তাঁর ক্লাসে কেউ কাশি দিলে বলতেন “কিরে ব্যাটা গাঁজা খেয়েছিস নাকি, এগুলো খাসনে, দেখছিস না আমি ধূমপান করে শেষ” স্যারের ক্লাস খাকতো পিনপতন নিরবতা, কেউ কথা বললেই তার উপর চলত “ধামাধাম মাসকালান্দার” এবংপ্রায়ই দিনই এ জিনিস টা আমার উপর প্রযোগ করা হতো। স্যারের ক্লাসে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। যেহেতু Mahabub Rashel আজ স্যারকে নিয়ে লেখা শুরু করেছে তাই রাসেলকে জানিয়েই আমরা কাহিনী গুলোর ছোট্ট কিছু অংশ লিখছি।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Monday, January 4, 2016
আমাদের জাফর স্যার
জাফর স্যারের ক্লাস মানেই ক্লাসে শুনশান নীরবতা, সবার বুকে ধুপ-ধুপ আর চোখ পিট-পিট করতে থাকা !!! চোখতো কোন
ভাবেই খোলা রাখা যায় না !!! আবার ঘুমানোও যেতো না, কারন ঘুমাতে দেখলেই স্যার দাড়া করিয়ে জিজ্ঞেস করবেন
............ Spelling কর । যাদের ঘুমের
সমস্যা আছে তাদের জাফর স্যারের ক্লাসে বসিয়ে দিলে ৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম এসে যাবে
এটা সিউর।
জাফর স্যারের ক্লাস টাইমিং ছিলো একেবারে নিখুত, ঘন্টা শুরু সঙ্গে সঙ্গে জাফর স্যার বিদ্যুতের গতিতে ক্লাসে
হাজির, আবার ঘন্টা শেষ হলে,
পড়া যে অবস্থায় ছিলো সেই অবস্থায় রেখে,বই বন্ধ করে বিদ্যুতের গতিতে ক্লাস থেকে বাহির।
আর স্কুলে পড়ার সময় আমাদের চিরাচরিত বদঅভ্যাস ছিলো, ক্লাস থেকে ছোট টয়লেটের নাম করে বাহিরে একটা চক্কর দিয়ে
আসা।
Subscribe to:
Posts (Atom)