স্টীল মিলে থাকতে টুকটাক অনেকেই হাঁস মুরগী পালতো। ঠিক তেমনি আমাদেরও মোটামুটি টাইপের একটা হাঁস মুরগীর খামার ছিল। ডেইলী সকালে মা হাঁসের খোয়ারে যেত মাঝে মধ্যে আমিও যেতাম তখন দেখতাম ৫/৬ টা ডিম খোয়ারে পড়ে থাকতো। যতটুক জানি হাঁস নাকি রাতেই ডিম পারে। সরি হাঁস না, হাঁসি। শব্দটা আমার কাছে হেব্বি লাগতো। বাসায় ২/৩ টা মাটির পাত্র (পাতিল টাইপের) ছিল। সেগুলো ভর্তি ডিম ছিল। আশে পাশের খালাদের কথামত মা মাঝে মধ্যে তখন ডিম বিক্রিও করতেন। ডিমের জোড়া ছিল তখন মাত্র ২ কি ২.৫০ টাকা।
এতোগুলো কথা যে কারনে লিখা এবার সেই কাহিনীতে আসি। একবার আমাদের F - 8 নম্বর এর রুবেল ভাইয়ের ছোট্ট বোন শাম্মী দুইটা ডিম নিল কিন্তু আম্মু কিছু বলার আগেই ও ২ টাকা আম্মুকে দিয়ে বললো "খালাম্মা আস্টো আনা দেওন লাগতো না" মা হাসতে হাসতে বললো আমি তোমাকে দিব নাকি তুমি দেওয়ার কথা। তখন শাম্মী বললো খালাম্মা আস্টো আনা দিয়া হজমী খামু।শাম্মী তখন অনেক ছোট ছিল। বয়স হয়তো হবে ৬/৭। হাহাহহাহ
আজ শাম্মীর বিশাল বড় একটা পোস্ট দেখে মাকে ওর প্রোফাইল পিক দেখালাম আর বললাম এই সেই তোমার আস্টো আনা (৫০ পয়সা)। মা আমার হাসতে হাসতেই শেষ। জানিনা শাম্মীর এই কথা মনে আছে কিনা কিন্তু কিছু কিছু স্মৃতি আজো মনে গেঁথে আছে।
FARHANA SHAMMI বোন তুই আমার ফ্রেন্ড লিস্টে নাই তাই তোকে ট্যাগ দিতে পারলাম না।
No comments:
Post a Comment