Friday, April 15, 2016

আজ আমাদের ৯৫ আড্ডা ছিল


আজ আমাদের ৯৫ আড্ডা ছিল ।তো গেলাম ।ভাল লাগলো ।সবার সাথে দেখা হলো ,কথা হলো ,খাওয়া হলো ।But আমার গলা দিয়ে তো খাওয়া নামে না ।শুধু আমার আরিন এর চোখ দুটো ভাসে ।আমি আড্ডা উপলক্ষে ঘর থেকে বের হতে যাব এমন সময় আরিনকে রুমে আসতে দেখে আমি ওয়াস রুমে লুকিয়ে গেলাম ।পুত্র এসে বলল ,আমাকে আজকে আলু চিপস বানায় দিবা ।আমিও বললাম আচ্ছা ।হাতে সময় ছিল কম ।আমি পুত্রকে ফাঁকি দিয়ে ঘর থেকে বের হলাম ।আরিন এর আলু চিপস আজ খাওয়া হলো না ।তো বলেন - আমি কি করে খায় ?বাসায় আসার সময় দুটো খেলনা কিনলাম ,যা ওর প্রিয় ।কিন্তু আরিন আলু চিপস এর কথা ভুলেনি । আরিন বলছে -কালকে বিকালে তুমি আমাকে আলু চিপস , সুপ ,চিকেন fry বানায় খাওয়াবা ,বুছছো ।আমি বললাম - আচ্ছা । আমি কি এখন হাসবো না কাঁদবো ?

নববর্ষ, বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ, বাংগালী সংস্কৃতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ


তখন খুব ছোট ছিলাম। স্টিল মিল কলোনীর বাইরে ফাল্গুন-চৈত্র মাসের দিকে ধান কাটা শেষ হলে খালি মাঠে তখন মেলা (বলী খেলা) বসত। সেই মেলার একটা অনিবার্য অনুষঙ্গ ছিল পয়সা দিয়ে চরকী (এক ধরনের জুয়া) খেলা। সে কারণে মেলায় যাবার অনুমতি ছিল না বাবার। কিন্তু মায়ের আঁচলের ছায়াতো ছিল। মায়ের কাছ থেকে ৪ আনা পয়সা পেয়েই দে ছুট।
সেই শুরু--এখনও থামেনি।

স্টিল মিলের মাঠ থেকে লাল দিঘী হয়ে আজ ঢাকার WESTIN হোটেলের আঙিনা, গতকাল বটমূলে, অফিসারস ক্লাবে। শুধু স্থান,কাল,চরিত্র,আংগিক আর ধরন বদলেছে;আবেদন কি কমেছে?
একটা সুখের বিষয়- বরতমান প্রজন্ম ব্যান্ড, জাজ, রক ইত্যাদির উম্মাদনায় বাংগালী সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে গেলেও নববর্ষ এর এসব বরনীল আয়োজনের সুবাদে শিকড় থেকে একেবারে বিছছিন্ন হতে পারবে না। 
কারন এসব অনুস্টানে ঢোল, তবলা, একতারা, বাশির সাথে রবীন্দ্র, নজরুল,লালন, শাহকরিমের গানের চরচা আমাদের পুরন ঐতিহ্যকে নিশ্চয় বাচিয়ে রাখবে।

অন্য দিনের মতই আজ সকালেও পূবের জানালাটা গলে রোদ এসে পড়েছে আমার শোবার ঘরের দেয়ালে


অন্য দিনের মতই আজ সকালেও পূবের জানালাটা গলে রোদ এসে পড়েছে আমার শোবার ঘরের দেয়ালে। ঘরের পাশের নিম আর আম পাতার দুলনিতে রৌদ্র ছায়ার খেলা চলছে সেখানে। চমৎকার লাগছিল দেখতে। সেদিকে নির্লিপ্ত তাকিয়ে থাকতে থাকতেই মনটা ভারী হয়ে উঠলো। মনে হলো রৌদ্র ছায়ার খেলার মতই আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবন। গত মাসের ২৩ তারিখে সন্ধ্যায় মাহবুব ভাইকে আমার বাসায় ডেকেছিলাম আরও এক প্রবাসী সহকর্মীর ফ্যামিলির সাথে। বসার ঘরে বসে অনেকটা সময় গল্প হয়েছিল সেদিন সন্ধ্যায়।

কথায় কথায় মাহবুব ভাই বলেছিল “সার্টিফিকেটে আমার জন্ম তারিখটা বদলাননি আমার বাবা। তিনি বলতেন জীবনে অনেকবার তোমাকে লিখতে হবে, বলতে হবে এই জন্ম তারিখটি। সুতরাং এটা ঠিক না থাকলে জীবনে বহুবার মিথ্যাই বলতে হবে তোমাকে”। খাবার টেবিলে নানা আয়োজনে খুব সতর্কভাবে মেনু সিলেক্ট করে তিনি আহার সারলেন। সত্যপ্রিয়, স্বাস্থ্য সচেতন সেই মাহবুব ভাই হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে আজ দুই সপ্তাহ হলো হাসপাতালের বিছানায় অচেতন। রৌদ্র ছায়ার খেলার মতই যেন আমাদের জীবন।

আকাশ ও তার বোনেরা


- তোমার নাম কি?
- ইতর
- এটা আবার কেমন নাম?
- জানিনা।সবাই এই নামেই ডাকে।
- ও।স্কুলে যাও?
- না
- কেনো?
- বাজান যাইতো দে না।
- কেনো যেতে দে না?
- অম্মা!আই যদি ইস্কুলে হরা লেয়া কৈত্তাম যাই তাইলে হেতেনরে কাম কাজ আগাই দিবো কে।
- তোমার স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয় না?
- হ অয়।সকাল বেলা লেদা লেদা হোলা হাইনরে দেই বাফ মায়ে ধরি ধরি ইস্কুলে লৈ যায়।আঁরো যাইতে মন ছায়।কিন্তু হারি না।
- কেনো পারো না?
- অম্মা আন্নেরে এক্কানা আগে দি কিয়া হুনাইলাম?এগিন বাদেয়ো আব্বার টিয়া হৈসা নাই,হরানির লাইগা।
- আমরা যদি বলি আমরা তোমাকে ফ্রিতে পড়াবো তাহলে তুমি পড়বা?

আজ মধুর বিয়ে


আজ মধুর বিয়ে। ছোট বেলার চির শত্রু রজকিনির সাথে। সব রকম প্রস্তুতি মধু নিয়ে রেখেছে! প্রতিশোধ নিতেই হবে! অনেক জালিয়েছে এই ছেমড়ি। এই ব্যাপারে মধু আর নানাজানের মধ্যে সবরকম বাতচিত হয়ে গেছে। নানাজানের বড় আদরের নাতি এই মধু। সেই ছোট্ট বেলায় মা হারিয়েছে মধু। সে থেকেই নানা/মামাদের আদরে বড় হয়েছে মধু। বুঝলি নাতি, বিয়ে শাদী হলো মায়া মহব্বতের জিনিশ। যেখানে কোন খাদ নেই। আছে শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা। যত দিন যায় ততো পক্ত হয়। এই দেখ আমাকে, তোর নানি, এখনো আমাকে কত ভালোবাসে। বড় মামাও চান্সে উপদেশ দেয়া শুর করলো, শোন ভাইগ্না, এই যে আমি, তোর বড় মামা, আমাকে এক নামে, ৬০০০স্টিলার চিনে! বিশ্বাস না হয়, পানির ট্যাংক কে জিজ্ঞাসা কর! স্টিলারদের ইতিহাস তো সেখান থেকেই শুরু! শুধু বলেছি, সামনে এগিয়ে চলো, সাথে সাথে তোর মামি, রিপনের গাড়ি থেকে নেমে, আমার দিকে চলে এসেছে! বিশ্বাস না হলে পানির ট্যাংককে জিজ্ঞাসা কর! আজ তোকে দুইটা মন্ত্র শিখিয়ে দিবো! এক, পানির ট্যাংকের উপর সব সময় ভরসা রাখবি! দুই, সামনে এগিয়ে যাবি! বাকি আল্লাহ ভরসা। এবার মেঝো মামা এগিয়ে আসলো। বাবারে, বিয়া শাদী করছো তো, মনে করো জেল জীবন শুরু হইলো! এখন তোমাকে ঠিক করতে হবে, রজকিনি কে মার্ডার করে জেলে যাবা নাকি বিয়ে করে যাবত জীবন হাযত বাসি হবা।
(চলবে)।

ঢাকার সংসদ ভবনের সামনে তিন জন ব্যাক্তি একসাথে পয়লা বৈশাখে মনের আনন্দে ঘুরে বেরাচ্ছে


ঢাকার সংসদ ভবনের সামনে তিন জন ব্যাক্তি একসাথে পয়লা বৈশাখে মনের আনন্দে ঘুরে বেরাচ্ছে, তাদের মধ্যে রেজা নামের লোক টি একটু বয়স্ক গায়ে আকাশি রঙ এর ফতুয়া , হাতে একটি ডায়েট কোকের ক্যান, একটু পরপর চুকচুক করে তাতে চুমুক দিচ্ছে। বুঝাই যাচ্ছে রেজা সাহেব চিনি রোগে আক্রান্ত। দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম আতিক, সাদা কালো চুল, কপালে চুল কম, চোখে চশমা, তার গায়ে মেরুন কালারে ফতুয়া আর শেষ ব্যক্তি তারিক, সুদর্শন যুবক গায়ে ঘিয়ে কালারের ফতুয়া। তারা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর গান গাচ্ছে আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। আনন্দ হওয়ারই কথা, তাদের এত সুন্দর আড়ং এর ফতুয়া গিফট করেছেন তাদের জনৈকা নানি। আবার রেজা সাহেব কে ডায়েট কোকও পাঠিয়েছে।

আসলেই এমন নানী সবার হয়না।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss