Saturday, February 20, 2016

তখন খুব সম্ভবত ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিবো, ১৯৯৩ সাল


তখন খুব সম্ভবত ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিবো, ১৯৯৩ সাল, আমরা কয়েকজন মরহুম ইউনুস স্যারের কাছে ইংলিশ প্রাইভেট পড়তাম, ওখানে যতটুকু না পড়তাম তার চেয়ে বেশী দুষ্টুমি করতাম, আর একাজে আমার আরেক সংগী ছিলো বন্ধু Riman Babu, আমাদের দুষ্টামি তে স্যার খুব অতিষ্ঠ ছিলেন। তো একদিক স্যার আমাদের পড়তে বসিয়ে ভিতরের রুমের দিকে গেলেন আর এ সুযোগে আমি আর রিমান আমাদের যত রকম বাঁদরামি আছে সব চালাতে লাগালাম, এমন করতে করতে স্যার যে বিছানায় বসে পড়াতেন তার তোষকের নীচে হাত চলে গেলো, তোষক আলগা করে দেখি তার নীচে একটি বিশ টাকার নোট আর দু প্যাকেট ইন্টেক সোর্ড ব্লেড, আমি আর রিমান দুজনেই ইংগিত পূর্ন হাসি দিয়ে ঐ বিশ টাকা আর ব্লেডের প্যাকেট দুটো সরিয়ে নিয়ে সুবোধ বালকের মত পড়া শেষ করে বাজারে চলে এলাম, সেখানে ব্লেড গুলো ভাই ভাই স্টোরে বিক্রয় করে ১০ টাকা সহ মোট ৩০ টাকা দিয়ে মুন বেকার্সে আমি আর রিমান পেট ভরে নাস্তা করে নিলাম। স্যার কোনদিন ব্যাপার‍টি জানতে পারেন নি। আজ BabuZahid এর হক স্যার কে নিয়ে লেখাটি পড়ে আমার এই কাহিনী টি মনে পড়ল। আজ যদি সুযোগ পেতাম তাহলে স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতাম, আল্লাহ যেনো আমাদের সবার প্রিয় মরহুম ইউনুস স্যারকে বেহেশত নসীব করে। আমীন।

CSM colony সবাইকে দেখি অনেক মজার মজার ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা লিখে


CSM colony সবাইকে দেখি অনেক মজার মজার ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা লিখে ।তেমনি আমার একটা কথা এখন মনে পরছে তখন আম ক্লাস ১০ পরতাম। আমাদের হক স্যার এর কাছে আমি private পরতাম.সকাল ৭ টা থেকে ৮ টা পযন্ত।আমার সাথে আরো পরতো ঝংকার ক্লাবের স্বঘোষিত আজীবন সভাপতি মুসলিম উদ্দিন সিকদার।একদিন সকালে পরতে গেলে মুসলিম আমাকে বলে বাবু স্যারের পকেটে একটা ৫০ টাকা দেখছি চল আমরা নিয়ে ফেলাই।আমি বললাম ঠিক আছে আমরা ৫০ টাকা নেওয়ার পর দুজনে ২৫ করে ভাগ তরে নেই।মাসের শেষে যখন আমি স্যার কে বেতন দিতে গেলাম তখন স্যার আমাকে বলে বাবু তুই এ মাসে বেতন দেবার সময় ৫০ টাকা বেশি আনবি। আমি বললাম কেন স্যার বেতন তো ২০০ টাকা ২৫০ টাকা কেন দিবো। স্যার আমাকে বলে কথা বেশি বলিছ না । মুসলিম আমাকে বলে দিছে তুই ৫০ টাকা মারি দিছচ। তখন আমি স্যার কে বললাম স্যার তাহেল ২৫ টাকা মুসলিম কে আনতে বলেন। কারন ও ২৫ টাকা ভাগ পাইছে।।।আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুক

সময় টা ১৯৯১ এর বন্যার পর পর


সময় টা ১৯৯১ এর বন্যার পর পর।আমি ক্লাস থ্রি তে।আমাদের বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা ক্লাস নিতেন টিপু ভাইয়ের মা, নাজমা আপা।আপার ক্লাস ছিল টিফিনের পর।

প্রতিদিন সাধাসিধা ভাবে আপা ক্লাস নিতে আসতেন।হল্লা, চিতকার, চেঁচামেচি এগুলা পছন্দ করতেন না।তাই বলে রেগে থাকতেন তাও নয়।বুঝিয়ে বলতেন।আমাদের ক্লাসে নাজিমও ছিল।ও ছিল খুব শান্ত।ক্লাসে হৈ হূল্লোড় করত না।এজন্য নাজমা ওর একটা নামও দিয়েছিলেন। ক্লাসে বেশি দুষ্টামি বা বাঁদরামি করলে আপা একটা কথা বলতেন প্রায়ই,সেটা হল- "শোন, শুধু লেখাপড়ায় ভাল হলেই হয় না,স্বভাব-চরিত্র এগুলো ভাল হতে হয়।যে ছেলে শুধু ছাত্র হিসেবে ভাল কিন্তু ব্যবহার জানেনা,বেয়াদবি করে তাকে আমি কখনোই ভাল বলিনা। কেউ হয়ত লেখাপড়ায় ভাল নাও হতে পারে কিন্তু যখন তার চরিত্র সন্তোষজনক হয় তখন সবাই তাকে ভাল বলে" তখন আপাকে খুশি করার জন্য পিরিটন সিরাপের মত মাথা ঝাঁকালেও মনে মনে ভাবতাম, পড়া শিখলে সাত খুন মাফ। আদব কায়দা এগুলা বই আর বড়দের ব্যাপার। 

কিন্তু এখন এ সময়ে এসে মনে হয়, নাজমা আপার কথা গুলো যেন পুরো টাই সত্য।পড়াশোনায় ভাল হবার কারণে কারো হয়ত ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর ডিগ্রী থাকতে পারে,কিন্তু ভাল ব্যবহার, চরিত্র এগুলোর কাছে ওই ডিগ্রী কে মাঝে মাঝে হার মানতে হয়।

আমি আমাকে নিয়ে চিন্তিত


আমি আমাকে নিয়ে চিন্তিত।কেন জানি মনে হয় আমার উপর আমার নিয়ন্ত্রন নাই।কোন সিদ্বান্ত বাস্তবায়নের আগে অনেক কিছুই ভাবতে থাকি।মাঝে মাঝে মনে হয় তৃতীয় শ্রেনীর এই মেধা নিয়ে আমি পথ চলার সত্যিই অযোগ্য।ছোট বেলায় কয়েক বন্ধু মিলে(বন্ধু হাফিজও ছিলো) একটা ফুটবল ক্লাব করছিলাম বেশ ভালই চলছিল। কিছুদিন পর শুরু হল সমস্যা - বিভিন্ন জনের পছন্দ অপছন্দ গুলো সামনে আসতে শুরু করল।

কারো কারো দাবি এমন উদ্ভট ছিলো যে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়।কখন সিদ্বান্ত সিদ্বান্ত নেই ওকে বের করে দিব।আবার মাঝে মাঝে মনে হয় নিজই বের হয়ে যাব।কিন্তু কোনটাই আমাকে দিয়ে হয়না। আমি ছিলাম আবার ঐ ক্লাবের সভাপতি।অথচ আমার বন্ধুদের সিদ্বান্ত কত সহজ ছিল।সহজেই জানিয়ে দিত ও থাকলে আমি থাকবো না বা ও খেললে আমি খেলবোনা।অথচ আমি ভাবতে থাকি কাউকে বাদ দিলে সে কতটুকু অপমান বোধ করবে।শেষমেষ চেষ্টা করি উভয় পক্ষকে বুঝাতে।ফলাফল উভয় পক্ষের কাছে ভিলেন হয়ে যাই আবার কখনও কখনও কেউ কেউ আমাকে ছেড়ে চলে যায়।হায়রে বিধি এমন মেধাই দিলা কারো আপনই হতে পারলাম না।

রাত ৩.৩০ বাজে এখন কোন মতে 2G লাইন পুরাপুরি পাইতাসি


রাত ৩.৩০ বাজে এখন কোন মতে 2G লাইন পুরাপুরি পাইতাসি,3G তো দুরের কথা মোবাইল কোমপানি গুলি ভালোই তামাশা করে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া নাকি তাদের 3Gকভারেজের আওতায়,মাঝে মাঝে কোন মতে লাইক দেয়া যায়,2G যেমন বিকালে চালু করলে ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় রাত হয়ে যায়,ঢাকা চিটাগাং এর মাঝখানে এই করুণ দশা আর পুরা বাংলাদেশে কেমন সেটা এক উপর ওয়ালাই জানে,এই তো শুরু ডিজিটাল যুগ,আবার শুনতাছি 4G চালু হবে তাহলে তো লাইক ও দেওন যাইবো না মনে হয়

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss