Saturday, February 27, 2016

আজ আনিসুর রহমান রেজা সাহেব আর সানজিদা আক্তার মলি ভাবির বিবাহ বার্ষিকী


আজ আনিসুর রহমান রেজা সাহেব আর সানজিদা আক্তার মলি ভাবির বিবাহ বার্ষিকী। ইচ্ছে ছিল দুপুরের পরে উনাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিছু লেখার। কিন্তু দুপুরের পরে একটি নির্দেশিকা পাওয়ার পর আমি একটু অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম। তখন লেখার কথা ভুলে গিয়ে অন্য চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। এখন আবার মনে পড়লো। কিন্তু তখন যে কথা গুলো লিখবো বলে চিন্তা করেছিলাম তার অর্ধেকটায় এখন ভুলে গেছি। 

সানজিদা আক্তার মলি হচ্ছে একজন জনম দুখী বাপ মা হারা মহিলা। বিয়ের আগে রেজা সাহেব উনাকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা তিনি বিশ্বাস করেছেন। আর যদি বিশ্বাস নাই করতো তাহলে উনি কলেজের চাকরি ছাড়তো না। চাকরি না ছাড়লে এত দিনে হয়তো ঐ কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে যেতেন। অবশ্য রেজা সাহেবের কোন দোষ নেই। বিয়ের আগে এই রকম সবাই বলে। উনি এতটুকু বাড়িয়ে বলেন নি। কারন উনার হয়তো ধারনা ছিল মানুষের ভাগ্য পাল্টাতে সময় লাগে না। কিন্তু বিধিবাম চরিত্র না পাল্টানোর কারনে ভাগ্য খুব একটা পাল্টালোনা। অবৈধ উপায়ে চরিত্র বিসর্জন দিলে হয়তো ভাগ্য পাল্টাতে পারতো। কিন্তু রেজা সাহেবের পক্ষে সম্ভব নয় চরিত্র বিসর্জন দেওয়া। তাই উনি এখনো আগের মতো রয়ে গেলেন। আর এই কারনেই মলি ভাবি উনাকে খুবই পছন্দ করে। আমার মনে হয় উনাদের ভালোবাসায় কোন খাদ নেই। 

আমি যখন বিয়ে করি, তখন আমার হাত বলতে গেলে শূন্য


আমি যখন বিয়ে করি, তখন আমার হাত বলতে গেলে শূন্য। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। ঢাকায় কোনো বাসা নেই। যাযাবর জীবন যাত্রা। এই রকম একটি সময়ে, বিয়ে করার দুঃসাহস দেখিয় ফেলি। ঘটক, নিরু আর মিঠু(নিরুর বউ)।
খালা আর মা তো, ভিষন খুশী।

মেয়েও দেখে আসলাম। খানা/পিনা ঘরকা, মহিলা। খুব একটা চিন্তা করলাম না, এই জিনিষ আমার বংশে ভুরি/ভুরি আছে।

বিয়ের আগে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, টেলিফোনে আলাপ হতো।

সেও এক রাজকীয় কায়দায়। মৌচাকের মোড়ে, এক ছোট ভাই এর ফোন/ফ্যাক্সের দোকান থেকে। আমি ঢুকা মাত্র, ভিতরে ছোট্ট একটি রুমে বসার যায়গা করে দিতো। সাথে মামাতো/খালাতো ভাই,সজল আর ইমন। কতক্ষন পর পর চা আর সিগারেট অটো চলে আসতো।

আজ রেজা ভাইয়ের বিবাহবার্ষিকী


আজ রেজা ভাইয়ের বিবাহবার্ষিকী। সকাল থেকে মন চাইছে রেজা ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে কিছু লিখি। লিখতে চাওয়ার কারন হচ্ছে সেই প্রথম আমার জীবনে টাংগাইল এর মত এত দূরে গিয়ে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। আমি এইচ,এস,সি পরীক্ষা দেওয়ার পর স্টিল মিল কলোনীতে আসি। আগে থেকেই রেজা ভাইকে চিনতাম বড় ভাই হিসেবে। তখন মাত্র সিগারেট খাওয়া ধরেছি, ইউনুচের দোকান থেকে সিগারেট ধরিয়ে ওয়ার্কার্স ক্লাবের পিছনে গিয়ে সিগারেট খেতাম। একদিন সিগারেট নিয়ে আগুন ধরিয়েছি মাত্র পিছন থেকে রেজা ভাই ডাক দিলেন আমি হাতের সিগারেট পিছনে লুকালাম। রেজা ভাই বলে উঠলেন সিগারেট লুকাইতে হবেনা আমারে একটা গোল্ডলীফ কিনে দে তাহলে আমার সামনে সিগারেট খেতে পারবি। সেই থেকে রেজা ভাইর সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা। সেই রেজা ভাই যখন বললো আমার বিয়েতে তোদের যেতে হবে উনার কথা ফেলতে পারিনি।

আমাদের মরহুম রেজ্জাক কাকা


আমাদের মরহুম রেজ্জাক কাকা, বন্ধু Rezaul Karim লিটনের বাবা। সবসময় আমাদের অর্থাৎ লিটনের বন্ধু সার্কেল কে চোখে চোখে রাখতেন, কোথাও কোন আকাম করে বেড়াই কিনা। তাস খেলার আসর, সিগারেটের আড্ডা, মোশারফের জেক্স সংলগ্ন ঘরের আড্ডা থেকে যে কত বার যে আমাদের হাতেনাতে ধরেছেন হিসাব নেই।উনার একটা খয়েরি রঙ এর শাল ছিলো, ঐ শাল গায়ে দিয়ে শীতের অন্ধকার রাতে যখন গুটি শুটি ভাবে হেটে এসে ধরতেন, তখন উনাকে মনে হতো যেন সাক্ষাৎ গোয়েন্দা। 

আমরাও উনার নাম দিয়েছিলাম ফলোয়ার বা ডিবি। আমার এখনো মনে পড়ে, আমার ডিগ্রী পরিক্ষার আগের রাতে আমি সহ আরো কয়েকজন ট্যাংকির নীচে অন্ধকারে বসে খুব নীচু গলায় আড্ডা দিচ্ছিলাম, আচমকা কাকা দূর থেকেই চিৎকার করে বলে উঠলেন "ওই আতিক্যা তোর না কালকা পরিক্ষা? তুই অহনও এইখানে আড্ডা মারতাসোস ক্যারে, বাসাত যাইয়া পড়তে বয়" আমি আজো ভেবে পাইনা, এতো নীচু স্বরে কথা বলার পর এই অন্ধকারে দূর থেকে কাকা আমারে চিনলো কি করে। কাকার একটা খুব প্রচলিত ডায়ালগ ছিলো " কি রে তোরার মেল মজলিশ এখনো ভাংছে নারে"। 

আমি যা চাই তা পায়না। আর যা পাই তা চাইনা।


আজ শনিবার। অফিসের কাজের চাপ কম। অবশ্য শনিবারে একটু রিলাক্সে থাকি। কারন ব্যাংক, বায়ারের অফিস সব বন্ধ। ইচ্ছা করলে অফিসটা শনিবারে বন্ধ রাখতে পারতো। তারপরেও রাখে নাই একমাত্র বিজিএমইএ এর জন্য। কারন শনিবারে বিজিএমইএ খোলা। আজ সেখানেও কোন কাজ নেই। (যদিও আমি ব্যাংক ছাড়া কোথাও খুব একটা যাই না।) অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই দুপুরে লাঞ্চের পর থেকে কতক্ষন পর পর ফেইসবুকে ঢুকি আর চেয়ারে বসে বসে ঝিমাই। হঠাৎ একটি ম্যাসেজ পেলাম। ম্যাসেজের মাধ্যমে কিছু নির্দেশনা পেলাম। ঘুম উধাও হয়ে গেলো। মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমি যা চাচ্ছি তা মনে হয় আংশিক পেয়েছি। বাকিটা হয়তো কিছুদিনের পেয়ে যাবো। অপেক্ষায় আছি পুরো নির্দেশনার জন্য। তাহলে হয়তো অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে। আমার অবশ্য ভাগ্য কখনোই সুপ্রসন্ন ছিলো না। অর্থাৎ আমি যা চাই তা পায়না। আর যা পাই তা চাইনা।

সুজন হাসানাত এর গ্র্যান্ড ড্যান্স এর ছবি গুলো দেখে কথাগুলো মনে পড়ে গেল



সন্ধ্যার পর একদম পিছনে বসে বসে বড় বড় কালো কালো মশার কামড় খাচ্ছি (এই মশাগুলো আমাদের CSM colony তেও ছিল, সন্ধ্যার একটু আগে থেকে কামড়ানো শুরু করত) আর গ্র্যান্ড আড্ডার চিতল পিঠা খাচ্ছি আর CSM 3rd Generation এর ছড়া, কবিতা, গান, নাচ উপভোগ করছি। সারাদিন এত কথা বলছি, এত বেশি দৌড়াদড়ি করছি তাই একটু ক্লান্তবোধ করতেছিলাম আবার একটু ঝিমানিও আসতেছিল।

হটাত মঞ্চে আসল আমাদের সকলের প্রিয়, একসময়ের CSM School এর মঞ্চ কাঁপানো মেজর রাজিব। ভাবলাম রাজিবও মনে হয় অন্য সবার মত নজরুল সঙ্গীত বা অন্য কোন শান্ত ধারার গান গাইবে। কিন্তু রাজিব আমাকে হতাশ করে নাই। শুরু করলো Bon Jovi এর It’s My Life  দিয়ে, ওর গান শুনে আর চুপ করে বসে থাকতে পারলাম না, উঠে দাঁড়ালাম, মনে মনে একটু নাচতেও লাগলাম। ক্লান্তি, ঝিমানি, মশা সব পালাল আমার কাছ থেকে। রাজিব তোকে এত্তগুলো ধন্যবাদ।

গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে মাথায় যা এসেছে তা লিখে ফেলার চেষ্টা


সতর্কতা: বিশাল পোস্ট! গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে মাথায় যা এসেছে তা লিখে ফেলার চেষ্টা।

একদম শেষের আগে:
সি এস এম তৃতীয় প্রজন্মের দুই বালক কথা বলছে...
১ম বালক : "স্টিল মিল নামে একটা কলোনী ছিল। সেখানে আমার বাবা থাকত।" 
২য় বালক: "আররে আমার বাবাও তো সেখানে থাকত। সে জন্যেই তো আমরা এসেছি "

প্রাক আড্ডা:
আমাদের বাসায় আড্ডার আমেজ টা শুরু হয় সেইদিন যেদিন জসিম ভাই, মামুন ভাই, বাবু ভাই, পুলক ভাই, পাপ্পু ভাই মিলে বাসায় এসে কুপন দিয়ে যান। আব্বু ওই দিন গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে প্রথম কবিতাটা লিখলেন। এর পর আরেকদিন এলেন নাজমুল ভাই, অপু ভাই,কমু ভাই, পুলক ভাই এই দিন বাসায় কবিতা পাঠ হল। নাজমুল ভাই বললেন "আভা, কবিতা টা আমাদের সবাই কে আরও উৎসাহিত করবে, তুমি এই কবিতা আজ রাতেই পোস্ট করে দাও" 

নাজমুল ভাই আর পুলক ভাই আর ও বললেন আমি এ কবিতা গ্রুপ এ পোস্ট করে দিলে আড্ডার দিন কফি আর ফুচকা খাওয়াবেন।

আব্বুর লেখা ওই কবিতাই ছিল CSM গ্রুপ এ আমার প্রথম পোস্ট।

আগে কলোনী কিংবা স্কুলের প্রোগ্রাম হলে ১ মাস ধরে রিহার্সেল চলত। প্রোগ্রামের আগের দিন হত ফাইনাল রিহার্সেল। তাই গ্র্যান্ড আড্ডার ফাইনাল প্রস্তুতি দেখতে ২৮ যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু যেতে পারিনি। আব্বু গিয়েছিল দেখতে। নিজ চোখে না দেখলেও আব্বুর মুখেই শুনলাম।

স্টীল মিলে থাকতে টুকটাক অনেকেই হাঁস মুরগী পালতো


স্টীল মিলে থাকতে টুকটাক অনেকেই হাঁস মুরগী পালতো। ঠিক তেমনি আমাদেরও মোটামুটি টাইপের একটা হাঁস মুরগীর খামার ছিল। ডেইলী সকালে মা হাঁসের খোয়ারে যেত মাঝে মধ্যে আমিও যেতাম তখন দেখতাম ৫/৬ টা ডিম খোয়ারে পড়ে থাকতো। যতটুক জানি হাঁস নাকি রাতেই ডিম পারে। সরি হাঁস না, হাঁসি। শব্দটা আমার কাছে হেব্বি লাগতো। বাসায় ২/৩ টা মাটির পাত্র (পাতিল টাইপের) ছিল। সেগুলো ভর্তি ডিম ছিল। আশে পাশের খালাদের কথামত মা মাঝে মধ্যে তখন ডিম বিক্রিও করতেন। ডিমের জোড়া ছিল তখন মাত্র ২ কি ২.৫০ টাকা।

এতোগুলো কথা যে কারনে লিখা এবার সেই কাহিনীতে আসি। একবার আমাদের F - 8 নম্বর এর রুবেল ভাইয়ের ছোট্ট বোন শাম্মী দুইটা ডিম নিল কিন্তু আম্মু কিছু বলার আগেই ও ২ টাকা আম্মুকে দিয়ে বললো "খালাম্মা আস্টো আনা দেওন লাগতো না" মা হাসতে হাসতে বললো আমি তোমাকে দিব নাকি তুমি দেওয়ার কথা। তখন শাম্মী বললো খালাম্মা আস্টো আনা দিয়া হজমী খামু।শাম্মী তখন অনেক ছোট ছিল। বয়স হয়তো হবে ৬/৭। হাহাহহাহ

আজ শাম্মীর বিশাল বড় একটা পোস্ট দেখে মাকে ওর প্রোফাইল পিক দেখালাম আর বললাম এই সেই তোমার আস্টো আনা (৫০ পয়সা)। মা আমার হাসতে হাসতেই শেষ। জানিনা শাম্মীর এই কথা মনে আছে কিনা কিন্তু কিছু কিছু স্মৃতি আজো মনে গেঁথে আছে।

FARHANA SHAMMI বোন তুই আমার ফ্রেন্ড লিস্টে নাই তাই তোকে ট্যাগ দিতে পারলাম না।

"সাময়িক বিদায় - ২"


সিকুয়াল ২ তারিকের জন্য...
কাউকে কিছু দিয়ে নাকি তার প্রতিদান চাইতে নেই!! কিন্তু কিছু কিছু সময় কিছু কিছু ব্যাপারে প্রতিদান চাওয়াটা অন্যায় নয়। তারিকের কাছে আমরা প্রতিদান চাইতেই পারি।

আল্লাহ চেয়েছে বলেই এতোগুলো মানুষ একসাথে জড়ো হয়েছে, নতুন করে ট্রিটমেন্টের ব্যাবস্থা হয়েছে যেখানে কিনা সকল আশা আমরা ছেড়েই দিয়েছিলাম। ঢাকায় প্রথম দিন পপুলারে তোমাকে রিসিভ করার জন্য মাত্র ৩/৪ ঘন্টার জন্য চিটাগাং থেকে আসা বড় ছোট ভাইদের পরিশ্রম, সেই দিনই তোমার সাথে মেডিকেলে প্রায় ৩০/৩৫ জনের সাক্ষাত, সাময়িক বিদায় বেলায় অবুঝ নিস্পাপ মেয়েগুলোর চিৎকার করে কান্না, অনেকেরই চোখ গড়িয়ে পানি পড়া, প্রত্যেক দিনই তোমার মানুষিক সুস্থতার জন্য সিএসএম বাসীরা ফোনে কিংবা শারীরিকভাবে তোমার সাথে কমিউনিকেট করা - তোমাকে সাহস যোগানো, আমাদের বড় ছোট ভাই বোনদের অকল্পনীয় অবদান এদের মধ্যে আবার অনেকেই তোমাকে চিনতোও না কিংবা জানতোও না। আমাদের আলাল - দুলাল সবসময় তোমার জন্য কি পরিমান দৌড়ের উপর ছিল সেটা অস্বীকার করার কোন অজুহাত তোমার নেই। 

আর দুদিন পর আমাদের আডডার একমাস হবে


আর দুদিন পর আমাদের আডডার একমাস হবে।গত মাসের এ দিনে বলছিলাম আর দুদিন পর আমাদের সিএসএম এর সবার সাথে দেখাহবে। দেখা হয়েছে অনেক জনের সাথে কিনতু সময় জে কখন চলে গেল কারও কারও সাথে ভাল করে কথা বা দেখাও করতে পারিনি।আডডায় যাওয়ার আগে কত প্লেন ছিল তার কিছুই করা হলনা।তবুও থাক কত আপু ভাইয়া আর কাকা খালামমাদের দেখলাম জে যেভাবে পারছে আডডা দিছছে।সবাই অনেক আনন্দে ছিল কত মজা করেছে।আমার ছেলে তো শুধু বলছে আবার কবে হবে গ্রানড আডডা আমি আবার জাব ওই বড় মাঠটাতে।আমার ছেলে শুধু দৌড়ায়ছে ওই মাঠে। আতিক ভাই,রেজা ভাই,বন্যা আপু আরও অনেক ভাইয়া আপুরা আছেন জাদের লেখা আমার খুব ভাল লাগতো।উনাদের দেখার খুব ইচছা ছিল।দেখেছিও আবার ছবিও তুলেছি।কিনতু আতিক ভাইয়ের সাথে ছবি তুলতে পারিনী।তবে ওনার গানের সাথে পুরা ভিডিও আমার কাছে আছে।আমি আর আতিক ভাবী একসাথে সব ভিডিও করেছিলাম।রাত বেশি হয়নাই তবওজুবায়েরর বাবা খালি বলছে চল বাসায় চল গাড়ি পাবনা

রাজিব সুদুর যশোর থেকে এসেছে


রাজিব সুদুর যশোর থেকে এসেছে। কথা সেটা না,কথা হল সে প্রমান সাইজের দুই কন্টেইনার চালতার আচার বানিয়ে এনেছে আমার মেয়েদের জন্য। চেখে দেখলাম কারন দেরি হলে এই চেখে দেখাও কপালে জুটবে না। কি যে মজা। ও বড় হয়ে আচারের ব্যবসা করবে মনে হয়। আমরা যাব তার দোকানে আচার খেতে। ব্রিগেডিয়ার রাজিব'স পিকেলস। সিএসএমের জন্য সব ফ্রি। আমার এই পোস্ট দেখলে রাজিব আচার বানানো ছেড়ে দেবে,কারন তার ব্যবসা শুরুর আগেই আমি লালবাতি জ্বালানোর ভাও করতাসি।

এই ছবিটার শিরোনাম কি হওয়া উচিৎ?


সবার কাছে মতামত চাই। আমিও দুই একটা মতামত লিখছি-
1 (নিখোজ সংসবাদ) এদেরকে ধরিয়েদিন।
2 (সখি তুমি কার)
3 (এক ফুল দুই মালি)
4 (আইলো সখি-কক্সবাজার যাই----------------------)

আড্ডা আমার জন্য আনেক আনন্দের বিষয়


আড্ডা আমার জন্য আনেক আনন্দের বিষয়।আর ঔটা যোদি হয় CSM এর,নিজের শৈশবের মানুষ গুলোকে এক সথে দেখা তাহলে তো আনন্দের শেষ নেই।যখন থেকে আড্ডর বেপারে লিখা হলো 

CSM pageএ আমি বার বার বিরক্ত করছিলাম Anisur Rahman Reza চাচু কে।কখন আড্ডার তারিখ টা ঠিক করা হবে আমাকে জানানোর জন্যে।কারন আামার আবার ছুটি নিতে হবে অফিস থেকে।অবশেষে ঠিক হলো ২৯তারিখ সেইGrand Addar দিন।তারপর মিথ্যা বাহানা বানিয়ে ছুটি নিয়ে চেল গেলাম দেশে। ২৮ তারিখ রাত আমার চেয়ে আমার আববুর ইচছা দেখি আরো বেশি আড্ডার ভেনুতে যওয়া।যওয়া হলো আড্ডার ভেনুতে।দেখা হলো সেই সুন্দর আড্ডার জায়গাটা আর শৈশবে না দেখা আনেক মূখ।যাদের দেখে আর কথা বলে মনেই হয়নি যে আগে কখনো দেখি নি। ঔ দিন রাতে অনেক মজা করলাম,সবাই একসাথে দোকানে বসে চা খেলাম।তারপরদিন ২৯ তারিখ সেই আপেক্ষার দিন আসলো।সকালে সপরিবারে চলে গেলাম আড্ডা দেয়ার জন্য।

বুকে দ্রুম দ্রুম আর দ্রিম দ্রিম যেটাই হোক না কেনো ওটা যে মরীচিকা


বুকে দ্রুম দ্রুম আর দ্রিম দ্রিম যেটাই হোক না কেনো ওটা যে মরীচিকা, ক্ষনিকের মোহ, অর্থহীন অসাড় এটা সবাই বুঝে।

মরুদ্যান তো সেটা, যেখানে সকালে অফিসে যাওয়ার সময় বউ বলে,"ড্রাইভার কে বলো গাড়ি আস্তে চালাতে", ঠিক মতো অফিসে পৌছেছি কিনা খবর নেয়, দুপুরে খেয়েছি কিনা জানতে চায় ফোন করে, সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরলে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দেয়। আর এদিকে, কোন এক দিন দেরী করে বাসায় ফিরলে মা উদ্বেগ কন্ঠে জানতে চায় কিরে আজ দেরী হলো যে, অবেলায় শুয়ে থাকলে বাবা দরদ ভরা স্বরে জিজ্ঞেস করে, আজো কি তোর প্রেশার হাই। ভাই প্রশ্ন করে প্রেশারের ঔষধ ঠিক মত খাচ্ছি কিনা, বোন খবর নেয় ডাক্তার কি বলেছে বা টেস্টের রিপোর্ট কি?।সর্বোপরি সন্তানের মুখে বাবা বাবা করে ডাক, এটা ওটা প্রশ্ন করা,গলা জড়িয়ে ধরে তার স্কুলের গল্প বলা। এই আবেগ, ভালোবাসা তো তুলনার বাইরে। এই ইমোশনে ড্রেনে পড়া তো দূরের কথা সামান্য পিছলানোরও কোন ভয় নেই। এখানেই সব শান্তি আর সুখ লুকিয়ে আছে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss