Monday, April 4, 2016

পুলক এই পেজ তৈরি করার পর থেকেই আমাকে এডমিনের দায়িত্ব দেয়


পুলক এই পেজ তৈরি করার পর থেকেই আমাকে এডমিনের দায়িত্ব দেয়, আমি ফেসবুকে অনেক দিন ধরে লিখছি, কিন্ত ফেসবুকের একটি পেজ চালানোর মত টেকনিক্যাল জ্ঞান আমার ছিলোনা, এখনো পুরাপুরি নেই, যতটুকু জানি সেটা পুলক থেকেই শিখেছি। তা স্বত্তেও এডমিন বা টেকনিক্যাল কাজের চেয়ে লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি আমি। কলোনি নিয়ে যখন লিখতাম তখন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যেতাম, মনে হত যেন আমি এখনো কলোনিতেই আছি, চরম আবেগ দিয়ে লিখে গেছি, এমনও হয়েছে আমি টাইপ করছি আর আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।আমার কোন লেখাই হয়ত কোন মান দন্ডেই লেখা হিসেবে বিবেচ্য নয়, কিন্তু আমার কাছে এগুলো ছিল কলোনির চলমান ছবি। অফিস পরিবার সব কাজ একপাশে রেখে আমি এ পেজে সময় দিয়েছি। 

আমার এ পরিশ্রম কোন সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য নয়, আমি কোন ইলেকশন করবনা, এখান থেকে দু পয়সা লাভেরও কারো কোন সুযোগ নেই, বরং অনেকেই এখানে নিজের পকেটের পয়সা ঢেলেছে। শুধু মাত্র একটি নির্দোষ আড্ডা, ফান আর প্রয়োজনে মানবতায় এগিয়ে আসার জন্য। আমি দুদিন আগেও বলেছি এ পেজের বাইরেও আমাদের একটি জগত আছে, সেখানে আমাদের সমাজ,পরিবার,ধর্ম,ব্যবসা, বানিজ্য আছে। আমাদের দৈনন্দিন রুটিন বা প্র্যাক্টিকাল কাজ গুলো ঐ জগতের জন্য রেখে দেই। পেজ টাকে শুধু মাত্র একটি নির্দোষ বিনোদনের জায়গা হিসেবে রাখি।

Shamima Bithi বিথী আমাদের সিএসএস কলোণীর সদস্য


Shamima Bithi বিথী আমাদের সিএসএস কলোণীর সদস্য , ব্যাচ-৯৫ । বিথী বন্দু হিসাবে অনেক আন্তরিক ও মিশুক , মেয়ে হিসেবেও অনেক ভাল । বিবাহ্ সুত্রে কুমিল্লায় বসবাস করছে । কিন্তু মন পরে আছে চট্টগ্রাম ও সি. এস. এমে সুযোগ পেলেই চট্টগ্রাম চলে আসে , তার বড় উদাহারন নাজিমের বিয়ে । আমি তারে একদিন ফোনে বল্লাম আমাদের সিএসএম-এর ছোট ভাই নাজিমের বিয়ে তুই চট্টগ্রাম আসবি সাথে সাথে উত্তরে বললো যদি দাওয়াত দেয় অবশ্যই আসবো এবং কমু ভাইয়ের ফোন পেয়ে সে এসেছেও বটে। বিথী আমাদের শাহিন ভাইয়ের ছোট বোন ।

আজ আমাদের বিথীর শুভ জন্মদিন সি.এস. এম- এর পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।

(বি:দ্র:- বিথী যেহেতু কুমিল্লায় , সেহেতু শাহিন ভাই বিথীর পক্ষ থেকে একটা পার্টির আয়োজন করলে মন্দ হয় না । সবাই কি বলেন ?)

বাজে লোক,,অসভ্য লোক,,সারাক্ষণ কেবল মোবাইল আর মোবাইল।।


বাজে লোক,,অসভ্য লোক,,সারাক্ষণ কেবল মোবাইল আর মোবাইল।।
বললাম:-কি হই ছে??
কথা বলবা না।।একদম চুপ।।বাসায় স্বামী আসলে স্ত্রীরা খুশি হয় আর আমার হয় উল্টা।।বাসায় ঢোকার সাথে সাথে গায়ে আগুন ধরে যায়।।যতক্ষণ বাসায় না থাকো ততক্ষণই আমি সুখি।।
আবারও জিজ্ঞাসা করলাম:-কি হই ছে??
কি হইছে তুমি জানো না।।তুমি কি বুঝতে পারছো তোমার আর আমার মাঝে এ মোবাইল টা কতটা দূরত্বের সৃষ্টি করেছে??আমার সব চাইতে অশান্তির কারন এখন এই মোবাইল!!
হুম বুঝলাম।।তো এখন কি করা??
বিছানায় মোবাইল নিয়ে আসতে পারবে না??সব কাজ শেষ হলে আসবে।।
আর যদি না শুনো??
না শুনলে।।
আইন শূধু তুমি জানো না আমিও জানি।।এখন থেকে সমান সমান।।
তুমি আমার কথা না শুনলে আমিও শুনবো না।।
বললাম আচ্ছা তুমি যে সিরিয়াল দেখ কৈ আমি তো কিছু বলিনা।।
ওমনি ঠাস্ !!এটা আর ওটা কি এক হলো!!!!! 
পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে🙉🙉

জাবেদ ভাই


জাবেদ ভাই আমাদের সবার প্রিয়। কথা কম বলেন,কিন্তু যখন বলেন তখন খুব হাসি আমরা। মজা করেন খুব। উনার লিখার খুব ভক্ত আমি।উনি ছবিও তোলেন খুব সুন্দর। গানও করেন কিন্তু তা শোনার সৌভাগ্য হয়নি।আমার খুব পছন্দ এই ভাইটারে। গত কিছুদিন যাবত উনাকে পেইজে না দেখে খোজ নিয়ে জানলাম উনি পেইজ ছেড়ে চলে গেছেন। ভাই কার ওপর বা কেন রাগ করেছেন তা নিয়ে কথা বলবোনা। ধরে নিলাম কয়েকজনের ওপর আপনার রাগ। বাকিরা আমরা যারা আপনাকে পছন্দ করি তাদের কথা আপনার মনে হয়না? ঝগড়া সবারি হয়,ভাই বোনের মধ্যেও হয়,তাই বলে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেই? এত বছর ধরে একসাথে থেকেছি,পেইজের মাধ্যমে সবাইকে পেয়েছি,হারাতে চাইনা কাউকে। ফিরে আসেন ভাই। বড়ভাইদের অনুরোদ করছি উনাকে ফিরিয়ে আনুন। জাবেদ ভাই ফিরে আসেন সব ভুলে। মামুন ভাইয়ের মত বলি আমরা আমরাই ত। আশা করি ছোট ভাইয়ের অনুরোধ বড়ভাইরা রাখবেন,তাকে ফিরিয়ে আনবেন।

তিন পুরুষ


গ্রুপ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তেল সুইডেনে আমদানি হয়েছে। তাই ভাবলাম কিছু তেল আমার সিএসএম ভাই, যারা সুইডেনে থকে তাদের সাথে ভাগাভাগি করি।

প্রতীক - Ridwanul Amin Protik
অতি শান্ত সুবোধ ও ঠাণ্ডা মাথার ছেলে, ডাক্তার। যখন আমাদের সাথে খেলতে আসতো, তখন নাকের নিচে তখন হালকা লোম ছিল। তার পর অনেক দিন দেখা নেই, ও ক্যাডেট কলেজে পড়তে চলে যায়। 
প্রায় ১৫ বছর পর আবার ওর সাথে দেখা, স্টকহোমে। স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে এসেছে ক্যারোলিনিস্কা ইনিস্টিটিউটে, যেখান থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কারের জন্য বাছাই করা হয়। 
সে কি পরিমাণ ঠাণ্ডা মাথার ছেলে তার একটা উদাহরণ দেই। ক্যারোলিনিস্কাতে সে সারাদিন ক্লাস করার পর বিকাল বেলা আবার সুইডিশ ভাষার ক্লাসে যায়। এবং দুই জায়গাতেই তার ফলাফল খুবই ভাল। আমি পাঁচ বছরে সুইডিশ লেভেল-সি শেষ করতে পারিনি। প্রতীক মোটামুটি এক বছরের মধ্যে লেভেল-ডি শেষ করে ফেলেছে। 
অতি ডাইনামিক ছেলে, ওর বিয়ের ব্যাপারটা তার একটা উদাহরণ smile emoticon । পরিবারের সদস্য ছাড়া, ফোনে আমি অধমের খোঁজ নিয়মিত এই প্রতীকই নেয়।

আদিবা তাবাস্সুম (পিংকী)

- Aslamuddin Mamun

আদিবা তাবাস্সুম( পিংকী)-৯৮ ব্যাচ।

আমাদের ফরিদা আপার মেয়ে,বাপেন এর ছোট বোন।থাকতো সি টাইপে।কনা আপাদের পাশের বাসা।আমার ছোট বোনের ক্লাসমেট।

পড়া লেখাতে খুবই ভাল ছিল।কলোনীতে দেখেছি মাঝে মাঝে,তবে কখনো কথা হয়নি,আর সেই রকম পরিচিতি ও ছিল না।

খুবই শান্ত শিষ্ট বোনটি।
এতদিন ঢাকা ছিল এখন চিটাগাং থাকে।

আড্ডা তে এসেছিল ২৮ তারিক রাতে মা ও বাচ্চা নিয়ে, সবার সাথে মিশেছে।
পেজে মাঝে মাঝে লাইক কমেন্ট করে,দু একটা পোস্ট করে সময় পেলে।

বোন দোয়া করি ভাল থাকিস সিএসএম এর সাথে সব সময় সুখে দুঃখ এ থাকিস।কারণ এখানে আমরা আমরাইতো।

বর্ত্তমান সরকারের ক্রীড়া উপ মন্ত্রি আরিফ খান জয়


বর্ত্তমান সরকারের ক্রীড়া উপ মন্ত্রি আরিফ খান জয়, একসময়ের জাতীয় দলের ফুটবল খেলোয়াড়, খেলেছেন আবাহনী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব গুলোতে। কিন্ত তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আমাদের ইস্পাত একাদশে খেলার মাধ্যমে। ৯১/৯২ সালে জয় সূদুর নেত্রকোনা থেকে এসে ইস্পাত একাদশে খেলতেন, তবে প্রায় সময় সাইড লাইনে বসে থাকতেন, মূল একাদশে জায়গা হতোনা, বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামতেন। আমার এবং ইউনুসের সাথে খুব খাতির ছিল তার, ইউনুসের খিলি পানের খুব ভক্ত ছিলো জয়, দিনের বেশির ভাগ সময় আমার সাথে আড্ডা দিত, আর খুব আফসোস করে বলত, যদি পুরাপুরি চান্স পেত তাহলে সে দেখাই দিত, সে কত ভালো ফুটবল খেলতে পারে। পরে অবশ্য ঠিকই প্রমান করেছে জয়, যে সে বড় মাপের ফুটবলার। সিএসএম এর অনেকেই তাকে মনে রেখেছে। মাননীয় উপ মন্ত্রী, জয় সাহেবের কি মনে আছে তার ক্যারিয়ারের উত্থান কারিগর ইস্পাত একাদশের কথা।

হাসান রুবাঈয়াত( সাগর)


সিএসএম কলোনীর আমাদের ছোট ভাই।মাকছুদা আপার ছোট ছেলে,শুভর ছোট ভাই,কলোনীতে থাকতো এপ টাইপে।

কলোনীতে খেলাধূলায় ছিল ভাল।একটু জিত বেশী। কিন্তু ভাইটির মনটা ভাল।
বতর্মানে সেনাবাহিনীর একজন মেজর।
কটর পরিশ্রমী।
আড্ডা আগে এক মিটিং এসেছিল টিপুর শোরুমে।জসিম সহ আমরা যারা ছিলাম, সেদিন প্রোগ্রাম কেমনে কেমনে করলে ভাল হয় খুব সুন্দর করে বলেছিল।আর্মি ট্রেনিং প্রাপ্ত।
বর্তমানে বগুড়া আছে।ভাই টির জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আর সুনম অর্জন করতে পারে।আমাদের কলোনীর গর্ব।ভাই টি এখন পেজে কম,হয়তো ব্যাস্তবেশী।ভাই মাঝে মাঝে পোস্ট করিস।আর আমাদের পাশে থাকিস।কারন এখানে আমরা আমরাইতো।

আমাদের পেইজের খুব সুন্দর সময় যাচ্ছে এখন


আমাদের পেইজের খুব সুন্দর সময় যাচ্ছে এখন। আমরা সবাই এনজয় করছি ব্যাপারটা। অনেককে নিয়ে লিখা হয়েছে। তাদের ভালো দিক সমূহ জানতে পারছি,এটা খুবই ভালো দিক। আমি এই পক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সুযোগই পাচ্ছিনা। যখনি চিন্তা করছি কাউকে নিয়ে লিখবো তখন দেখা গেল কেউ না কেউ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে লিখেছে। এটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। আজকে যাকে নিয়ে লিখছি সে আমাদের এই পেইজের নেপথ্য কারিগর মাইনুদ্দিন সিদ্দিকি (টিটু)। একই সাথে লেখাপড়া করেছি চুপচাপ স্বভাবের মানুষ। কিন্তু দুষ্টমিতেও কম যেতোনা আমার বন্ধু। আড্ডার ব্যাপারে সারাক্ষণ আমাকে এবং আমাদের সবাইকে সাহস দিয়ে গেছে। তারিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্যের ব্যাপারে টিটু ওর ব্যাংকে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে টাকা সংগ্রহ এর জন্য ভীষন সহযোগিতা করেছে। ফেইসবুকে খুব একটা সময় দেয়না টিটু। মেধাবী ছাত্র ছিলো সে। ফেইসবুকে কিছুক্ষন সময় দিলে আমাদের পেইজটা উপকৃত হতো। আমার বন্ধুর সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করছি।

আমার একমাত্র ভাই বা‌পেন


আমার একমাত্র ভাই বা‌পেন।চাচিরা ভেজাল বল‌তো,আস‌লেই একটু বে‌শি ই ভেজাল করত।‌ছোট‌বেলায় ছাত্র অতো ভা‌লো না থাক‌লে ও বড় হ‌তে হ‌তে বেশ ভা‌লো ছাত্র হই‌ছে।আ‌রেক ভাই শু‌ভো এর সা‌থে Competition ছিল চরম।class 6 এর জয়নুল বৃত্তি না পাওয়া‌তে আম্মার কি রাগ,৩\৪‌দিন কথাই ব‌লে নাই ভাই এর সা‌থে।‌সেই রাগ এর result এরপর আর কোন বৃত‌ি্িত বাদ যায়‌নি।class 8 এর বৃ‌ত্তির result দি‌সে,ভাই তো ভ‌য়ে শেষ,তার হা‌তের লেখা আবার যা তা,তাই কোনই আশা নাই,যাই হোক আব্বু office থে‌কে paper পাঠা‌চ্ছ‌ে in the mean time খবর হ‌য়ে গে‌সে শুভ ভাই talentpool এ পাই‌সে,আর যায় কই আমার ভাই,বকা শু‌নে ভচকায় কনা আপার সা‌থে ব‌সে আছে,paper আস‌লো,‌কোথাও roll no নাই,আম্মা তো এখু‌নি ফে‌টে যায় তখ‌নি কনা আপা বলল "চা‌চি talentpool টা দে‌খি",আম্মা পাত্তাই দি‌লো না,কনা আপা দে‌খে ভাই এর roll talentpool এ ই...আর কনা আপার খু‌শি কে দে‌খে,ম‌নে হ‌চ্ছি‌লো উনি ই পাই‌সেন।আর তারপর থে‌কেই ভাই এর ভা‌লো ছাত্র হওয়া শুরু।আর সেই শু‌ভো ভাই আর বা‌পেন ভাই এখনও খুব ভা‌লো বন্দ্ধু।

পুরা ফেসেলিটির মইদ্যে আছি


১০ টার অফিসে সাড়ে ৯ টার মধ্যেই ঢুকে প্রথমেই সিএসএম কলোনি তে ঢুকলাম। সকাল সকাল এখানে না ঢুকলে মনে হয় যেন বিরাট কিছু একটা বাদ পড়ে গিয়েছে। সারাক্ষণ আমার ফেসবুক ওপেন থাকে, পাঁচ / সাত মিনিট পরপর এখানে উঁকি না দিলে খাওয়া হজম হতে চায়না।

গতকাল অফিস করিনি, আজ অফিস এসেছি, কিন্তু শরীরে কোন জুত পাচ্ছিনা,কেমন জানি এই ম্যাজমেজে ভাব,কোন কাজ করতে ইচ্ছা করছেনা এবং আদতে কোন কাজই করিনি। আবারো কাজ জমছে, জানি না কোন টা কেমনে সামলাই।

পুরা ফেসেলিটির মইদ্যে আছি।
দোয়া প্রার্থী।।

CSM গ্রুপ থেকে বের হয়ে গেছি অনেকদিন হলো


CSM গ্রুপ থেকে বের হয়ে গেছি অনেকদিন হলো। বলতে দ্বিধা নেই তীব্র বেদনা আর হতাশা বুকে নিয়েই বের হয়েছি। এরপর ওখানে ফিরে যাবারও আগ্রহ বোধ করিনি কখনো। তবে খোঁজ রেখেছি সবসময়। সম্ভব হলে লেখাগুলো পড়েছি। কলোনির স্মৃতি গন্ধের মাদকতা একেবারে ছেড়ে দেয়া মুশকিল। সেদিন আমার বোনের মোবাইলে তার একাউন্ট থেকে লেখা পড়ছিলাম। দেখলাম একে অপরকে নিয়ে লিখছে। আমারো একজনকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হল। আমার বন্ধুকে নিয়ে। এই লেখাটি আমার বন্ধুর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। তার সাথে আমার পরিচয় কবে আমার মনে নেই। হয়তো তখন ক্লাস ফোর বা ফাইভে পড়ি। সে আমাদের মত ছিল না। ভয়াবহ রকম সীমাবদ্ধতা নিয়ে সে জন্মেছিলো। স্কুল জীবনের একটা সময় তার সাথে কিভাবে যেন আমার হৃদ্যতা তৈরী হয়েছিল। আমি তাকে দেখে অসংখ্যবার অনুপ্রানিত হয়েছি, নিজেকে ঢেলে সাজাবার কথা ভেবেছি। ছেলেটা আজন্ম ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড এবং সেই চ্যালেঞ্জ সে খুব সাহসের সাথে নিয়েছে। 

নাসেরাপেল মামা


মানুষ এখানে দুইজন।আপেল মামা ও নাসের মামা।তারা একে অন্যের পরিপূরক । অক্সিজেন আর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতন। আমি সারাক্ষণ তাদের পিছে লেগে থাকি।আপেল মামা বলে আমি নাকি বিড়ালের মত ম্যাও ম্যাও করি।নাসের মামা আর আপেল মামার সাথে অমানুষিক দুষ্টামি করি।মামারা খালি হাসে আর চুপ করে রং ঢং দেখে। আপেল মামা আর নাসের মামার সাথে বেশী ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক আমার।"ফেরা" নিয়ে কাজ করার সময় বাসায় যখন আসতো,তখন যেই আড্ডা দিতাম তা ভুলা মুশকিল। আপেল মামার "ছি " বলার মুদ্রাদোষ আছে।কিন্তু এই মানুষ দুইজন প্রচন্ড স্বার্থহীন এবং পরোপকারী। আপেল মামা আর নাসের মামা অতি শীঘ্রই আমাকে খাওয়াবে (স্বপ্নে দেখেছি)।সেই অপেক্ষায় আছি।

মামারা,অনেক ভালো থাকো।আমাদের সাথেই থাকো।

একজন নিরু মামা


পেইজে সবাইকে ক্লান্ত মনে হচ্ছে।ক্লান্ত হওয়ার ই কথা-গত কয়েকদিন যাবৎ গণহারে যেভাবে একজন আরেকজনরে "তেলাইছে" তাতে ক্লান্ত না হয়ে উপায় আছে? নাকি রেজা ভাইয়ের ড্রাম ও খালি হইয়া গেছে!

Mdnurul Kabir Niru,কলোনীতে ছোট বড় সবাই "নিরু" বললে একনামে সবাই চিনে।কারণ-কলোনীতে উনাদের পদচারণা ছিল সর্বত্র।সি টাইপ থেকে এফ টাইফ সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াতেন দাপটের সহিত।খেলাধুলা ও করতেন ভাল।বিশেষ করে ব্যাডমিন্টন আর ফুটবলে তার নৈপূণ্য ছিল দেখার মত।

সবাই ভাই ডাকলে ও আমি উনাকে মামা বলেই সম্ভোধন করি।উনার ভাগিনা নিজাম ৯৫ ব্যাচ(বর্তমানে জাহাজের ক্যাপ্টেন) আমার খুব ক্লোজ দোস্ত,যাকে বলে ভোজন ফ্রেন্ড।সেই সূত্রে উনি আমার মামা।খুবই সাংগঠনিক একজন ব্যক্তিত্ব।তিনি আরেকটা কারণে কলোনীতে বেশ ফেমাস ছিলেন-তার ঐতিহ্যবাহী "ব্রেকড্যান্স"।যারা আড্ডায় এসেছিলেন তারা কিছুটা হলে দেখেছেন।সিনিয়র বলে মামার সাথে খুব একটা ক্লোজ কখনোই ছিলাম না,কিন্তুু পেইজে এসে দেখছি উনি খুবই বন্ধুসুলভ,পরোপকারী একজন মানুষ।

ভাল থাকুন মামা,দীর্ঘজীবি হউন।আর আপনাদের নেতৃত্বেই সি এস এম এগিয়ে যাক যুগ থেকে যুগান্তরে।

(বিঃদ্রঃ-Aslamuddin Mamun vai বলেছিলেন কারো সম্পর্কে লিখলে তার ছবি সহ দেওয়ার জন্য,আমার মনে হয় নিরু মামার জন্য এটা প্রযোজ্য নয়)

রাগারাগি হৈচৈ করা আমার স্বভাবে নেই


রাগারাগি হৈচৈ করা আমার স্বভাবে নেই, খুব সহজে আমি কারো সাথে রাগারাগি করিনা আর কারো উপর রাগলেও খুব অল্পতেই তা আবার নেমে যায়, আর যার উপর রাগ করি সে যদি পরে দুটো মিষ্টি কথা হাসি দিয়ে বলে তাহলেতো আমার রাগ শেষ হয়ে পুরাপুরি বিশুদ্ধ মিনারেল ওয়াটার (এ জন্য জীবনে অনেক মূল্য দিতেও হয়েছে)। রাগারাগির ক্ষেত্রে আমার নীতি হচ্ছে হাসি মুখে পিঠে হাত বুলিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়া। আমার কর্মক্ষেত্রে আমার এই সুনামটা আছে যে, আমি কারো সাথে রাগারাগি করিনা, আসলে আমাকে করতে হয়না, পিঠে হাত বুলানো নীতি নিয়ে কাজ করি, তাই অযথা চিল্লা ফাল্লা করে এনার্জি লস করতে হয়না। 

সব জায়গায় যদি মিষ্টি হাসি আর হাত বুলানো নীতি এপ্লাই করা যেত তাহলে জাতির অনেক এনার্জি সেভ করা যেত।
(নিজেরে নিজে কিছুক্ষণ তেলাইলাম আরকি)

বেশির ভাগ সময়ই টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম আমরা


বেশির ভাগ সময়ই টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম আমরা, এখনকার দিনের মত যখন তখন সব কিছুর এতো পর্যাপ্ততা ছিলনা। টেনিস বল যোগাড় করা গেলেও ব্যাট ছিলোনা, প্যাটার্ন শপের কিংবদন্তি নানার কাছ থেকে একটি ব্যাট বানিয়ে আনি আমরা। ভালো স্ট্রোক ছিল ব্যাট টি তে, খেলার পরে ব্যাট টি আমার বাসায় রাখতাম। একদিন সবুজ রঙ করে ফেলি আমি, ব্যাট টি তখন আরো সুন্দর লাগছিল।আমি খেলাধুলার প্রতি অন্তপ্রান হলেও তেমন ভালো খেলতে পারতাম না। কিন্তু কেন জানি ঐ ব্যাট টি দিয়ে ভাল ব্যাটিং করতে পারতাম। সময়ের বিবর্তনে ব্যাট টি কোথায় জানি হারিয়ে যায়।

আজ সকালে অফিসে আসার সময় মাটিকাটা নুতন রাস্তা নামক এক জায়গার দেখি বৃষ্টি ভেজা মাঠে ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে, তাদের হাতে হুবুহ ঐ সবুজ ব্যাট টির মত ব্যাট।

পুরোপুরি নষ্টালজিক করে দেয় আমাকে।

আকাশ সংস্কৃতি


১৯৯৪ সালের শেষ দিকের কথা।হঠাত করে শোনা গেল কলোনি তে ডিশ এন্টেনা আনা হচ্ছে। যারা সংযোগ নিতে আগ্রহী, তারা যোগাযোগ করছে। এর মাধ্যমে বাইরের দেশের অনুষ্ঠান দেখা যাবে।আমাদের বাসায় এ নিয়ে দ্বিমত এর সৃষ্টি হল। যারা আনার পক্ষে তারা এক দলে আর যারা আনতে চায় না তারা অন্য দলে। আমি উপরে উপরে না আনতে চাইলেও মনে মনে চাইছিলাম।ভাবছিলাম প্রিয় হিন্দি ছবি আর গান মন ভরে দেখব। আম্মা ভাবছিলেন, পড়ালেখার কথা। কারন একেত আমি নাচুনে বুড়ি আর ডিশের সংযোগ আসা মানা বাসায়, ঢোলের বাড়ি। তারপরেও নানা মত বিরোধের পর সংযোগ আসল।

কিন্তু আসার পর প্রতিদিনের জীবনে পরিবর্তন আসল।প্রতি শুক্রবারে আমরা রিতাদের বাসায় সকালবেলা দলবেঁধে সিনেমা দেখতাম। আবার বিকালে স্কুল থেকে ফিরে পড়তে বসতাম যাতে রাতে অনুষ্ঠান দেখতে পারি।তখন জি টিভিতে, এবার জমবে মজা, দে রে নামের কিছু হাসির নাটক দেখাত।এগুলো রিতাদের বাসায় দেখতাম। আমাদের টিভিতে চ্যানেল গুলো ক্লিয়ার ছিল না।আর যে চ্যানেল গুলো দেখতাম, সেগুলো তে ভাল।ছবি দেখাত না।তারপরেও মনে মনে খুশি থাকতে চাইতাম।তবে পড়ালেখায় ক্ষতি হবার যে আশংকা করেছিলাম তা কিন্তু হয়নি।

মেয়েদের নাম জনি হয় কেমনে


তখন আমরা থাকতাম নারিকেল তলায় মোহাম্মাদ আলি'র বিল্ডিঙে। ঐ বিল্ডিং টা ছিল কলোনীর এফ টাইপের আদলে, পাশা পাশি ১০ টা করে বাসা, এক টা কমন বারান্দা। আমাদের কয়েকটা বাসা পাশেই থাকতেন রিমা আপু রা। রিমা আপুর পুরো নাম হচ্ছে রিমা পাল, সম্ভবত '৯৫ ব্যাচ এর ছিলেন উনি। যাই হোক, একদিন উনি আমাকে বললেন, "কলোনী তে যাও, গিয়ে গেট দিয়ে ঢুকেই প্রথম বামের বিল্ডিঙে যাবা। ২ (বা ৩, ঠীক মনে নাই) তলায় গিয়ে ডান পাশের বাসাটা জনিদের। ওর কাছ থেকে গিয়ে ভূগোল বই টা নিয়ে আসো। গিয়ে বলবা আমি চাইসি, তাহলেই হবে"।
যথারীতি আমি গেলাম। নক করলাম দরজায়, এক আপু দরজা খুললেন। আমি বললাম "জনি ভাইয়া আছে? আমি কল্লোল, রিমা আপু আমাকে পাঠাইসে ভূগোল বই নেওয়ার জন্যে"।

উনার মুখে মুচকি হাঁসি আর উত্তর টা ছিল "আমি ই জনি। দাড়াও, বই দিচ্ছি"।

আমি ১০০% টাশকি এবং পূর্নদৈর্ঘ্য বেকুব হয়ে গেলাম। তারপর, পুরা রাস্তা হাটতে হাটতে আর ভাবতে ভাবতে বাসায় আসলাম "মেয়েদের নাম জনি হয় কেমনে"?

এটা আমার ঐ ছোট্ট বয়েসের ছোট্ট একটা মজার অভিজ্ঞতা।

তানিয়ার অনুরোধে : ( ঢেকি গেলা)


সবিনয়ে বলি-
আমার কোন ছোট বেলার ছবি নেই। তবে এ সংক্রান্ত গল্প আছে:
হোসেন আহ্মমদ পাড়া স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়ি। বৃত্তি পরীক্ষা দেবার জন্য ছব্বির দরকার। আব্বা স্কুলের শিখখক " বুড়ো স্যার " এর সাথে পাঠালেন শহরে। স্যার আমাকে নিয়ে গেলেন লালদিঘীর ময়দানে। সেখনে একেবারে " নিরভেজাল দেশী প্রযুক্তির " বায়োস্কপের বাক্সে চবি তুললেন। ৫ মিনিটে ডেলিভারী।
ছবির চেহারা দেখে কাদো কাদো কন্ঠে বললাম
- স্যার ছবিটা কেমন যেনি,ঠিক আমার মত না।
স্যার ধমক দিয়ে বললেন-
-কী বলিস, খুব সুন্দর হয়েছে। দেখছিস না তোর আব্বার চেহারার সাথে অনেক মিল।
আমি শুধু বললাম
-জী স্যার।
লোভ সামলাতে না পেরে পুরনো দিনের কিছু ছবি পোস্ট করলাম।

ফারজানা আক্তার (রেবা আপু)


আমাদের ফেরদৌসি আপার বড় মেয়ে,
জেবা আপু,তুমান ভাই এর বড় বোন।
থাকতো কলোনীতে সি টাইপে,জিয়া ভাই ও দুলি ভাই দের তয় তলায়
কলোনীতে কখনো কথা হয়নি করাণ, আপু আমাদের অনেক সিনিয়ার,তবে স্কুলে আপুকে দেখেছি খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিতে সবসময় পথম হতে।পড়ালেখাতে খুব ভাল।
বতর্মানে আপু প্রবাসী জীবন যাপন করছে,সেখানে ও আপু সাংস্কৃতির সাথে জড়িত।তার মেয়েদেরকো তার মত করে গড়ে তুলছে।
আপু সিএসএম কলোনী পতেঙ্গা গ্রুপে ও আছে,সেখানে আনালক ভাইয়ের একটা পোস্ট এ কমেন্ট করলে আমি আপু কে এ পেজে লিখতে বলি।আপু লিখবে বললে, আমি একটা পোস্ট করি যে আমরা আরো একজন আপর লেখা পাব।আড্ডা নিয়ে মিটিং বড় ভাইয়েরা আমাকে জেরা করে তুই কি চিনিস,আমি বললাম ফেরদোসি আপার বড় মেয়ে শুধু এতটুকু জানি।
আপু এখন প্রায় পোস্ট এ লাইক দেয়,এবং মাঝে মাঝে কমেন্ট করে।আপু আপনি পেজে কলোনী নিয়ে নিয়মিত লিখেন। ভাল থাকবেন সিএসএম কলোনীর পেজের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন সব সময়।

তিন বোন: কনা, লায়লা, জনি


তিন বোন,কনা লায়লা জনি,‌তিন বোনের কাছ থে‌কে জীব‌নের অ‌নেক কিছু শেখা,ঘ‌রের কাজ,রান্না,নামাজ,সাজ‌গোজ,ঝগড়া,খেলা,অ‌নেক কিছু,ছোট‌বেলার অ‌নেকটা সময় কে‌টে‌ছে উনা‌দের বাসায়।আম্মু যখন school এ থাক‌তো তখন আমি ওই খা‌নেই থাকত‌াম।ঈদ মা‌নেই হ‌লো জ‌নি আপার সা‌থে উনার friend দের বাসায় ঘুর‌তে যাওয়া।ঘ‌ড়ির কাটা চিন‌তে শিখ‌সি কনা আপার কাছ থ‌ে‌কে।তিন বোন ই অনেক কা‌জের র গু‌নের।আপা আপনা‌দের জন্য অনেক দোয়া ক‌রি,অ‌নেক ভা‌লো থা‌কেন।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss