Wednesday, December 9, 2015

৯১ এর পরে স্টিল মিলের ক্রান্তিকাল শুরু হয়

- Atiq CSM

৯১ এর পরে স্টিল মিলের ক্রান্তিকাল শুরু হয়, কর্মী দের বেতন অনিয়মিত হতে থাকে। কৃচ্ছতা সাধনের জন্য ৯৪ এ মুস্তাফিজ কমিশন নামে এক প্রজেক্ট এর মাধ্যমে অনেক লোক ছাটাই করা হয়। অনেকেই কলোনি থেকে অকালে বিদায় নেন। তারপর ও মিলের দুর্দিন শেষ হয়না। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকে, এমন ও হয়েছে শেষ দিকে ৫/৬ মাসের বেতন বকেয়া হয়ে যায় কর্মী দের। একেক টি পরিবারের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। যাদের গ্রামের অবস্থা ভালো ছিলো তারা গ্রাম থেকে টাকা পয়সা এনে চলতে থাকলেন, কারো পাশে এসো দাড়ালো তাদের মামা চাচারা কেউ কেউ ধার কজ' করে চলতে থাকলেন। 

কিন্তু কারো জীবন থেমে থাকেনি,আমার জানামতে কারো লেখাপড়া বন্ধ হয়নি, বন্ধ হয়নি বিয়ে শাদির মত সামাজিক অনুষ্ঠান, সমান তালে চালিয়ে গিয়েছি আমাদের বাঁদরামি, খেলাধুলা এমনকি প্রেম ভালোবাসাও বাদ যায়নি। এক সময় সব শেষ হয়ে যায়। জীবনের তাগিদে আমরা একেকজন একেক দিকে ছড়িয়ে পড়ি। এতটুকু জানি ছোট বড় যাই হোক সংগ্রাম করে আমরা সম্মানের সাথেই জীবন ধারন করছি।

ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন


ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন, এক বর্ষাকালের ঠিক সন্ধ্যার আগে আগে অফিসার্স ক্লাব থেকে আমি ,দুলি, রাশেদ সহ আরো কয়েকজন বের হচ্ছিলাম, ক্লাবের গেটের বাইরে আসতেই চোখ পড়ল আনোয়ার ভাইদের (ডি 1) কাঁঠাল গাছের দিকে, যেটার অবস্থান উনাদের বিল্ডিংএর পিছনে আর রাস্তার ঠিক পাশে। দেখি তিন চারটি কাঁঠাল আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে আর মনে হচ্ছে যেনো বলছে আমাদের গাছ থেকে পেড়ে নাও। 

দুলি আর আমি পরস্পর একে অপরের দিকে তাকালাম, যা বোঝার দুজনেই বুঝে নিলাম। কিন্তু তখন ও হালকা আলো ছিলো আর রাস্তা দিয়ে মুসুল্লিরা মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলো।আর বৃষ্টির জন্য গাছ ও পিছলা হয়ে আছে, সে জন্য কোন ঝুঁকি নিলাম না।কি করা যায় চিন্তা করছি। কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম, দেখি রাস্তায় লোকজন কমছেনা। দুলি আর সহ্য করতে পারলোনা একটা পাথর নিয়ে সোজা গাছের কাঁঠাল বরাবর মারলো এবং দুটো কাঁঠাল নীচে পড়ল। পাথর ছুড়ে আম, বরই পেরেছি কিন্তু কাঁঠাল পারা !!! 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss