Friday, May 20, 2016

গতকাল রাত (১৯/৫/১৬) সাড়ে নয়টার দিকে হোটেলে রুমে ব্যাগ টা রেখেই আবার বাইরে চলে যাই


গতকাল রাত (১৯/৫/১৬) সাড়ে নয়টার দিকে হোটেলে রুমে ব্যাগ টা রেখেই আবার বাইরে চলে যাই, রাত ১১ টায় রুমে এসে ব্যাগ থেকে কাপড় বের করতে গিয়ে দেখি ব্যাগে আমার ছেলের একটি খেলনা। এটা দেখে বুকের মাঝে কেমন জানি হু হু করে উঠল। বাসায় ফোন করে জানলাম ছেলে ব্যাগের মধ্যে আমার অজান্তেই তার এই খেলনা ( একটি প্লাস্টিক এর ব্যাঙ) দিয়ে দিয়েছে। ব্যাগ খুলেই যাতে খেলনা টি দেখে আমি ভয় পাই সে জন্য সে এটি করেছে, এ ধরনের খেলা সে বাসায় সবার সাথেই খেলে। মনটা ভরে গেল চিটাগাং এসেও তার খেলা থেকে আমি বঞ্চিত হইনি এটা ভেবে।

ফ্যামিলি রেখে এক দিনের জন্যও ঢাকার বাইরে কোথাও গেলে নিজেকে মজা করে স্বাধীন বলি, কিন্তু এ স্বাধীনতার ভিতরেই বুকের মাঝে কোথায় যেন একটা খচখচানি রয়ে যায়। আর এ খচখচানি টা হচ্ছে নিজের সন্তানের জন্য।

আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের টিফিন ছিল ইউনুস ভাইয়ের দোকান থেকে


আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের টিফিন ছিল ইউনুস ভাইয়ের দোকান থেকে ১ টাকা দিয়ে নিমকি বিসকুট চারটা,ঝাল আচার,মটর ভাজী আরও কত কি।তা খুব টাকার আট পরিমানেও কম।আবার সকুলে তাহের ভাইকে দিয়ে সিঙগারা আনানো।তাও আবার বাসা তেকে দুই টাকা সবসময় পাওয়া যেতো না। কিনতু এখন আমার ছেলেকে একেক দিন নতুন নতুন সব আইটেমের টিফিন বানাই দিতে হবে।একটা আইটেম দুইবার নিবে না।সকুলে জাওয়ার আগে আজকে কি দিস। এটা হলে নিব ও টা নিব না।মানে এ টিফিন নিয়ে মহা চিন্তাই। একদিন ডিম পরোটা,চপ,কাবাব,পিজজা,বারগার,স্যানডুইস,চমুচা আরও কত কি।সব ঘরে বানাইতে হয় আমাদের ঘরে বাহিরের কোনো খাবার চলে না।তাই সকালে ঘুম ভাঙগলে আমার ওর টিফিন কি দিব এ চিনতা।আমি জানি সব মায়েদের একই অবস্তা।আর আমরা আমমারা দুইটা রুটি যুদি আলু ভাজী দিয়ে দিত কত খুশি হইতাম,কত মজা কটে খেতাম।আর এখনকার বাচচাদের একদম খুশি করা যায় না।একদম বদের হাডিড।তবে আমিও বলেছি আমি তোমাকে নিত্যনতুন মজার মজার টিফিন দিব কিনতু তোমাকে পড়ালেখা আর আমার কথা শুনতে হবে।অবশ্যই সেটাই করে তবে দুষটামিটা সে অনেক বেশি করে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss