পাত্র হিসেবে পাভেল বেশ ভালোই ঢাকায় ব্যাংকে চাকুরী করে বাবা মা চট্টগ্রামে,পাভেলের বিয়ে ঠিক ঠাক মুনিরার সাথে, মুনিরার মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হলেই বিয়ে।উভয় পরিবার ঠিক করিল এখন আকদ টা সেরে ফেলা যাক।যথাসময় আকদ সম্পন্ন হলো,সব কিছু ঠিক থাকিলে ৩ মাস পর বিয়ে।নিয়ম হলো পাভেল শশুর বাড়ি যেতে পারিবে তবে শুধুমাত্র দাওয়াত খেতেই,থাকতে পারিবেনা।ফোনে কথা বলা যাবে।
পাভেল এর চট্টগ্রামে প্রায়ই আসা হয়।সেদিন মুনিরাদের বাসায় পাভেল এর দাওয়াত ছিল।হঠাৎ রাত ৯:৩০মিনিটে আসলো ঝুম ঝড় বৃষ্টি। পাভেলও মনে মনে ভাবলো এইবার শশুর শাশুড়ি যাবে কোথায়,নিশ্চয় এই অবস্থায় তাকে যেতে দিবেনা।এইদিকে পাভেল এর মা অস্থির ফোনে বারবার তার বেয়াই কে বলল পাভেল কে পাঠিয়ে দিন জলদি।মুনিরা মিটি মিটি হাসে আবার অস্থির হয়ে ভাবে পাভেল কে যদি সত্যি সত্যি পাঠিয়েই দেয় তাহলে পাভেল এই ঝড়ে কিভাবে বাসায় যাবে!!
ওমা, রাত ১২টায় মুনিরার বাবা কোথা হতে এক স্কুটার এনে হাজির ছাতা মাথায় নিয়ে।পাভেল কে বলল, বাবা পাভেল ভাড়া দিওনা, ভাড়াটা আমি দিয়ে দিয়েছি...
সেইদিন রাতে পাভেল ভালোভাবেই তার বাসায় পৌঁছেছিল....
(উপরের কাহিনী টি গল্প আকারে লিখলেও এই ধরনের অপেক্ষা আমাদের যুগে ছিল,এবং আজ এত কাল পর বুঝতে পারি এই অপেক্ষা কত যে মধুর, তখনকার কালচারটা আসলেই ছিল অনেক কিউট ।।।আজকালকার ছেলেমেয়েরা কি বুঝবে!!)
No comments:
Post a Comment