ঝিরঝির বৃষ্টি,, দেয়াল বেয়ে উঠে প্রবল বেগে বয়স বাড়াচ্ছে জংলী লতা পাতা গুলো।
মাঝে মাঝে অর্থ হীন ভাবে চিন্তা করি ওই জংলী লতা পাতা গুলোর কি চিন্তা শক্তি আছে ?আচ্ছা এ সব উদিভদ গুলো কি আমার মত নষ্টালজিয়ায় ভোগেনা??
এই লতা গুলোর কি ইচ্ছে করেনা তার অংকুরের সময় গুলোতে ফিরে যেতে ? মনে হয় করেনা, ও রকম হলে তো লতা নুইয়ে পড়ত।
আমার খুব ইচ্ছে করে, চলে যেতে সেই কৈশোরে, যেখানে ব্যস্ততা নেই, জটিলতা নেই যেখানে সবুজ মন ছুটে চলে দুরন্ত গতিতে কলোনীর এ মাথা ও মাথা।
ইচ্ছে করে, সেই সহজ সরল জীবন টা ফিরে পেতে। দুরু দুরু বুকে নিষ্পাপ চাহনী, তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে পাগলা রাশেদের সাথে বিরাট ৈহৈ চৈ, দশ মিনিট পর আবার একটা সিগারেট নিয়ে ভাগাভাগি করে খাওয়া।দুটো গোল সেভ করতে পারলে বা দুটো চার মারতে পারলে নিজেকে বিরাট ফুটবল বা ক্রিকেট খেলোয়ার মনে করা।
ইচ্ছে করে আগের মতন, এই যন্ত্রনাময় জটিল জীবনের বাইরোে- কেবল মা কিংবা বাবার বকুনির ভয়টাই যেনো থাকে আজীবন বুকের ভেতরে।
এই যে এক জীবন যেখানে সবকিছুর মানে লুকিয়ে থাকা -ইচ্ছে করে এ জটিলতা থেকে পালিয়ে যাই আমার সহজ সরল ওই কৈশোরে।
আচ্ছা নষ্টালজিয়া কাকে বলে?
প্রচন্ড ভাবে কৈশোরে ফিরে যাবার প্রবনতা, সেখান থেকে ফেলে আসা স্মৃতির বুকে লাফালাফি করতে, শৈশবের গালে চুমু আঁকতে মন চাচ্ছে।বুকের মাঝে তীব্র ধুকধুকানি হচ্ছে, পেছনের কিছু ভুলকেও যেন মনে হচ্ছে ফুল ।
যখন তখন ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে পেছনের সময়ে; যেই দ্রুতযানে করে এসেছি আজ এই জটিল জীবনে- মন চায় খুব ভোরেই সেই দ্রুতযানে চড়ে আবার ফিরে যেতে আমার সেই স্বর্ণালী কৈশরে।
এটাই বোধ হয় সেই নষ্টালজিয়া। ভীষণ ভুগছি এই নষ্টালজিয়া রোগে।।
No one has commented yet. Be the first!