Friday, April 8, 2016

আতিক ভাইয়ের পোস্ট আর অনেক গুলা বাংলা গান comments পড়ে পুরনো কিছু সৃতি মনে পড়ে গেল


আতিক ভাইয়ের পোস্ট আর অনেক গুলা বাংলা গান comments পড়ে পুরনো কিছু সৃতি মনে পড়ে গেল।

স্পার্ক এর বেজ গিটারিস্ট শাহজাহান ভাইয়ের সাথে মেডিকেলে এক শো তে দেখা, উনারা গেছেন বেবি নাজনিনের সাথে বাজাতে আর আমি মেডিকেলের বন্ধুদের সাথে লোকাল প্রোগ্রামের পারফর্মার হিসেবে। তখন সবেমাত্র 1st year এ পরি। প্রগ্রামের পর পরই উনি প্রস্তাব দিলেন উনাদের টিমে বাজানোর, ওনাদের তখনকার প্লেয়ার উন্নত ধান্দার খোঁজে ঢাকা প্রবাসী। আমিতো বেহুঁশ, সব বাঘা বাঘা মিউজিসিয়ান, বাবার বয়সী লোক, একটু নারভাস, যা হোক, শুরু করে দিলাম মিউজিক লাইফ, প্রথম শো engineer’s institution. শিল্পী তপন চৌধুরী-শাকিলা জাফর। তারপরদিন পেপারে ছবি, আমিতো পুরা হিরো। এভাবে চলছে বেশ কয়েক মাস, তখন “আতিক হাসান” নামে একটা শিল্পী উঠেছিল মাধবী নামের এক গান দিয়ে পুরা হিট, ফটিকছড়ির সোনা রফিকের বাড়িতে এক বিশাল গায়ে হলুদের শো তে গেলাম। বিলের মধ্যখানে বিশাল স্টেজ আর বিলের অপর পাশে ছিল খাওয়ার বিশাল আয়োজন, মাগরিবের পর থেকেই খাওয়া শুরু আর নন স্টপ চলবে পরদিন ভোর পর্যন্ত, ১০টা গরু অলরেডি জবাই করা হয়েছে অ্যান্ড আরও ৩/৪ টা স্ট্যান্ডবাই ছিল। আমার লাইফে এমন গায়ে হলুদের আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। 


কিন্তু বিপত্তি ঘটলো, power supply নিয়ে।প্রায় ২৫পেয়ার সাউন্ড with heavy light system, কিন্তু পাওয়ার হইল পল্লি বিদ্যুৎ। কোনোভাবেই শুরু করা যাচ্ছিল না। তার উপর শিল্পী আতিক হাছান। যার জনপ্রিয়তা ওখানে আকাশচুম্বী, বাংলাদেশে কোন শিল্পী এতটা জনপ্রিয় হতে পারে নিজ চোখে না দেখলে জানতে পারতাম না। যে বাড়ির অনুষ্ঠান ঐ বাড়িতে জেতেই পারেনি আর স্টেজে আনা হইছে বোরকা পরিয়ে মেয়েদের ভেতর দিয়ে, অসম্ভব অবস্থা, মনে হচ্ছিল আতিক হাছানের কাছে জ্যাক্সনও বুঝি ফেল। যাইহোক অনুষ্ঠানের দেরি দেখে এক ৮০বছরের এক বুইজ্জা(পরে জানতে পারলাম বরের দাদা)চাঁটগাইয়া ভাষায় গাল দিতে দিতে দেখলাম স্টেজের দিকে আসতে লাগল। প্রথমে বলতে লাগলো, “হারা জীবন ......পুতে হারমোনি বাজায় গান গাইয়ে আর এখন দুনিয়ার বাক্স কোদিন আনি টালাইয়ে, ...... থুন কারেন থাইবোনা?” অবস্থা বেগতিক দেখে জনৈক জুবক এগিয়ে আসলো, “দাদা এগিন বাক্স ন, সাউন্ড বক্স, আর এগিন ন দিলে এদুয়া মানুষ গানহিন ফুনিব কেনে?”
বুইজ্জাঃ তইলে, এত্তর হারমোনিয়াম(key board)কিল্লায় লাদ্দে? কদিন কারেন টানের কইথ ফারশ না?
জুবকঃ না, দাদা, ইভা উজ্ঞা টিউব লাইটর সমান কারেন তানে দে, বেশী ন।
এমন সময় আমি আমার ড্রামস টা চেক করছিলাম, যখনি কিক দেই, পুরা সাউন্ড চোক করে, কিকের লোড দেয়াই জাচ্ছে না্‌। সাথে সাথে;
বুইজ্জাঃ এই ...... পোয়ারে নামা, এতেই বেগ শেষ গইরজ্ঞেদে, ইতে গুম গুম মাড়ি বেগ জালি জালি গরি ফেলার।নামা হিতেরে...।।
যুবকঃ দূর বাজি, বেশী ন মাত, এগিন কোন গানই বেশী কারেন ন টানে বলি কইদ্দে!!!
এর মধ্যে ৫টা ১০ কিলো জেনেরেটর আনা হইছে, আলাদা আলাদা করে লাইন দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যা সমাধানের জোর চেষ্টা চলছে, একবার লাইন আশে আবার যায়, শাহজাহান ভাই উনার স্টেজে থাকা এমপ্লিফায়ারে বেজ গীটার টা গুন গুন করে বাজাছিল, হঠাথ বুইজ্জা গরম হই এক্কেবারে হাতের লাঠিটা নিয়ে উনাকে মারতে এলো আর বলতে লাগলো,” এথনে ফাই ......পোয়ারে, এই কালাইয়া ...... পোয়ার কারবার দেলিনি?পল্লী বিদ্যুৎ ঘরথ উজ্ঞা হিটার চলাইতো ন দে, আর এই ...... পোয়া কি মোডা মোডা চারগ পাচ্ছো তার লইয়েরে হিতের বর মাথা বাজাদ্দেনা, এই হিতেরে এখন নামা!!!!! 
ওইদিন প্রায় রাত ৯টায় প্রোগ্রাম শুরু হয়ে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলছিল, প্রথমে গান, পরে পেকেজ শো, তারপর কাওয়ালি, সব মিলায় ঝুম ঝুম চলছে.........।।
আজীবন মনে থাকবে এই প্রিকুলিয়ার প্রোগ্রামের কথা।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss