১৯৯৪ সালের শেষ দিকের কথা।হঠাত করে শোনা গেল কলোনি তে ডিশ এন্টেনা আনা হচ্ছে। যারা সংযোগ নিতে আগ্রহী, তারা যোগাযোগ করছে। এর মাধ্যমে বাইরের দেশের অনুষ্ঠান দেখা যাবে।আমাদের বাসায় এ নিয়ে দ্বিমত এর সৃষ্টি হল। যারা আনার পক্ষে তারা এক দলে আর যারা আনতে চায় না তারা অন্য দলে। আমি উপরে উপরে না আনতে চাইলেও মনে মনে চাইছিলাম।ভাবছিলাম প্রিয় হিন্দি ছবি আর গান মন ভরে দেখব। আম্মা ভাবছিলেন, পড়ালেখার কথা। কারন একেত আমি নাচুনে বুড়ি আর ডিশের সংযোগ আসা মানা বাসায়, ঢোলের বাড়ি। তারপরেও নানা মত বিরোধের পর সংযোগ আসল।
কিন্তু আসার পর প্রতিদিনের জীবনে পরিবর্তন আসল।প্রতি শুক্রবারে আমরা রিতাদের বাসায় সকালবেলা দলবেঁধে সিনেমা দেখতাম। আবার বিকালে স্কুল থেকে ফিরে পড়তে বসতাম যাতে রাতে অনুষ্ঠান দেখতে পারি।তখন জি টিভিতে, এবার জমবে মজা, দে রে নামের কিছু হাসির নাটক দেখাত।এগুলো রিতাদের বাসায় দেখতাম। আমাদের টিভিতে চ্যানেল গুলো ক্লিয়ার ছিল না।আর যে চ্যানেল গুলো দেখতাম, সেগুলো তে ভাল।ছবি দেখাত না।তারপরেও মনে মনে খুশি থাকতে চাইতাম।তবে পড়ালেখায় ক্ষতি হবার যে আশংকা করেছিলাম তা কিন্তু হয়নি।
এখন ত টিভি খুললে কত শত চ্যানেল।কিন্তু দেখতে ইচ্ছা হয় না।কারন টিভি নাকি মানুষের কল্পনা শক্তিকে সীমাবদ্ধ করে দেয়,ভাবনার গতি থামিয়ে দেয়,যা বই পড়লে হয় না। তবুও যুগে যুগে মানুষের বিনোদনের উপাদান হিসেবে চার দেয়ালের বাক্সের অবদান কে অস্বীকার করা যাবেনা

No comments:
Post a Comment