Friday, February 26, 2016

অনু নাকি পরমানু

- Mohammad Arif

অনু নাকি পরমানু!
ছড়া নাকি কাব্য....
কি ছিল মর্মটা?
কি তার ভাব্য.....
কি নিয়ে লিখালিখি
উঁকি দিই দেয়ালে....
একজনে লিখলেই!
ডাকাডাকি শেয়ালে...
যে যাই লিখুক না
অনুছড়ার রীতিটা.....
টেনে অানে অতীত
টেনে অানে স্মৃতিটা.....!
Inspired from atiq csm 

মামুন ভাই বললেন "তরু তুই আড্ডা নিয়ে তোর অভিজ্ঞতা লিখ"


মামুন ভাই বললেন "তরু তুই আড্ডা নিয়ে তোর অভিজ্ঞতা লিখ"
আমি তাই লিখতে বসলুম tongue emoticon
.
.
ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে নাকি নভেম্বরের শেষ দিকে আমার তা ঠিক মনে নেই । একদিন আব্বু আম্মু বাইরে থেকে এসে বললো কলোনীবাসীর রিইউনিয়ন হবে । আমি তো শুনে খুশিতে আটখানা । কতদিন পর সবাইকে দেখবো!
গেলাম আমার বড় আন্টির ছেলে জুয়েল ভাইয়ার কাছে ডিটেইলস জানতে। তখন জুয়েল ভাইয়া আমাকে এই গ্রুপে এড করলো । গ্রুপে এড হয়ে যেন আমি বিশাল এক রাজ্য খুঁজে পেলাম যেখানে সবাই আমার খুব আপন মানুষ । প্রথম প্রথম আমি কাউকেই আসলে চিনতাম না,কারন আমার সাথে সবারই বয়সের ডিফারেন্স অনেক বেশি,আমি যখন খুব ছোট তখনই বেশির ভাগ ভাই বোনেরা কলোনী ছেড়ে চলে গেছে । যাই হোক সবাই আমাকে অনেক আপন করে নিলো যেটা আমার কাছে কল্পনাতীত ব্যাপার ছিল । আড্ডার আগে শায়লা আপু,সামী ভাইয়া, বন্যা আন্টি,আতিক ভাইয়া,রাসেল ভাইয়া ছাড়া আসলে তেমন কাউকেই চিনতাম না আমি । 

আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম গ্র্যান্ড আড্ডার ।

খানা খাজানা (শেষ পর্ব)


২৯/০১/২০১৬ তারিখ সকাল বেলা লিটন সজিবকে নিয়ে গেলো মুরগি আনতে। সাতটা বাজে রাজিব বললো ভাইয়া আপনি বাসায় গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আসেন। আমি রাজি ছিলাম না। বাসায় আসার দশ মিনিট পর লিটন ফোন দিল সাইজ মতো মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার বেরিয়ে পড়লাম। বাসা থেকে সবাই আমার সঙ্গে যেতে চাইলো। আমি মুরগির সন্ধানে যাচ্ছি বলে কাউকে সঙ্গে নিতে পারলাম না। অনেক কষ্টে সাইজ মতো মুরগি পাওয়া গেলো। সবাই সেজেগুজে স্পটে আসছে আর আমি জবাই করা মুরগির বস্তা নিয়ে স্পটে গেলাম। গিয়ে দেখি তখনো সকালের নাস্তা আসে নাই। ইমরুলকে ফোন দিলাম নাস্তা নিয়ে তাড়াতাড়ি আসার জন্য। নাস্তাও আসলো এবং সাথে সাথে বিতরন শুরু করে দেওয়া হলো। নাস্তা নেওয়ার জন্য মাইকে ঘোষনা দিতে গিয়ে দেখি মাইক শাহিন ভাইয়ের দখলে। শাহিন ভাইকে বললাম ঘোষনা দেওয়ার জন্য। 

এদিকে বাবুর্চির লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম কোন কিছু লাগবে কিনা? তারা বললো আপাতত কিছু লাগবে না। গেলাম স্টেজ এর দিকে। দেখি রেজা ভাই একেকজনের নাম ধরে ডাকছে। এক পাশে দাঁড়ালাম। একটু পরে আমাকেও ডাকলো। স্টেজে উঠলাম সবাই লাইন ধরে দাঁড়ালাম আবার একটু পর নেমেও গেলাম। কেন উঠানামা বোধগম্য হলো না। যেখানে বাচ্চাদের খেলা হচ্ছে সেখানে যাওয়া মাত্র বাবুর্চির লোকে ফোন দিল লবন লাগবে। তাড়াতাড়ি এসে মাসুক ভাইয়ের লোকটাকে পাঠালাম লবনের জন্য। 

প্রজাপতি


ছোটবেলায় মুন্নি আপাকে দেখতাম মানিক ভাইয়ের কাছে পড়তে আসতে।মাঝে মাঝে টিংকু ভাই, উনার ছোট ভাই, ছোট্ট রেশমাকেও দেখতাম মানিক ভাইদের বাসায় আসতে।বুঝতাম দুই পরিবারের মধ্যে ভাল একটা সম্পর্ক আছে।কিন্তু এর গভীরতা কতটুকু তা মাথায় আসেনি। তবে মানিক ভাইয়ের সাথে মুন্নি আপার বিয়ে হবে সেটা কখনো চিন্তা করিনি।

কলোনি তে যেদিন বিদ্যুৎ থাকত না সেদিন আমরা রাতে বের হলে মানিক ভাই আমাকে আলীবাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প বলতেন।কিন্তু মজার ব্যাপার হল উনি কখনোই পুরো শেষ করতে পারতেন না।গল্প বলার সময় উনি এতে নাটকীয়তা যোগ করতেন। ফলে গল্পের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যেত। তাই গল্প শেষ হবার আগে বিদ্যুৎ চলে আসত।আর আমিও বাসায় চলে আসতাম।

গ্রান্ড আড্ডায় কোন পোশাক বা শাড়ি পড়বে বউ বাচ্চা দুজনেই সিলেক্ট করে ফেলেছে


গ্রান্ড আড্ডায় কোন পোশাক বা শাড়ি পড়বে বউ বাচ্চা দুজনেই সিলেক্ট করে ফেলেছে, এবার আমি কোন শার্ট টা পড়ব, বউ জিজ্ঞেস করল, বললাম আকাশী শার্ট টা পড়ব, বউ এবার বলে উঠল, আকাশী শার্ট কেনো, গ্রান্ড আড্ডায় খুব রোমান্টিক সাজার ইচ্ছা তাইনা? আমি আর কিছু বললাম না। মেরুন শার্ট টা ব্যাগে ভরলাম, অনেক পুরোনো শার্ট, আর আকাশি শার্ট টি চিটাগাং জার্নির দিন পড়লাম, ভাবলাম এবার কিছু হবেনা। আড্ডা র সকালে মেরুন শার্ট টি পড়লাম,বউ হঠাৎ বলে উঠল এতো পুরানো শার্ট পড়লা কোন রহস্য আছে নাকি, আমি বউরে বিভ্রান্ত করতে একটা রহস্য ময় হাসি দিলাম।

বাসার আশপাশে কোন এক জায়গা থেকে "নাগিন নাগিন" গানটা শোনা যাচ্ছে


বাসার আশপাশে কোন এক জায়গা থেকে "নাগিন নাগিন" গানটা শোনা যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত এই গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়ছি।আড্ডার দিন যে বড় ভুলটা আমি করেছি সেটা হল অনেক দেরিতে পৌঁছানো।যাইহোক শারীরিক শিক্ষা কলেজে ঢুকতেই দেখি অনিকাও মাত্র এসছে।আম্মা দাঁড়িয়ে আছে হিমেলভাইয়ের আম্মার সাথে।জসিমভাই মাশুকভাইয়ের সাথে দেখা হল।মাশুকভাইকে কত্ত বছর পর দেখলাম।স্মৃতিকাতর হয়ে চোখ ভিজে উঠার আগেই দৌড় দিলাম মূল অনুষ্ঠানের দিকে।হুম আসলেই দৌড় দিয়েছিলাম কিন্তু।গিয়ে দেখি আমার প্রাণের বন্ধুরা ওইখানেই আছে।ওদের সাথে কথা বলতে বলতে দেখি বন্যাপা কথার ফুলঝুরি দিয়ে স্টেজ মাতাচ্ছেন।বন্যাপার সাথে কথা বলে ফিরে আসতেই ইয়াসমিন আপা আর খালাম্মার সাথে সাক্ষাত।ইয়াসমিন আপাকে যে কত বছর পর দেখলাম।উনাদেরকে দেখে কিছুক্ষণের জন্য আমি আমার শৈশবে ফিরে গেলাম।ইয়াসমিন আপার কন্যা সুবহা'র সাথে ছবি টবি তুলে আম্মা নিয়ে গেল সুমা নাসরিন আপার কাছে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss