জাফর স্যারের ক্লাস মানেই ক্লাসে শুনশান নীরবতা, সবার বুকে ধুপ-ধুপ আর চোখ পিট-পিট করতে থাকা !!! চোখতো কোন
ভাবেই খোলা রাখা যায় না !!! আবার ঘুমানোও যেতো না, কারন ঘুমাতে দেখলেই স্যার দাড়া করিয়ে জিজ্ঞেস করবেন
............ Spelling কর । যাদের ঘুমের
সমস্যা আছে তাদের জাফর স্যারের ক্লাসে বসিয়ে দিলে ৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম এসে যাবে
এটা সিউর।
জাফর স্যারের ক্লাস টাইমিং ছিলো একেবারে নিখুত, ঘন্টা শুরু সঙ্গে সঙ্গে জাফর স্যার বিদ্যুতের গতিতে ক্লাসে
হাজির, আবার ঘন্টা শেষ হলে,
পড়া যে অবস্থায় ছিলো সেই অবস্থায় রেখে,বই বন্ধ করে বিদ্যুতের গতিতে ক্লাস থেকে বাহির।
আর স্কুলে পড়ার সময় আমাদের চিরাচরিত বদঅভ্যাস ছিলো, ক্লাস থেকে ছোট টয়লেটের নাম করে বাহিরে একটা চক্কর দিয়ে
আসা।
ঠিক এই বদ অভ্যাসের কারনেই একদিন জাফর স্যারের ক্লাস শুরুর আগে কিরন (স্বপনের
ভাই) টয়লেটের নাম করে গেলো চক্কর দিতে, এদিকে ঘন্টা বাজলো জাফর স্যার সাথে সাথে ক্লাসে হাজির। কিরন তড়িঘড়ি করে ক্লাসে
ঢুকবে কিন্তু মাত্র মিনিটের ব্যাবধানে ঢুকতে গিয়ে দেখলো জাফর স্যার হাজীর !!!
কিরনকে দেখে জাফর স্যারের প্রশ্ন,
জাফর স্যার :......... কোথায় গিয়েছিলি ?
কিরন :................. স্যার টয়লেটে !!!
জাফর স্যার :......... বেটা ইংরেজীও বলে দেখি !!! টয়লেট Spelling কর।
কিরন :................. বেটা তো হার্টফেল করে অবস্থা !!! এই অবস্থায় টয়লেট Spelling
কি আর বের হয় !!! জাফর স্যারের ভয়ে টয়লেট Spelling
পর্যন্ত ভুলে গেলো। হা হা হা
সে এক করুন ইতিহাস!!!
কি আর করা অতঃপর স্যারের সেই ঐতিহাসিক ধোলাই।
বিঃ দ্রঃ - জাফর স্যারের ঐতিহাসিক ধোলাই যে একবার খেয়েছে, অন্যা স্যারের ধোলাইয়ের কথা মনে না থাকলেও, এই ধোলাই মনে থাকবে আজীবন।
আল্লাহ আমাদের শ্রদ্ধেয় জাফর স্যারকে ভালো রাখুক।
No comments:
Post a Comment