Thursday, May 26, 2016

ঝিরঝির বৃষ্টি,, দেয়াল বেয়ে উঠে প্রবল বেগে বয়স বাড়াচ্ছে জংলী লতা পাতা গুলো


ঝিরঝির বৃষ্টি,, দেয়াল বেয়ে উঠে প্রবল বেগে বয়স বাড়াচ্ছে জংলী লতা পাতা গুলো।

মাঝে মাঝে অর্থ হীন ভাবে চিন্তা করি ওই জংলী লতা পাতা গুলোর কি চিন্তা শক্তি আছে ?আচ্ছা এ সব উদিভদ গুলো কি আমার মত নষ্টালজিয়ায় ভোগেনা??

এই লতা গুলোর কি ইচ্ছে করেনা তার অংকুরের সময় গুলোতে ফিরে যেতে ? মনে হয় করেনা, ও রকম হলে তো লতা নুইয়ে পড়ত।

আমার খুব ইচ্ছে করে, চলে যেতে সেই কৈশোরে, যেখানে ব্যস্ততা নেই, জটিলতা নেই যেখানে সবুজ মন ছুটে চলে দুরন্ত গতিতে কলোনীর এ মাথা ও মাথা।

ইচ্ছে করে, সেই সহজ সরল জীবন টা ফিরে পেতে। দুরু দুরু বুকে নিষ্পাপ চাহনী, তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে পাগলা রাশেদের সাথে বিরাট ৈহৈ চৈ, দশ মিনিট পর আবার একটা সিগারেট নিয়ে ভাগাভাগি করে খাওয়া।দুটো গোল সেভ করতে পারলে বা দুটো চার মারতে পারলে নিজেকে বিরাট ফুটবল বা ক্রিকেট খেলোয়ার মনে করা।

ইচ্ছে করে আগের মতন, এই যন্ত্রনাময় জটিল জীবনের বাইরোে- কেবল মা কিংবা বাবার বকুনির ভয়টাই যেনো থাকে আজীবন বুকের ভেতরে।

এই যে এক জীবন যেখানে সবকিছুর মানে লুকিয়ে থাকা -ইচ্ছে করে এ জটিলতা থেকে পালিয়ে যাই আমার সহজ সরল ওই কৈশোরে।

আচ্ছা নষ্টালজিয়া কাকে বলে?
প্রচন্ড ভাবে কৈশোরে ফিরে যাবার প্রবনতা, সেখান থেকে ফেলে আসা স্মৃতির বুকে লাফালাফি করতে, শৈশবের গালে চুমু আঁকতে মন চাচ্ছে।বুকের মাঝে তীব্র ধুকধুকানি হচ্ছে, পেছনের কিছু ভুলকেও যেন মনে হচ্ছে ফুল ।

যখন তখন ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে পেছনের সময়ে; যেই দ্রুতযানে করে এসেছি আজ এই জটিল জীবনে- মন চায় খুব ভোরেই সেই দ্রুতযানে চড়ে আবার ফিরে যেতে আমার সেই স্বর্ণালী কৈশরে।

এটাই বোধ হয় সেই নষ্টালজিয়া। ভীষণ ভুগছি এই নষ্টালজিয়া রোগে।।

কোন ভাল কাজ করতে গেলে পিছুটান বা নেগেটিভ কথা আসবেই


আস সালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই, আশাকরি ভাল

কোন ভাল কাজ করতে গেলে পিছুটান বা নেগেটিভ কথা আসবেই কিন্তু তাতে কোন কিছু আসে যায় না যদি আমার নিয়ত পরিস্কার থাকে। আত্ত্বতৃপ্তি ও মনের প্রশান্তি হল আসল কথা। আমাদের সমাজে খারাপ মানুয যেমন আছে তেমনি ভাল মানুযও আছে। এই ভাল মানুয গুলো আছে বলেই ভাল কাজ করে আনন্দ পায়। নিজেকে মানুয বলে মনে হয়। কারো কপালে লিখা থাকে না কে ভাল কে খারাপ। বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যেতে হবে কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে সেটার ফল তাকে ভোগ করতে হবে আজ হউক বা কাল হউক। যার যার কর্মের সে অবশ্যই ভোগ করবে। এটাই জগতের নিয়ম। আল্লাহ্‌ এর বিধান যা অমান্য করার কারো সাধ্য নাই।

Mosaddeque Ali, Ziaul Hasan Anisur Rahman Reza, Ripon Akhtaruzzaman, Jashim Uddin Atiq Csm Masuk Elahi Nazmul Huda

ভাই সহ csm colony এর ছোট বড় সকল ভাই বোন কে ওনুরোধ যে যাই বলুক নিজের নীতিতে অটুট থেকে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ইউনিটি ও মানব কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করুন।

চন্দন চাচি ও পাপ্পুর জন্য আমাদের দ্রুত কিছু কাজ করেতে হবে। ভাল মন্দ চিন্তার কিছু নাই। সকল দ্বিধাদন্দ ভুলে তারাতারি তাদের জন্য কিছু করতে হবে। এখনিই সময়।

প্লিজ আমার অনুরোধ টা ভেবে দেখবেন সবাই।

২০০৭ সালে প্রথম ভারত সফরে গিয়েছিলাম


২০০৭ সালে প্রথম ভারত সফরে গিয়েছিলাম। প্রথম দিন কলকাতায় থাকলাম। কারন তারপরের দিন বিকাল ৪.৩০ টায় রাজধানী এক্সপ্রেস এর টিকেট। উদ্দ্যেশ্য প্রথমে দিল্লি যাবো পরে সেখান থেকে আজমির। যেহেতু কলকাতায় প্রথম যাত্রা তাই পরের দিন দুপুরের খাবার শেষ করে দুইটার কিছু সময় পরে রওনা দিলাম। কারন আমরা ছিলাম মার্কুইজ ষ্ট্রীটে। সেখান থেকে হাওড়া ষ্টেশন যেতে অনেক সময় লাগে। ষ্টেশনে পৌঁছার কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন আসলো। ট্রেনের বগির বাইরে দরজায় লাগানো name list দেখে বগিতে উঠলাম। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়লো। ট্রেন ছাড়ার পর পরিচারক এসে গরম পানি, টি ব্যাগ, দুধ পাউডারের প্যাকেট আর বিস্কুট দিয়ে গেল। এবার আরেকজন এসে জিজ্ঞাসা করল ভেজ না ননভেজ? আমি বললাম ননভেজ। 

সন্ধ্যা ৬ টার পরে চিকেন স্যান্ডুইচ, চা দিলো। রাত ন'টার দিকে চিকেন, ভাজি, ডাল দিয়ে ভাত দিল। ( ভাগ্যিস ভেজ বলিনি। ভেজ বললে ভাজি ডাল দিয়ে রুটি দিত।) রাতের খাবার শেষ করার পর দই দিল। সব শেষ করে ঘুমানোর পালা। আমার আসন মাঝখানে। অর্থাৎ নীচ তলাযও না আবার উপরের তলায়ও না। আমি আমার জন্য নির্ধারিত বালিশ, চাদর গুলি নিয়ে আমার আসনে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে যাবো। এমন সময় আমার সাথে যারা গিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন বলে বিকাল থেকে একটা সিগারেটও খাই নাই। তখন আমি বললাম এটা ফুল এসি ট্রেন এখানে সিগারেট খাওয়ার কোন সুযোগ নাই। আর লেখাই আছে ধুমপান করলে ২০০ রুপি জরিমানা। এখন ওর কথা ২০০ রুপি দিলে দিবো তাও খাবো। আমাকে জোর করে সিট থেকে নামিয়ে দিলো। বাধ্য হয়ে বললাম চলেন। কিন্তু কই যাবো? হঠাৎ মাথায় আসলো পুরা ট্রেন এসি হলেও যে বগিতে রান্না সে বগিতেতো আর এসি থাকবে না। টহলরত ট্রেনের এক লোককে জিজ্ঞাস করে আমার লোকটিকে বললাম যান ওখানে গিয়ে খেয়ে আসেন। 

সবপ্নকে ছাড়িয়ে


১৯৮৩ সালের কথা। সেশন জটের কারনে তখনও আমি চতুর্থ বরষ এর ছাত্র। সে সময়ে স্টিল মিলে বিজ্ঞাপন দিল "সহকারী প্রকৌশলী" পদে লোক নিয়োগের। আব্বার খুব মন খারাপ। 'সেশন জট' টা না থাকলে ছেলে তার স্টিল মিলেই 'ইঞ্জিনিয়্রর' হিসাবে চাকরীটা পেয়ে যেত। তখন মিলের চাকরীটা একেবারে খারাপ ছিল না। তাছাড়া এক সাথে থাকতে পারা,ছোট ভাইবোনের লেখাপড়ার দেখভাল - এমনতর আরও কিছু বাড়তি সুবিধা।

'৮৪তে আমার সমসাময়িক বুয়েট, কুয়েট,রুয়েট (বর্তমান) থেকে পাশ করা অনেক বন্ধুরা জয়েন করলো মিলে। 
তাদের দেখে আমারও মন খারাপ হোল। 

ফাইনাল পরীখখা দিয়ে বেকার জীবনে অফিসারস ক্লাবে সদ্য জয়েন করা ইঞ্জিনিয়র বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই বটে, মনের খচখচানিটা কিছতেই যায় না। 

মা-বাবা, ছোট ভাইবোনদের কায়মন প্রাথনা আমার কখন একটা চাকরী হবে-সংসারে একটু সাছছন্দ আসবে।

মাস ছ'য়েক পর পল্লী বিদ্যুতে চাকরী পেলাম, বেতন ও অন্যান্য লিগ্যাল সুবিধা স্টিল মিলের চেয়ে ভাল।পোস্টিংটাও কেমন করে যেন চিটাগাং এ পেয়ে গেলাম-সাথে একটা নতুন ১১০ সিসির মোটর সাইকেল আর একটা পিক আপের সুবিধা।

পাত্র হিসেবে পাভেল বেশ ভালোই ঢাকায় ব্যাংকে চাকুরী করে বাবা মা চট্টগ্রামে


পাত্র হিসেবে পাভেল বেশ ভালোই ঢাকায় ব্যাংকে চাকুরী করে বাবা মা চট্টগ্রামে,পাভেলের বিয়ে ঠিক ঠাক মুনিরার সাথে, মুনিরার মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হলেই বিয়ে।উভয় পরিবার ঠিক করিল এখন আকদ টা সেরে ফেলা যাক।যথাসময় আকদ সম্পন্ন হলো,সব কিছু ঠিক থাকিলে ৩ মাস পর বিয়ে।নিয়ম হলো পাভেল শশুর বাড়ি যেতে পারিবে তবে শুধুমাত্র দাওয়াত খেতেই,থাকতে পারিবেনা।ফোনে কথা বলা যাবে।

পাভেল এর চট্টগ্রামে প্রায়ই আসা হয়।সেদিন মুনিরাদের বাসায় পাভেল এর দাওয়াত ছিল।হঠাৎ রাত ৯:৩০মিনিটে আসলো ঝুম ঝড় বৃষ্টি। পাভেলও মনে মনে ভাবলো এইবার শশুর শাশুড়ি যাবে কোথায়,নিশ্চয় এই অবস্থায় তাকে যেতে দিবেনা।এইদিকে পাভেল এর মা অস্থির ফোনে বারবার তার বেয়াই কে বলল পাভেল কে পাঠিয়ে দিন জলদি।মুনিরা মিটি মিটি হাসে আবার অস্থির হয়ে ভাবে পাভেল কে যদি সত্যি সত্যি পাঠিয়েই দেয় তাহলে পাভেল এই ঝড়ে কিভাবে বাসায় যাবে!!

ওমা, রাত ১২টায় মুনিরার বাবা কোথা হতে এক স্কুটার এনে হাজির ছাতা মাথায় নিয়ে।পাভেল কে বলল, বাবা পাভেল ভাড়া দিওনা, ভাড়াটা আমি দিয়ে দিয়েছি...
সেইদিন রাতে পাভেল ভালোভাবেই তার বাসায় পৌঁছেছিল....

(উপরের কাহিনী টি গল্প আকারে লিখলেও এই ধরনের অপেক্ষা আমাদের যুগে ছিল,এবং আজ এত কাল পর বুঝতে পারি এই অপেক্ষা কত যে মধুর, তখনকার কালচারটা আসলেই ছিল অনেক কিউট ।।।আজকালকার ছেলেমেয়েরা কি বুঝবে!!)

আমার জীবনের প্রথম সময়গুলো কেটেছিলো ষ্টীল মিলস্ জরুরী আবাসীক কলোনীতে


আমার জীবনের প্রথম সময়গুলো কেটেছিলো ষ্টীল মিলস্ জরুরী আবাসীক কলোনীতে। এমন কতোগুলো স্বৃতী এতোই গভীর ভাবে জড়ীত যে আমার আর কোন স্বৃতীর প্রয়োজন নেই এই একটি জীবন কাটিয়ে দেয়ার জন্য। একটা পরিবারে যেমন বড়,ছোট সকলকে নিয়ে বসবাস তেমনি ছিলো পুরো কলোনী। আমার পোড়া কপাল যে যখনি কলোনীর মজাটা গভীর ভাবে টের পাচ্ছিলাম তখনি কিছু ক্ষুদার্থ হায়েনার লালসায় পড়ে পুরো ষ্টীলমিল বন্ধ হলো আর আমরা ও হয়ে গেলাম শেখড় থেকে বিচ্ছিন্ন। কিছুদিন আগে আতীক ভাই আসছিলো CTG সেই শেখড়ের টানে। সবাকে honor করে একটা ভোজের আয়োজন করেছিলো। আমারা খুবই মজা করে খেলাম। সত্যিকার অর্থে আমরা তেমন কোন বড় রকমের খাদক নই, সবায়কে দেখবো এই আশায় একত্রিত হওয়া। কলোনী ছাড়লাম ১৬ বছর হলো, কারো জন্য তা ১৮ বা তারো বেশী কিন্তু একের জন্য অন্যের আবেগের নাই এতোঠুকু কমতি। আমরা এইভাবেই থাকবো ইনশাআল্লাহ একে অপরের জন্য একসাথে...

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss