Saturday, April 23, 2016

ভূলবোনা তোমাকে


জন্মের পর থেকে স্টীল মিল কলোনীর আলো বাতাসে বড় হয়েছি। সব সময় ছোট বড় সকলের স্নেহ ভালবাসা পেয়েছি। কলোনীতে কতইনা দুস্টমি করেছি ডাব চুরি পেপে চুরি আম চুরি এমন কি জেরিন আপার পরিক্ষার খাতা চুরি এই চুরি করতে গিয়ে কত বিপদেই না পরেছি।

যতই দুস্টমি করি না কেন কখনো কারো সাথে বেয়াদবি করিনি। আমাদের দুশটমির জন্য মুরব্বিরা আমাদের কতইনা বকা দিয়েছেন পরক্ষনে আবার ডেকে ছাত্তার স্টোরে খাইয়েছেন। এটাকে কি বলবেন শাষন না ভালবাসা। রাস্তায় চলাফেরার সময় কখনো মুরব্বি এমন কি বড় ভাইদের সামনে সামনে কখনো হাটিনি।বড় ভাইয়েরাও ঠিক তেমনি আমাদেরকে দেখলে উনারা নিজ থেকে সরে যেতেন।

আমরা কলোনি থেকে বের হয়ে টি এস পি কলোনির পাশে বাড়ি করে এখানেই আছি, আজ ১৭ বছর এখনো আমি পাশের বাড়ির মানুষকে চিনিনা। প্রথম প্রথম এখানকার ছেলেদের সাথে মিশতে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি ওদের সাথে কোনো ভাবে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারিনা। ওদেরকে খারাপ বলার কোনো অবকাস নেই কিন্তু পারিনা কোথায় যেন একটা কিসের অভাব অনুভব করি।

সি এস এম কলোনিতে আমার জন্ম


সি এস এম কলোনিতে আমার জন্ম.আমার আম্মু নতুন বউ হয়ে এখানে আসেন. আমার আব্বুর কবর ও এখানে.তাই সি এস এম কে ছেড়ে কখনোই দূরে থাকতে পারবো না.আমার কাছে সি এস এম মানে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের বড় হওয়া.আমার বড় বোনদের বিয়ে. সি এস এম মানে পাগলা সুজন যার জ্বালাতন খুব মিস করি.আমার শাহআলম কাকা.সি এস এম মানে মুজিব ভাই হাফিজ ভাই ও মোজাম্মেল ভাই. সি এস এম মানে দাওয়াত না পাওয়া জসিম ভাই ও রুবা আপার বিয়ে. আশিষ দা দেবুদা দা(পড়ার জন্য ওনাদের হাতে আমরা তিন ভাইবোন প্রচুর বকা খেয়েছি).সি এস এম মানে চন্দন চাচা ওচাচি যারা আমাকে আব্বু ও আম্মুর অবর্তমানে মেয়ের মতো মানুষ করেছেন.সি এস এম মানে তারিক ভাই যার সুস্থতা আমাদের সবার চাওয়া ...

সেই সি এস এম কলোনি ছেড়ে কোথায় যাব আমি? কেন যাব? যাব না কোথাও. যেতেওও চাই না কোনোদিন.

কেয়ামতের জোয়ার চলছে মানে কেয়ামত সে কেয়ামত তকের জোয়ার চলছে চারিদিক


কেয়ামতের জোয়ার চলছে মানে কেয়ামত সে কেয়ামত তকের জোয়ার চলছে চারিদিক, তখন ক্লাস নাইনে পড়ি, সকালে ঘুম থেকে উঠলেই হায় মেরে হাম সফর, ঘুমাতে যাবার আগেও হায় মেরে হাম সফর।শুনতে খারাপ লাগেনা, ততদিনে আমি এই ছবির মহা ভক্ত। প্রতিদিনই এই সিনেমা টি নিয়ে পোস্টমর্টেম করি। 

৮৯ সালের রোজার মাস, এক রৌদ্রজ্জ্বল সকালে একটি আকাশী কালারের খাম, ভিতরে সুন্দর একটি ঈদ কার্ড আর সাথে নীচে সংযুক্ত নীচে প্রদর্শিত এই ভিউ কার্ড টি। 

তারিখ টি মনে রাখলে ভালো হতো কারন ওই দিনটি থেকেই আমি জুহিচাওলার একেবারে কানা ভক্ত। তবে আফসোস, ঈদ কার্ড সহ এই ঐতিহাসিক ছবিটি কিছু দিনের মধ্যেই ধরা পড়ে এবং আমি রিমান্ডে যাই।

আমরা যারা ফেইসবুক ব্যবহার করি


আমরা যারা ফেইসবুক ব্যবহার করি। তাদের ব্যক্তিগত ফেইসবুকে একাউন্টে কম বেশি অনেক ফ্রেন্ড আছে। তার নিজস্ব ওয়ালে / একাউন্টসে সেখানে অনেক কিছু লিখতে পারে। অনেক কিছু পোষ্ট দিতে পারে। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার ব্যক্তিগত পোষ্টে যারা কমেন্টস করবে কিংবা লাইক দিবে, সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যাপার। ব্যক্তিগত পোষ্ট থেকে কিছু লাইক / কমেন্টসের সূত্র ধরে CSM COLONY'র পেইজে রেষটানা কিংবা এটা নিয়ে পোষ্ট দেওয়া মোটেও উচিত কাজ বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু আমার জানামতে কেউ কেউ এ কাজ করছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা ব্যক্তিগত পেইজ এবং CSM COLONY'র পেইজ দুইটারে এক করবেন না। দুইটা সম্পুর্ন আলাদা পেইজ। সিএসএম কলনির সবাই কিন্তু আমার ব্যক্তিগত পেইজে ফ্রেন্ড লিষ্টে নাই। হয়তো আমাকে চিনে নাই, নয়তো আমি চিনি নাই। যারা আছে তাদের সবার সাথে মুটামুটি ভাল সম্পর্ক আছে। আরেকজনের সাথে হয়তো নাও থাকতে পারে। এমনও দেখেছি সিএসএম কলনির পেইজ থেকে পরে ব্যক্তিগত পেইজে ফ্রেন্ড হয়েছে। কিন্তু সবাইকি একজনের আরেকজনের ভাল বন্ধু হতে পেরেছে? পারেনি বা সম্ভবও না। তাই আপনাদেরকে আবারও অনুরোধ করছি ব্যক্তিগত পেইজ থেকে কোন কিছু বা বিষয় নিয়ে সিএসএম পেইজে আলোচনা/আক্রমন করবেন না কিংবা সিএসএম পেইজ থেকে কোন কিছু বা বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত পেইজে আলোচনা / আক্রমন করবেন না।

আশাকরি এখন থেকে আমরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবো।
সবাইকে ধন্যবাদ। 
ভাল থাকবেন।

তানিয়ার এই অরজন একই সাথে বিনম্র নিবেদন শুধু ওকে নয় এই পেজের সবাইকে মহিমান্বিত করেছে


তানিয়ার এই অরজন একই সাথে বিনম্র নিবেদন শুধু ওকে নয় এই পেজের সবাইকে মহিমান্বিত করেছে।সুখের কথা শেয়ার করলে সুখানভূতিটা বেড়ে যায় আর দুখের বেলায় হয় উলটো।
সুতরাং সুখ-দুখ শেয়ার করতে কোন কুন্ঠা না থাকাই ভালো। অন্যদেরও সেভাবেই নেয়া উচিৎ।
২০০৪ সালে আমি আর মমিন ভাই উদ্যোগী হয়ে ঢাকার রমনা রেস্টুরেন্টে একটা CSM গেট টুগেদার করেছিলাম।
সে উপলক্ষএ "চিমনি নয় স্মৃতির মিনার " নামে একটা লেখা লিখেছিলাম। লেখাটা প্রকাশ করতে পারিনি। 
দুখের বিষয় হাড কপি, সফট কপি দুটোই হারিয়ে ফেলছি। অনুসন্ধানে থাকব।
খুঁজে পেলে তানিয়ার হাত ধরে বলবো-
"ভাই, তোমার সম্পাদককে ধরে আমার লেখাটা একটু ছাপিয়ে দাও না। "
তানিয়া নিশ্চয় আমার অনুরোধ ফেলতে পারবে না।

বন্ধু রেজা।।


যার হাসি অমলিন। পৃথিবীর শ্রেস্ট মানুষদের মধ্য একজন। বয়সের বিস্তর ব্যাবধান সত্বেও আমার কাছে ওর গ্রহন যোগ্যতা সীমাহীন। আমাকে যদি বলা হয় পৃথিবীর মানবীয় গুন সম্পন্ন তিন জন মানুষের নাম বলতে, তা হলে অবশ্যই রেজার নাম বলবো। ওর জন্য নোবেল সংগ্রহ করেছি।। কোন এক অনুস্টানে তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হবে।

প্রথমে বিনম্রভাবে বলতে চাই ব্যক্তিগত প্রচার করছি না


প্রথমে বিনম্রভাবে বলতে চাই ব্যক্তিগত প্রচার করছি না।সি এস এম আমার ও আমাদের জায়গা বলে আমার প্রাপ্তিটুকু শেয়ার করছি। তার কারণ: এর মাধ্যমে সি এস এম এর বিশাল প্রাপ্তিকে বড় পরিসরে জানাবো।

আমি গত ২ দিন আগে সমকাল সংবাদপত্রের অঙ্গ সংগঠন " সমকাল সুহৃদ " নামে সংগঠনের সহ- সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।সমকাল পত্রিকায় সি এস এম ভাই - বোন- কাকা-ফুফুদের লেখাগুলো( সি এস এম এর আনন্দ বেদনা) প্রকাশ করে আমাদের সি এস এম কে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই। যেন সমকাল পত্রিকাসহ দেশবাসী সি এস এম লেখকদের জাত চিনুক।লেখা নির্বাচন করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক।মূল বিষয়বস্তু ঠিক রেখে লিখে ফেলুন কাকা,ফুফু,ভাই, কাকা।

আবারো বলছি, আমার এই বিষয়টিকে প্রচার বলে দেখবেন না।আমরা আমরাইতো ভেবে জানালাম।

সম্পর্ক এর শিরা উপশিরা


কাল দুপুরের ঠিক আগে রুনা আপা আমাদের বাসায় এসেছিলেন। আমি তখন বাসায় ছিলাম না।রুনা আপা, Khurshed Alam Manik ভাইয়ের ছোট বোন, টিটু ভাইয়ের স্ত্রী। একসময় আমাদের নিচতলা তে থাকতেন।তারপর সিটাইপে চলে যান।তারপর অনেকদিন দেখা নেই।প্রায় বিশ বছর।

কাল আবার দেখলাম।কিন্তু বেশি কথা বলতে পারিনি।আম্মার সাথে বেশির ভাগ কথা বলছিলেন। আমি নামাযে চলে গেছিলাম।ফিরে এসে আর দেখিনি।তাহলে একটা ছবি দিয়ে দিতাম। রুনা আপা আম্মার সাথে কথার ফুল ঝুড়ি খুলে বসলেন। নতুন জমে থাকা কথা, পুরনো কথা।আপার সাথে গল্প করতে করতে আম্মার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।পুরনো মানুষকে খুজে পেয়ে যেন আবার পুরনো দিনগুলোতে ফিরে গেলেন দুজন।

এই রুনা আপা একসময় ছিলেন আমাদের প্রতিবেশী। ঘটনা চক্রে এখন আত্মীয়া।রুনা আপার বর টিটু ভাই এর ছোট বোন বাচ্চু আপার বর আমার মামাত বোনের খালাত ভাই।সেই সূত্রে মানিক ভাই, টিংকু ভাই আমার বেয়াই।

আসলে স্টিল মিলস কলোনি র সবাই কোন না কোন এক অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ, যা দেখা যায় না শুধু অনুভব করা যায়

আজ ২৩ এপ্রিল


আজ ২৩ এপ্রিল, ঠিক ১৭ বছর আগে ১৯৯৯ সালের এই দিন আমি পুরোপুরিভাবে কলোনি তথা চিটাগাং শহর ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি চাকুরী তে জয়েন করার জন্য। তখন স্টিল মিল বন্ধ হওয়ার পথে, আমার ফ্যামিলি র সবাই কলোনি তেই আছে। খালি আমি বের হয়ে যাচ্ছি।

এই চিটাগাং শহরেই আমার জন্ম, বেড়ে উঠা, বুক টা কষ্টে ফেটে যাচ্ছিল এই শহর ছেড়ে আসতে। তবে সেদিন ঠিক সময়মত চিটাগাং ছেড়ে ঢাকা এসেছিলাম বলেই হয়ত আজ কর্মজীবনে এতদূর আসতে পেরেছি। 

আসলে সময়মত অনেক কিছুই ছেড়ে আসতে পারাটাই বা ছেড়ে দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss