এভাবে আমাদের মিশন চলছে। তবে বেশী অপারেশন হতো কারো বাসা খালি থাকলে। হয়তো আমাদের মধ্যে কারো বাসার সবাই বাড়ী গেছে ,আমাদের একজন সোনার চাঁন বাসার পাহারায় আছে।সংবাদ পেয়ে আমরা দলে-বলে তার বাসা পাহারায় বসে গেলাম । এ পাহারা সে চাক বা না চাক, তাতে আমদের কিচ্ছু যায় আসে না। এর রকমই এক ঘটনায় মোজাম্মেলের(ডা: মোজাম্মেল) বাসা ফাঁকা । আমরা সবাই মিলে কঠিন পাহারা দেই। দু’দিন বাদে হঠাৎ সকাল সকাল মোজাম্মেল আমাদের বাসার নিচ থেকে করুণ স্বরে ডাকছে।(তখন আমরা C-3 –তে থাকি)। নিচে নেমে এলাম। সে শুকনো গলায় নিচু স্বরে বললো---“শালা বাপ্পি—হারুইন্যা(মারগেছে আল্লাহ্ তাকে মাফ করুন) আরো শালারা মিলা হুজুরের মুরগী জবহ করেছে। এখনতো ভাই ধরা খামু আমি”।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Tuesday, September 15, 2015
“ফুটবল “
- Mahabub Rasel
কলোনিতে বড়মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছিলো,
আমরা ৯৭ ব্যাচ থেকে বোধহয় জোড়া-তালি দিয়ে ২ টা টিম দিয়েছিলাম। একটা ৯৭ ইয়োলো আরেকটা ৯৭ গ্রীন। ৯৭ গ্রীনে বানানো হয়ে গেছে রবিন,
ছামির, রিপু, সোহেল, দীপক, নাজিম সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে। আমি ছিলাম গ্রামের বাড়িতে,
বাড়ি থেকে এসে দেখি এর মধ্যে আমাদের ৯৭ গ্রীন সেমিফাইনালে উঠে গেছে। আমারও খেলার সুযোগ হয়ে গেলো সেমিফাইনালে ডিফেন্স হিসেবে।
খেলা শুরু হয়ে গেছে,
চরম উত্তেজনা
!!! বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় সীপন ভাই,
বল নিয়ে তার বাম দিক দিয়ে সেইরকম স্পীডে গোল দেওয়ার জন্য ছুটে আসতেছেন,
আমি দিলাম ট্যাকেল সীপন ভাই মনে হয় গতির কারনে গড়াতে গড়াতে ৪/৫ হাত দূরে গিয়ে পড়লেন,
ব্যাপারটা যতটানা বড় ছিলো,
দেখতে আরো বেশী গুরুতর দেখাচ্ছিলো
!!! সঙ্গে সঙ্গে বাঁশি,
ফাউল, আমাকে কার্ড দেখানো হলো। ফাউল ঠিক আছে কিন্তু কার্ড কেন
?
“ নামকরন “
কোন ক্লাসে মনে নাই,
নতুন এক ধরনের জিনিস পেয়েছিলাম পাঠ্যবইয়ে,
পড়লেই মেজেজ খারাপ হয়ে যেত,
জিনিসটার নাম স্যাররা বলতেন,
“ এইগুলা হলো গদ্য কবিতা
“, কিরে ভাই
!!! এইগুলা নাকি কবিতা
!!! এক লাইনের সাথে আরেক লাইনের কোন মিল নাই
!!, কোন ছন্দ নাই
!! মনে হতো যেন কেউ যা মনে এসেছে তাই লিখেছে
!! এইরকম কবিতাতো আমরাও লিখতে পারবো,
অবশ্য লিখি নাই বললে ভুল হবে,
হেসে হেসে একটু ভাব নিয়ে ৩/৪ লাইন যা মনে আসতো বলতাম। আমরা ৯৭ ব্যাচ খুব ভাব নিয়ে এক লাইনের একটা কবিতা আবৃত্তি করতাম,
“ আজিজ কি দারুন নাম
“।
Subscribe to:
Posts (Atom)