আজ আনিসুর রহমান রেজা সাহেব আর সানজিদা আক্তার মলি ভাবির বিবাহ বার্ষিকী

- Kamar Uddin Komu

আজ আনিসুর রহমান রেজা সাহেব আর সানজিদা আক্তার মলি ভাবির বিবাহ বার্ষিকী। ইচ্ছে ছিল দুপুরের পরে উনাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিছু লেখার। কিন্তু দুপুরের পরে একটি নির্দেশিকা পাওয়ার পর আমি একটু অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম। তখন লেখার কথা ভুলে গিয়ে অন্য চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। এখন আবার মনে পড়লো। কিন্তু তখন যে কথা গুলো লিখবো বলে চিন্তা করেছিলাম তার অর্ধেকটায় এখন ভুলে গেছি। 

সানজিদা আক্তার মলি হচ্ছে একজন জনম দুখী বাপ মা হারা মহিলা। বিয়ের আগে রেজা সাহেব উনাকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা তিনি বিশ্বাস করেছেন। আর যদি বিশ্বাস নাই করতো তাহলে উনি কলেজের চাকরি ছাড়তো না। চাকরি না ছাড়লে এত দিনে হয়তো ঐ কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে যেতেন। অবশ্য রেজা সাহেবের কোন দোষ নেই। বিয়ের আগে এই রকম সবাই বলে। উনি এতটুকু বাড়িয়ে বলেন নি। কারন উনার হয়তো ধারনা ছিল মানুষের ভাগ্য পাল্টাতে সময় লাগে না। কিন্তু বিধিবাম চরিত্র না পাল্টানোর কারনে ভাগ্য খুব একটা পাল্টালোনা। অবৈধ উপায়ে চরিত্র বিসর্জন দিলে হয়তো ভাগ্য পাল্টাতে পারতো। কিন্তু রেজা সাহেবের পক্ষে সম্ভব নয় চরিত্র বিসর্জন দেওয়া। তাই উনি এখনো আগের মতো রয়ে গেলেন। আর এই কারনেই মলি ভাবি উনাকে খুবই পছন্দ করে। আমার মনে হয় উনাদের ভালোবাসায় কোন খাদ নেই। 

আনিসুর রহমান রেজা সাহেব মানে আমাদের রেজা ভাই আমাদের সকলের প্রিয়। উনার কোন শত্রু আছে বলে মনে হয়না। উনি অসম্ভব বিনয়ী। উনি সহজে কাউকে কটু কথা বলেন না। উনি গালি দিতে পারে তিনটা (ছোটদের হারামী, বন্ধুদের শালা, আর বন্ধুদের আরেকটি গালি দেন তা লিখা যাবে না)। তাও আবার সবাইকে না, যাদের উনার বেশি পছন্দ তাদের উনি এই গালি গুলি দেন। কলনির থাকার সময়ে উনার সাথে খুব একটা কথা হতো না। কারন উনারা যেদিক দিয়ে হাঁটতেন পারত পক্ষে আমরা সেদিক দিয়ে হাঁটতাম না। শুধু উনারা না এক ব্যাচ সিনিয়র কিংবা জুনিয়ররাও যেদিক হাঁটত আমরা সেদিক দিয়ে হাঁটতাম না। যার যার সম্মান তাকে দেওয়ার জন্য। রেজা ভাইকে কলনিতে দেখেছি উনি কত সহজ সরল ভাবে চলাফেরা করতো। উনার আব্বা মানে চাচা ষ্টীলে মিলে বড় পোষ্টে ছিলো। থাকতো কলনির সবচেয়ে বড় বাসায়। 

কিন্তু তারপরেও রেজা ভাইয়ের মধ্যে অহংবোধ ছিলো না। সহজ ভাবে ছোট বড় সবার সাথে মিশতে পারবো। এখনো রেজা ভাই সেই আগের মতো রয়ে গেছে। এতটুকু বদলায় নি। এখনো দেখা হলে জড়িয়ে ধরে। এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে যেন ছাড়তে চান না। ছোট বড় সবাইকে উনি যেভাবে আপন করে নিয়েছেন তা কম জনেই পারে। উনি কলনিতে থাকার সময় উনার ফিগার ছিল তার অর্ধেকও নেই এখন। ডায়াবেটিস রোগে উনার স্বাস্থ্য কমে গেছে। কিন্তু উনার মনোবল এতটুকু কমেনি। আমাদের সবার উপর উনার আস্থা এখনো অবিচল। রেজা ভাইকে নিয়ে আরো অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু বলতে পারলাম না অদৃশ্য কারনে। রেজা ভাই ভুল কিছু বলে থাকলে ছোট ভাই হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন।

এই বিবাহ বার্ষিকীতে একটাই কামনা আমাদের রেজা ভাই আর মলি ভাবী তাদের একমাত্র কন্যা সারাফকে নিয়ে আজীবন সুখে শান্তি কাটাতে পারে।

Anisur Rahman Reza