Sunday, February 28, 2016

যারা কলোনীতে ২০০০ এর পরের সাল গুলোতে ছিলেন না তারা অনেকেই হয়তো জানেন না আস্তে আস্তে আমাদের পুরো কলোনীই জঙ্গলে পরিনত হয়েছিল


যারা কলোনীতে ২০০০ এর পরের সাল গুলোতে ছিলেন না তারা অনেকেই হয়তো জানেন না আস্তে আস্তে আমাদের পুরো কলোনীই জঙ্গলে পরিনত হয়েছিল । বেশির ভাগ বিল্ডিং এরই নীচতলাগুলো খালি পড়ে থাকতো । ই টাইপ,এফ টাইপ আর সি টাইপের অনেক বিল্ডিং পরিত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিল । এসময় কলোনীতে সাপ আর ইঁদুরের উৎপাত ছিল বেশি । আমরা থাকতাম D-4-F এ । ৩তলার উপর ও বিশাল সাইজের ইঁদুর থাকতো আর এগুলোকে মারতে আব্বু আম্মু আর ভাইয়া বেশ পরিশ্রম করতো ।

যাই হোক,আমি তখন কোন ক্লাশে পড়ি মনে নাই । শুক্রবার,আমি ভাইয়া আর আম্মু বসে বসে আলিফ লায়লা দেখছিলাম । আম্মু উঠে ওয়াশরুমে গেল । হঠাৎ ভাইয়াকে ডাক দিলো ওয়াশরুমের দরজার ওপাশ থেকে, বললো ভাইয়ার ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প গুলো থেকে একটা দিতে । ভাইয়া বুঝতে পারলো, পরে আম্মু বের হলো আর ভাইয়া ওর জীবনে প্রথমবার একটা সাপ মারলো স্ট্যাম্প দিয়ে colonthree emoticon

গেল মাসের এই সময়ে আমরা ছিলাম grand আড্ডার ভেনুতে


গেল মাসের এই সময়ে আমরা ছিলাম grand আড্ডার ভেনুতে। কিভাবে মাস পুরা হয়ে গেল। আমরা হয়ত এই সময় চা খেতে গিয়েছিলাম পাশের চায়ের দোকানে। ড্রাই কেক চায়ে ডুবিয়ে, জিবনেও খাইনি,সেদিন খেলাম।আরো কত ছোট খাটো বিষয় আছে সেগুলোকে একসাথে করে লিখতে পারলে ভাল হত।

সবাই যেভাবে লিখছে তাতে পেইজটা বেশ জমেছে। আগে তীর্থেরকাকের মত অপেক্ষা করতাম কখন আতিক,জাভেদ বা রেজাভাইয়ের একটা লেখা আসবে,পড়বো। এখন বেশ উৎসব উৎসব ভাব এসেছে। কিছুক্ষন না ঢুকলে পরে এসে দেখি বেশ লেখা জমেছে। জাভেদ বদ আবার এমন একটা লেখা দিসে যাতে আমি কোনোভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারবোনা।স্টিল মিলের ম্যাপ। আমার দৌড় ছিল মাসুক ভাইদের বাসা অব্দি,তাও রাস্তাটা মনে নেই কোন দিক দিয়ে যেতাম।তাম্বুরার এই লেখার মাঝে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। 

আতিক আবার আতিক্কা ছড়া শুরু করেছে,জানিনা সে আতিক্কা কি লিখে বসবে। পীর সাহেব ছুটিতে আছেন।লেখেন না।অপু নাকি সময় পায়না,আজ সেও তিনটা লেখা দিয়েছে। জনিও বেশ রেগুলার হয়েছে। মুনতাহার চলা বেশ দ্রুত হয়েছে। ভালই,গুড়াগুলা শুদ্ধা উঠে পড়ে লেগেছে। আমাদের অবসরে যাবার সময় হল বোধ হয়। সবাই লিখবে আর আমি খালি আরাম করে পান চিবাতে চিবাতে পড়বো।

পরিসংখ্যানবিদ সুজনের হিসাব অনুযায়ী ২০ শে আগষ্ট ২০১৫ থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমার নাকি পোষ্ট ছিলো চারটা


পরিসংখ্যানবিদ সুজনের হিসাব অনুযায়ী ২০ শে আগষ্ট ২০১৫ থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমার নাকি পোষ্ট ছিলো চারটা। যদিও আমার সাথে কিঞ্চিৎ পার্থক্য আছে। আর যেহেতু পরিসংখ্যান আড্ডার পরে প্রকাশ হয়েছে। তাই আমিও লেখার একটা বিষয় পেয়ে গেলাম। তাই আড্ডা নিয়ে না আমাকে যে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সে বিষয় নিয়ে কয়েকটি পোষ্ট দিলাম। কে পড়লো কি পড়লো না সেই চিন্তা না করেই পোষ্টগুলো দিলাম। অনেকে ভাবতে লাগলো আমার লেখায় কোন কোয়ালিটি নাই। আমি নাকি কোয়ানটিটি বাড়ানোর জন্য লিখছি। 

আমিও স্বীকার করি আমার লেখার মধ্যে কোন কোয়ালিটি নাই। কলনিতে বলার মতো কোন কাহিনি ছিলো না। কথা গুছিয়ে বলতে পারি না। মাথায় ও কিছু নাই যে গুছিয়ে লেখবো। সব এলোমেলো লেখা। মন চাইছে তাই লিখছি এই টাইপের। তবে মাথায় যদি কিছু না থাকে তাহলে এলোমেলো ভাবে বেশিদুর যাওয়া যায় না। আমিও বেশিদুর যেতে পারবো না। আর না গেলে মন্দ হবে না কারন প্রতিদিন এতো বেশি পোষ্ট সবাই সবগুলো ভাল করে পড়া হয় না। অন্তত একটা পোষ্ট হলেও কমবে। আমি সুন্দর কমেন্টস ও করতে পারি না। আমি কোন কমেন্টস করলাম হয়তো আমার কাছে মনে হয়েছে কমেন্টসটি ফান কিন্তু আরেকজনের কাছে ফান নাও হতে পারে। কোন না কোন কমেন্টসে কেউ কেউ বিরাগভাজন হয়। আমার লেখায় ও কমেন্টসে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।

বড় হয়ে কি হবে?


ছোটবেলায় একটা ম্যাগাজিনে পড়ছিলাম, অভিনয়শিল্পী রা বড় হয়ে কে কি হতে চায়? সেখানে কেউ বলছিলেন, যেমন - শমী কায়সার বাবার মত হতে চান, হুমায়ুন ফরিদি বাবুর্চি হতে চান, আজিজুল হাকিম হোন্ডা হতে চেয়েছিলেন আর মডেল মৌ চেয়েছিলেন আজীবন কিশোরী থেকে যেতে অর্থাৎ বয়স যেন না বাড়ে।তখন তার এই ইচ্ছার কথা শুনে হাসি পেয়েছিল।

Csm colony পেজ টাতে যখন ঢুকি তখন বিভিন্ন ভাই বোনদের লিখা পড়ার সময় উনাদেরকে বর্তমান বয়সে ভাবতে পারিনা।মনে হয় কলোনি ছেড়ে আসার সময় উনাদেরকে যে বয়সে দেখে এসেছিলাম এখনো সেরকম ঈ আছেন।এমনকি আমার সমবয়সী যারা ছিল তাদেরকেও।কেন যে এমন মনে হয় জানি না,তবে সবার বয়স এক জায়গায় দাড়িয়ে আছে এটা ভাবতে ভালই লাগে

কলোনি র কাল্পনিক চিত্র ২


একটা L সাইজের বিল্ডিং। এটা হল স্কুল।স্কুলের সামনে বিরাট মাঠ।এক পাশে দাড়িয়ে আছে মঞ্চ।স্কুল এর চারদিকে টিনের ঘেরা দেয়া।পেছনে কবর স্থান।তার পেছনে খাল পাড়।পাশে মসজিদ। মসজিদের সামনে BH 1 নামে একটা L সাইজের বিল্ডিং। স্কুলের গেইট পেরোলেই ছাত্তার স্টোর নামে একটি দোকান।তার পাশে পানি সাপ্লাই এর অফিস।সেখানে বসে ইউনুস ভাই নামে এক শ্যামলা ছেলে দোকানদারি করেন।

স্কুল ছুটি হলে মেয়েরা বের হয় দুপুর ১ টার দিকে।এসময় কিছু কলেজ এবং ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে ইউনুস ভাইয়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকে।কিছু কিছু মেয়ে চোরা চোখে তাকায় ছেলেগুলোর দিকে,কেউবা নিজের সৌন্দর্য জাহির করার চেষ্টায়য় থাকে,কেউবা মাটির দিকে তাকিয়ে বাসায় চলে যায়।তবে কিছু অভিভাবক দের ধারনা ভাল ছেলেরা এ জায়গাটা তে দাড়ায় না। কিন্তু সব ছেলেকে ত একই দোষে দোষী করা যায় না।এমনো ত হতে পারে স্কুলের দিকে তাকালে কিছু ছেলের তাদের স্কুল জীবনের কথা মনে করে বুকের ভেতর থেকে কিছু ছোট বড় দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে কিংবা এক ধরনের কষ্ট কষ্ট সুখ পায় তারা

আগে আমাদের এই পেজে কোন একটা পোস্ট কেউ করলে সেটার উপর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়তো


রিপন ভাই Ripon Akhtaruzzaman আর আমাদের সওগাত ভাই নাকি একবার চা দিয়ে কে কয়টা পরোটা খেতে পারে সেটার বেট ধরেছিলেন। খুব সম্ভবত মহসীন কলেজেই বন্ধুদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। রিপন ভাই যেখানে চা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৮ টা পরোটা খেয়েছেন সেখানে নাকি সওগাত ভাই ২২ টা খেয়ে ফার্স্ট হয়েছিলেন।

রিপন ভাই ১৮ টা খেয়েও হজম করতে না পেড়ে অস্থিরতার কারনে মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করে অবশেষে কম্ফর্টেবল ফিল করেছেন।

আগে আমাদের এই পেজে কোন একটা পোস্ট কেউ করলে সেটার উপর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়তো। তার মানে লাইক আর কমেন্টের সিডর, নার্গিস কিংবা ক্যাটরিনায় ভেসে যেত। এক এক পোস্টে ১৫০/২০০ লাইক পড়লে তার সাথে পাল্লা দিয়ে কমেন্টও করতো প্রায় ১০০ এর উপরে। সেসব কমেন্টের আবার সাব কমেন্ট মানে রিপ্লাইও থাকতো প্রচুর।

ক্লাস নাইনে উঠার আগে কলনি থেকে খুব একটা বের হতাম না


ক্লাস নাইনে উঠার আগে কলনি থেকে খুব একটা বের হতাম না। বড়জোর বাজার কিংবা হাউজিং কলনি। অর্থাৎ পতেঙ্গা এরিয়ার মধ্যে থাকতাম। নাইনে উঠার পর থেকে নিজেকে একটু বড় বড় ভাবা শুরু হয়ে গেছে। তখন পতেঙ্গা এরিয়া আর ভাল লাগেনা। ঈদ আসলে রমজান মাসে ষ্টীল মিল থেকে মার্কেটে বাস দিতো শপিং করার জন্য। মাঝে মাঝে কোন কাজ ছাড়াই বাসে উঠে মার্কেট থেকে ঘুরে আসতাম বন্ধুদের নিয়ে। আর ঈদ আসলে অসম্ভব খুশি লাগতো। কারন ঈদের দিন কিংবা পরের দুইদিন কোন বাধা ধরা নিয়ম ছিলনা। ইচ্ছে মত ঘুরতে পারতাম। বাসায় বাসায় গিয়ে সালাম করতাম।

ঈদ আসলে আরেকটা ব্যাপারে খুশি হতাম হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পরবো বলে। একবার এক ঈদে নামাজ পড়ার পর আমরা কয়েকজন সিনেমা দেখার উদ্দেশ্যে বের হলাম। ১২টা-৩টার শো দেখবো ( বিকালে দল বেঁধে বাসায বাসায় যেতে হবে তাই এই টাইমটা বেছে নিলাম)। ষ্টীল মিল বাজারে আসলাম বাসের জন্য। গন্তব্য সাগরিকা সিনেমা হল। কারন ঈদে তিনটা নতুন সিনেমা রিলিজ হইছে। একটা সাগরিকা, একটা সানাই, আরেকটা বনানীতে। তিনটার মধ্যে সাগরিকার টাই সুন্দর। আমরা ঠিক করলাম আপাতত সাগরিকায় যাবো। যথারীতি বাস আসলো। বাসে উঠেতো চোখ ছানাবড়া। কারন বাসে আগে থেকে বসে আছে আমাদের সকলের প্রিয় মালেক স্যার। উনি আরো বসে আছে পিছনের সিটে। উনাকে দেখেও না দেখার ভান করে বাসের সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। উনি ডাক দিলেন আর বললেন বেটা সামনে দাঁড়াইয়া থাকি কি করবি আমার পাশে বস। কি আর করা আমতা আমতা করে বসে পড়লাম। বসার পর পরই উনি জিজ্ঞাসা করলো কই যাস? সিনেমা দেখতে? বললাম না স্যার আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে। উনি বললো আমি সব জানি। এই বয়সটা আমি পার করে আসছি না। উনি ভাড়া দিতে চাইলো। বললাম স্যার আপনারটা সহ আমরা দিয়ে দিই। 

ফেবুতে নিজের প্রোফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে লিখাটা খুঁজে পেলাম


ফেবুতে নিজের প্রোফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে লিখাটা খুঁজে পেলাম । লিখাটা ২০১১সালের শেষে/২০১২ সালের শুরুতে লিখা,তখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়তাম । ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি লিখাটা ।
অনেক বড়,বিরক্ত হলে আমার দোষ নেই tongue emoticon
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হলো বাবা মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক।

আমার বাবা হলেন আমার সবচাইতে প্রিয় কথাসংগী।ছোটবেলা থেকেই বাবা আমাকে এবং আমার ভাইয়াকে অনেক আদর দিয়ে বড় করেছেন।ছোটবেলায় বাবার কাঁধে চড়তাম সবসময়।বাবা বিছানায় বসে থাকলেই গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে বিছানায় উঠে বাবার গলা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতাম।বাবা বুঝে যেতেন আমি কি চাইছি।বাবা তখন আমাকে কাঁধে উঠিয়ে নিতেন আর আমি খুশিতে হাততালি দিতাম।
.
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক।বাবার স্কুলেই শিশুশ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি।আমার সহপাঠীরা সবাই একলাই স্কুলে যেতো।কখনো কারো অভিভাবক তাদেরকে আনা নেয়া করতে যেতোনা।কিন্তু আমি শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটা দিন আমার বাবার হাত ধরে স্কুলে গিয়েছি। আমার গায়ে রোদের আঁচ না লাগার জন্য বাবা এক হাতে আমার মাথার উপর ছাতা ধরে রাখতেন আর অন্য হাতে আমার একটি হাত ধরে রাখতেন।

কলোনি র কাল্পনিক চিত্র


কলোনি র কাল্পনিক চিত্র- tambourine man ওরফে জাবেদ ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী। 

একটা তিনতলা বিল্ডিং। এর সামনে একটা, পেছনে একটা, ডান পাশে, বাম পাশে আরো কয়েকটা বিল্ডিং। বিল্ডিং এর সামনে কয়েক টা হাস- মুরগির ঘর। পাশে ওয়াসার ট্যাংকি। এর গা ঘেষে ড্রেন।সামনের বিল্ডিং টার সামনে একটা গার্ডের বসার টিনের ঘর আছে। আরো আছে মসজিদ, মসজিদের গা ঘেষে পুকুর।

পুকুর পাড় এর একটু পাশেই কয়েক টা নারকেল গাছ দাড়িয়ে আছে।তার নিচে যুবক বয়সী ছেলেরা আড্ডা দেয়।সিগারেট ফুঁকে। ছেলেগুলোর জন্য কিছু মেয়ে বারান্দায় বসতে পারেনা।তবুও ছেলেগুলোর আড্ডা বন্ধ হয়না।হয়ত নারকেল পাতার শনশনে হাওয়া ছেলেগুলোর মনকে উদাস করে দেয়।

আমরা ছোট বড় সবাই মোটামুটি আড্ডা নিয়ে ব্যাস্ত


আমরা ছোট বড় সবাই মোটামুটি আড্ডা নিয়ে ব্যাস্ত। যে যেভাবে পারছি আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি, কেউ কেউ পুরান পাল্টে নতুন android সেট নিচ্ছে ইজি typing এর জন্য। সবচে প্রশংশার দাবিদার আমাদের ছোট খাট charitable কাজ গুলো। খুব কম সংগঠন আছে যারা তাদের এই সামান্য জমা টাকাটাও কোন সমস্যা পীরিত বন্ধুর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। সব কিছু মিলিয়ে যে power আমরা আমাদের মধ্যে দেকতে পাচ্ছি, আমি আমাদের বড় ভাইদের( Anisur Rahman Reza, Ziaul Hasan, Jashim Uddin, Nazmul Huda, Reajul Islam Shahin) কাছে request করবো ব্যাপার টা নিয়ে serious কিছু চিন্তা করতে। এতগুলো মানুষের আবেগ ভালবাসা নিয়ে আমরা কেন শুধু FB তে আড্ডা দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো, আমরা আরও অনেক কিছু করতে পারবো। ছোট ভাই Jahed Tipu-র CSM কলোনি re-establishment ও অসম্ভব কিছু না। 

Please think one more, it’s the high time to do something for our next generation. বর্তমান যান্ত্রিকতার যুগে এমন আবেগ, ভালবাসা কোথায় পাব??? এখন পথ চলতে আসলেই অন্য রকম একটা বোধ কাজ করে, আমি আজ একা নই, বিশাল এক CSM পরিবার আছে আমার সাথে। কারন আমি বিশ্বাস করি, "A real friend sees the first tears…… catches the 2nd and stops the third tear…"

প্রতিদিনই অনেক লিখা আসছে, জানি সামনে আরও আসবে, আসতেই হবে


প্রতিদিনই অনেক লিখা আসছে, জানি সামনে আরও আসবে, আসতেই হবে। তাই এইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অথবা প্রতিযোগিতা অথবা ইতিবাচক যুদ্ধ যেটাই বলিনা কেন বেশ জমে উঠেছে। প্রতিনিয়ত লেখকদের অবস্থান পরিবর্তন হচ্ছে। সকালে যিনি এগিয়ে থাকেন আবার দেখি দুপুরে তিনি পিছিয়ে গেছেন, আবার দুপুরে যিনি এগিয়ে আছেন রাতে তার অবস্থান দেখি পিছিয়ে গেছে। পরিসংখ্যান করতে গিয়ে এইবার আমাকে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু আমি অনেক মজা পাচ্ছি সবার এত উৎসাহ দেখে আবার একটু ভয়েও আছি যদি কারো কোন লিখা আবার বাদ পড়ে। ক্ষমা করবেন যদি কোন ভুল হয়। আমি মানুষ, আমার ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনারা আমার প্রাণপ্রিয় ছোট বড় ভাই বোন তাই ক্ষমা করে দিবেন।

খুব খুব, অনেক অনেক বেশি বেশি মিস করছি আমি এবং আমরা সবাই আমাদের প্রথম সারির ৩ জন লেখককে, তারা হলে রাসেল ভাই, মইন ভাই এবং নমি ভাই। উনাদের লিখা পড়েই আমি এবং আমার মত অনেক আনাড়ি লেখক মাঝে মাঝে লিখার দুরসাহস করে। উনারা থাকলে প্রতিযোগিতা আরও বেশি প্রাণবন্ত হত। হয়তো উনারা অনেক ব্যস্ত তারপরও জানি উনারা আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে, আসতেই হবে, আপনাদের ফিরে আসার প্রতীক্ষায় রইলাম ... ...।

আমার লেখার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই


আমার লেখার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই।আগ্রহ না থাকার কারনে বলতে হয় মেধার স্বল্পতা, স্বচঞ্চলতা।আমি বলতে পারি নেশা ও পেশাগত কারনে।কিন্ত রেনাজ(তিনজন ব্যক্তি) বলেই যাচ্ছে আড্ডায় লেখ।তাই সাহসী হয়ে উঠলাম। শিশু থেকে কৈশোর পর্যন্ত যাদের স্নেহে, শাসনে বড় হয়ে উঠেছি,তাদের মধ্যে একজন জসিম ভাই /কাকা।২০১৫ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকে সাক্ষাত। অত:পর কল্।স্বাভাবিকভাবেই আদেশ। ২৯ জানুয়ারি তোমার কোনো কাজ থাকবেনা। আমি কল্পনাও করিনি আমি শুনবো আমরা সি,এস,এম কলোনিবাসি একসাথে হবো।আড্ডা হবে ২৯ জানুয়ারি, তোমাকে উপস্থাপনা ও আবৃত্তি করতে হবে। বহুপ্রতীক্ষিত দিন এলো। আনন্দ মিশ্রিত ভয় কাজ করছিল,আনন্দ হচ্ছিল ঝুমুর আপু, একা আপু, রুমি,শাকিল,আংকেল,আংটিদের সাথে দেখা হবে।ভয় হচ্ছিল সঞ্চলনায় কী করবো।বহু উত্তেজনা নিয়ে আড্ডার মঞ্চে উঠলাম। আমার জীবনে প্রথম ব্যতিক্রমী সঞ্চলনা।কঠিন কাজটি সহজ করে দিল বন্যা আপু।টলি ভাই এসে আরও মজা করলেন।অনেক বেশি লিখলাম।শেষে এতটুকু বলি:কিছু স্বপ্নবাজ তরুণের স্বপ্নময় আবেগের ফসল ---আড্ডা। যাঁরা এখনও স্বপ্ন বিলি করে ফিরছে ----প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

আমি আসলামকে নিয়েই একটু লিখছি


সবাইকে গ্রান্ড আড্ডা নিয়ে লিখতে বলছে আসলাম।

আমি আসলামকে নিয়েই একটু লিখছি।

আমাদের প্রোগ্রামের ২ দিন আগে আসলামের এক কান্ড দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আসলাম আমাকে ফোনে জানালো মা'কে (আসলামের মা) ঢাকায় ভর্তি করিয়েছে। অপারেশন করতে হতে পারে, খুব্বি খারাপ অবস্থা। আমি আসলাম আর মিতু ভাইকে রিমুর নম্বর দিলাম যদি কোনভাবে হেল্প করতে পারে!!.

আমি, আমার ছোট ভাই, শায়লার স্বপরিবার, রাজিব আর মোটা বাবু ভাই ২৭ তারিখ রাতে আতিক ভাই এর ব্যবস্থাপনায় চিটাগাং যাব বলে প্রস্তুতি নিলাম। মা কেমন আছে জানার জন্য দুপুরে আসলামকে কল করলাম। হালার কথা হুইনা আমিতো চাঙ্গে উইঠা গেলাম। আমারে কইলো কি, "দোস্ত আমি আজই চিটাগাং যাইতাছি গ্রান্ড আড্ডার অনেক কাজ রইয়া গেছে।" মার কি করলি? আমাকে বললো মিতু ভাইয়ের দায়িত্বে রাইখাইছি। দেখি কি করা যায়। 
আসলেই অবাক হয়েছিলাম ওর কথা শুনে। মা অসুস্থ আর শালা যাচ্ছে গ্রান্ড আড্ডায় বিটলামী করতে। মা'ও নাকি প্রোগ্রামে এটেন্ড করার জন্য ভীষন ইচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদিও থাকতেই পারলেন না।

একটা পিঁপড়া একটা বেড়ে উঠা ঘাসের ডগা বেয়ে উঠছে আর নামছে


একটা পিঁপড়া একটা বেড়ে উঠা ঘাসের ডগা বেয়ে উঠছে আর নামছে। সকালে বৃষ্টি হয়েছে, মাটি ভেজা ভেজা। আকাশ এখনো মেঘলা। ঠাণ্ডা ভেজা বাতাস বইছে থেমে থেমে। মাঠের কোনে একটা উঁচু জায়গা। কোন এক কালে হয়তো গার্বেজ ফেলা হয়েছিলো এখানে। কালের কামড়ে জমে পাথর হয়ে গেছে জায়গাটা। ঘাস গজিয়েছে, লতাগুল্মে ঢেকেছে অনেকটা তবু চুড়াটা এখনো ন্যাড়া। ছেলেপেলেরা এই চুড়ায় বসে আড্ডা জমায়। হাতের ডানে বড় একটা মাঠ, খুব বড় নয় যদিও তবু নাম "বড় মাঠ"। চুড়া থেকে নেমে একটা রাস্তা সোজা চলে গেছে আরেকটু বড় রাস্তায়। রাস্তাটা যেখানে বড় রাস্তায় মিলেছে সেখানে একটা ছোট দোকান। টিনের টংঘরের মত। নুরুচ্ছাফা সাহেব ডিউটি শেষে দোকানে বসেন অনেক রাত পর্যন্ত বিকিকিনি করে ঝাঁপ নামিয়ে বাসায় যান।

ক্রমশ......
(আমি কলোনির একটি বর্ননামুলক মানচিত্র তৈরির চেষ্টা করছি। শুরুটা আমি করলাম। আমি চাই সবাই যার যার মত অংশগ্রহন করুক। লেখাগুলো বর্ননামুলক হওয়া জরুরী। কলোনির আইডেন্টিক্যাল, আইকনিক অথবা দীর্ঘদিন চোখে পড়েছে এমন জিনিসগুলো বর্ননায় এলে মানচিত্রটা অনেক সমৃদ্ধ হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় খালপাড়ের সেই বড় পাথরটা, ই-টাইপের ভাঙ্গা স্লিপার কিংবা টাংকির নিচের সেই ঠাণ্ডা চকচকে মসৃণ পানির পাইপটা। যারা এই গ্রুপের লেখার আর্কাইভ করছেন তাদের কাছে অনুরোধ এই আহবানে সাড়া পাওয়া গেলে এই লেখাগুলো যেন আলাদা মার্ক করে একসাথে মজুদ করা হয়। লেখাগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম)

এটা লিখছি আমাদের মামুইন্নার জন্য। গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৬, পর্বঃ ০১


এটা লিখছি আমাদের মামুইন্নার জন্যঃ
পর্ব - ০১ঃ
তিন মাস আগেও, যখন জসীম ভাই, নাযমুল ভাই, রেজা ভাই, পুলক, মামুন, বাবু, টিপু আরও অনেকে মিলে আড্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেছে, আমার ধারনা ছিলনা এটার সমাপ্তিটা এত সুন্দর হবে, ধীরে ধীরে কাছে গেলাম, দুই একটা মিটিং এ গিয়ে বুজতে পারলাম, না কোন কিছুই অসম্ভব না, যে উদ্যম আর উৎসাহ ছোট আর বড় ভাইদের মধ্যে দেখলাম তাতে পুরপুরি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেলাম যেকোনো উপায়ে আড্ডা হবেই হবে।

দায়িত্ব পরল musical program arrange niye, কিন্তু কম বেশী সব কাজেই আমাদের সকলের সমন্বয় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাজ করতে গিয়ে প্রথমেই মুগ্ধ হলাম Suzan Hasnat এর টেস্ট আর মেধা দেখে, অসাধারণ বুঝে সে, অথচ ওকে আমি কখনো ইভেন্ট লাইনে কাজ করতে দেখি নাই বা শুনি নাই। ওকে চিনি অনেক ছোট বয়েস থেকে, আমাদের পাশেই ছিল ওদের বাসা, সারাদিন থাকতো খেলা ধুলা নিয়ে, ওরা তিন ভাই যেকোনো খেলায় ছিল সমান পারদর্শী। সেই ছোট ভাই সুজন এর এরকম perfect maturity in all aspects আমাকে দারুন মুগ্ধ করেছে, আরও অনেক আইডিয়া ছিল ওর মধ্যে যা বাজেট আর সমালোচনার ভয়ে করতে পারি নাই। 

সুজনের ভয়ে ইজ্জত বাঁচানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস.........।।


আমার ছেলে আদিত্য দে (রাহুল), ২বছর ৮মাস। মোবাইল হোল তার অসম্ভব প্রিয় খেলনা. সেই ১.৫০বছর বয়েস থেকে তার মোবাইল ব্যাবহার শুরু আর এই ১৩ মাসে মোবাইল আর ট্যাব ভেঙেছে মোট ৪টা, তাই ওর মা ওর মোবাইল ব্যাবহারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। যার কারনে আমি বাসায় ফেরার সাথে সাথে আমার মোবাইল তার দখলে, কারন সে জানে পাপ্পা সাথে থাকলে মা কিছুই করতে পারবে না।
এতক্ষণ গেল ভুমিকা, এবার মুল ঘটনায় আসা যাক।
সেদিন দুপুরে ওর মা ফোন করে বলল ছেলে আজ সব জীব-জন্তু’র ইংরেজি নাম শিখে ফেলেছে। আর আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন বাসায় গিয়ে তার সেই কারিশমা দেখবো। 

Atiq Csm কাল আমাকে দশ প্যাকেট মাংসের মশলা দিয়েছে


Atiq Csm কাল আমাকে দশ প্যাকেট মাংসের মশলা দিয়েছে।আজ রান্না করবো সেই মশলা। ও শুধু মশলা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি,আমার কাছে মেজবানি মাংস খাবার দাওয়াত আমি দেবার আগেই নিজ দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছে।সমস্যা নেই। খাওয়াবো।

খুবি বদ একটা পোলা। পেট্টা ভরা হিংসা। যদিও পেট বলে কিছু নাই ওর। কাল রাজিববের আচারের পোস্টে ও কয় ও আমারে মশলা দিসে তার কথা কইলাম না কেরে। 

নিম্নলিখিত কারনে বলি নাই।
১. আচার রাজিব বানায়ে আনসে। মশলা তুই বানায়ে আনস নাই।
২. রাজিবের আচার খাইসি,মজা লাগসে।তোর মশলা ত খাইনাই এখনো।
৩.রাজিব যশোর থেকে আসছে,তুই বনানি থেকে গুলশান আসছিস।
৪.রাজিব সারারাত বাসে আসছে,তুই দশ মিনিটে আইসস।
৫. আচারের ব্যাগ ক্যারী করতে আমাদের কস্ট হইসে, তোর মশলা উমামের বড় ব্যাগের মধ্যেই রাখা গেছে।
আশা করি তুই বুঝতে পেরেছিস।

ব্যাক্তি আর পেজ দুটো আলাদা আলাদা সেটা অনেক সময় ভুলে যাই


এ পেজ টার সাথে ওতপ্রোত ভাবে এমন জড়িয়ে গিয়েছি যে, ব্যাক্তি আর পেজ দুটো আলাদা আলাদা সেটা অনেক সময় ভুলে যাই।অর্থাৎ পেজের একেকজন সদস্য যে আলাদা ব্যাক্তি সত্তার অধিকারী এটা খেয়াল থাকেনা আমার। যেমন ধরি নাজমুল ভাই, উনি একজন ব্যাক্তি উনার আলাদা ব্যাক্তি সত্তা আছে, পরিবার আছে বা এই পেজের বাইরেও যে উনার আলাদা জগৎ আছে এটা মনে রাখতে পারতাম না। আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল নাজমুল ভাই এর আলাদা আবার কিসের জগত, নাজমুল ভাই মানেই সিএসএম। এখানে নাজমুল ভাইকে আমি উদাহরণ হিসেবে জাস্ট দেখালাম ( উনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখানোই টা আমার জন্য নিরাপদ), পেজের বাকী সক্রিয় মেম্বারদের ব্যাপারেও আমার একই কনসেপ্ট কাজ করে। কিন্তু এটা যে কত বড় ভুল আইডিয়া আমার, তা হাড়ে হাড়ে বুঝি।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss