Wednesday, June 29, 2016

কি যে ভাল লাগলো


কি আনন্দ,কি হাসিমুখ,কি উৎফুল্ল,
কি যে প্রান চাঞ্চল্য,কি দারুন তারুন্য
কি যে খুশির ভাব সবার চোখে মুখে,
মুখে মুখে ভাব বিনিময়
হাতে পায়ে কি কর্মব্যাস্ততা!

শুধু এক মহান উছিলায়(ইফতার পার্টি) সবার সাথে সবার দেখা,CSM ছাড়া আর কোথাও এমন মিলন মেলা
রিয়া ভাবী,দেখলে তো তোমার ছেলেরা সত্যি অনেক বড় হয়ে গেল। তাইনা?

বহুদিন পর তুমি,মোমিন ভাই,মোসাদ্দেক,অচেনা বোন টি(মিসেস মোসাদ্দেক) কে আবার নতুন করে পেলাম।মেরাজ খান মজলিস ভাই কি হাসি মুখে পরিচয় দিলেন।ভেবেছেন ভুলে গেছি,ভুলিনি তো। আর রিয়া,তুমি তো বলেই ফেল্লে-- আপনি কিন্তু আমাকে "তুমি" বলতেন। 

আহ,কি মধুর স্মৃতি গুলো স্মরনে এনে দিলে।কত টুকু আপন হলে এ কথা বলা যায়? কর্ম জীবনের কচি কোমল হাত গুলো আজ শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে মহীরুহ হয়ে গেছে,কি যে ভাল লাগল দেখে কি করে বোঝাই।আমার শিক্ষকতা জীবনের ছাত্র ছাত্রীদের এখন ছেলে মেয়ে,বাবা মা ভাবতে ভালই তো লাগছে।আর জাকারবার্গের কল্যানে সব তো বন্ধু হয়ে গেল।

বাহ!কি চমৎকার মেলবন্ধন।এতজন শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মধ্যে শুধু আমি ই উপস্থিত থেকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে তোমাদের অনেক অনেক শুভ কামনা।তারিক আমার ছাত্র।ওকে জড়িয়ে ধরে মনে হল সব কষ্ট যদি ওর মুছে দিতে পারতাম কোন ও আলৌকিক ক্ষমতায়। ওর চোখের জল-মনে হল বুকের রক্তধারা।কি করে বুঝাই এ কষ্ট?

আমি না পারলেও ওরা পারবে।এরা সবার ভালো চায়,উপকার করতে চায়।তাই ওদের জন্য সারা অন্তর দিয়ে দোয়া আল্লাহর কাছে।ওরা যেন একে অন্যের প্রতি বাড়িয়ে দেয় মমতার হাত,ভালবাসার হাত,গড়ে তুলুক আলোর ভূবন।মুছে ফেলুক কষ্ট।হাসুক সবাই একসাথে।

থাকুক সবাই একসাথে।
করুক কল্যানকর কাজ।

ধন্যবাদ আয়োজক রফিক,রেজা,রিপন,অপু আতিক,মনির,নাসের সহ বাকী সবাই কে।
ধন্যবাদ বিয়োজক যারা উপস্থিত থেকে বিয়োগ( খাবার দাবার সাবার) করলো সব।
ধন্যবাদ ইফতার পার্টি তে উপস্থিত সব স্টীলার দের।

সকালে বীচ থেকে ফিরে চিন্তা করলাম, একটু রেস্ট নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়ীতে রওনা দিব


সকালে বীচ থেকে ফিরে চিন্তা করলাম, একটু রেস্ট নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়ীতে রওনা দিব।তাই কলাতলি রোডে আমার এক ফ্রেন্ড(হোটেলের মালিক) কে ফোন দিয়ে জানতে চাইলাম, সে হোটেলে আছে কিনা! তখন সে বলল, না আমি মারম্যাড হোটেলে আছি এবং এখানে চলে আয়। তো আসলাম এবং বললাম একটু রেস্ট নিবো। সে সব কিছু ঠিক করে অন্য রুমে চলে গেল। 

(হোটেলে আছি বলে আমি বাথটাব এর ছবি দিব না।এই ডিজিটাল যুগে অনেকে দেয় তো তাই বললাম)।

অতঃপর আমি ঘুম যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।কিন্তু মাননীয় ঘুম মহোদয় কিছুই তে আসছে না। তাই, শুয়ে শুয়ে লেখতে লাগলাম যদিও আমি তেমন লেখতে পারি না। লেখতে গেলেই সব কেমন যেন সেই -
"সিএসএম কলোনী"তে থাকা কালীন আমার প্রিয় 
"হুমায়ুন আহমেদ" স্যারের -
"আজ রবিবার" 
নাটকের জাহিদ হাসানের ডায়ালগ -
"হি জি বি জি"র মত হয়ে যায়। 
যাই হোক.....
আহ্ !!! 

বন্ধু রানা, তুই তো শুধু ঈদের বাড়তি গাড়ি বাড়া দেখলি


বন্ধু রানা, তুই তো শুধু ঈদের বাড়তি গাড়ি বাড়া দেখলি। এবার দেখ জামানার আঞ্চলিক ভাষায় বলি - বরি/হানপুল(এই সব পোলাদের আমি এই নামেই ডাকি, শুদ্ধ ভাষায় পাংকু) লাগানো ছেলেদের ফ্যাশন যদি এমন হয়, তাহলে নেংটো হতে অার কত বাকী ? 

অাসলে দেশটা ডিজিটাল হচ্ছে কিনা জানিনা, তবে কিন্তু দেশের এই শ্রেনীর মানুষগুলো ডিজিটালের 'ডিজি' বাদ দিয়ে সত্যি সত্যি টাল হয়ে যাচ্ছে নাতো !!!

এটাকে তুই কি বলবি?

নোট:- দয়া করে, কেউ বিষয়টা অন্য ভাবে নিবেন না। আসলেই তো দেশ টা এখন এই ভাবেই চলছে।

রাতে আমার এমনিতেই ঘুম হয় না


রাতে আমার এমনিতেই ঘুম হয় না। রাতে প্রজেক্টকেই সময় দিই এবং আজ অনেকটা বোরিং লাগছে প্রজেক্ট এর হাওয়া টা। কেন যানি বিরক্ত লাগছে তাই পাগলা টাইপের এই মন চাইল, সমুদ্রের হাওয়া খাবে(অনেকদিন আসা হয় না এবং আমরা স্হানীয় যারা আছি তারা আসলে রাতের সমুদ্র উপভোগ করি এবং প্রায় রাতে আসা হয় )। রাতের সাগরের হাওয়া অবলোকন করার জন্যে তাই প্রজেক্ট এর একজনকে সাথে নিয়ে বাইকে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলাম এবং চলে আসলাম।

সাগর পাড়ে নেমেই গেন্জি খুলে ফেললাম। খালি শরীরে সমুদ্রের হাওয়া লাগানো উফফফ! কি যে একটা ভাল ফিলিংস হচ্ছে বলে বুঝানো যাবে না এবং ফেরারী স্মৃতি গুলো আমাকে বার বার আঘাত (৯১' "হারিকেন" ঘুর্নি ঝড়ের মত) হানছে আমার হ্নদয়ের অ অ অ অন্তরে........ 

এবং ইন্দ্রনীল ছেত্রী'র মত মনে মনে বলি ---
প্রিয় ফুলন দেবী(কাল্পনিক),
একদিন এখানে রাতের পারে,
আঁধারের মত,
চাপা প'ড়ে গেছে যে হৃদয়, 
সেখানে দেখেছি
কোনো মানুষী ছিল না,
ছিল না আশা, 
নিরাশার ভয় য় য় য়....।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss