ছোটবেলায় মুন্নি আপাকে দেখতাম মানিক ভাইয়ের কাছে পড়তে আসতে।মাঝে মাঝে টিংকু ভাই, উনার ছোট ভাই, ছোট্ট রেশমাকেও দেখতাম মানিক ভাইদের বাসায় আসতে।বুঝতাম দুই পরিবারের মধ্যে ভাল একটা সম্পর্ক আছে।কিন্তু এর গভীরতা কতটুকু তা মাথায় আসেনি। তবে মানিক ভাইয়ের সাথে মুন্নি আপার বিয়ে হবে সেটা কখনো চিন্তা করিনি।
কলোনি তে যেদিন বিদ্যুৎ থাকত না সেদিন আমরা রাতে বের হলে মানিক ভাই আমাকে আলীবাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প বলতেন।কিন্তু মজার ব্যাপার হল উনি কখনোই পুরো শেষ করতে পারতেন না।গল্প বলার সময় উনি এতে নাটকীয়তা যোগ করতেন। ফলে গল্পের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যেত। তাই গল্প শেষ হবার আগে বিদ্যুৎ চলে আসত।আর আমিও বাসায় চলে আসতাম।
মানিক ভাই আর মুন্নি আপার সম্পর্ক এর পরিনতি দেখে আমার মনে একটা ধারনা জন্ম নেয় যে ছাত্রী পড়াতে গেলে সে বউ হয়ে যেতে পারে।তাই আমার কাছে ছাত্রজীবন এ কোন মেয়েকে পড়ানোর প্রস্তাব আসলেও তা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছি।কারন দীর্ঘ দিন ধরে দুটো মানুষ একটা নির্দিষ্ট সময় কাছাকাছি থাকলে তাদের মধ্যে ভাললাগা বা মানসিক নির্ভরতা সৃষ্টি হতে পারে, সেটা দোষের কিছুই নয়। তবে সেটাকে আজীবন বহন করার সাহস সবার থাকেনা।মানিক ভাই সেই সাহস দেখিয়েছেন।
আঠার বছর একসাথে। কম সময় নয়।এই দীর্ঘ সময় দুইজনের দুজনের পাশে ছিলেন।তবে এতদিন পরেও দুজনের প্রতি দুজনের ভালোলাগা, মুগ্ধতা নিশ্চয় এতটুকু কমেনি,বরং বেড়েছে।
হিন্দু ধর্মে প্রজাপতি কে নাকি বিয়ের প্রতীক মনে করা হয়।মানিক ভাই আর মুন্নি ভাবীকে আঠারতম বিবাহ বার্ষিকী তে প্রজাপতির রঙিন পাখার রং মাখা শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন দুজন, আরো অনেকগুলো বছর একসাথে পাড়ি দিন,দুজন দুজনের পাশে থাকুন সবসময়। আজ এটুকুই থাক
No comments:
Post a Comment