Saturday, May 14, 2016

পরিসংখ্যান রিপোর্টঃ এপ্রিল ২০১৬ (১ এপ্রিল ২০১৬ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত)


অসুস্থতার (পরিবারের প্রায় সবাই অসুস্থ ছিল) কারণে এপ্রিল ২০১৬ এর পরিসংখ্যান রিপোর্টটা প্রকাশ করতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল তাই সবার নিকট ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

রেকর্ড রেকর্ড রেকর্ড আবারো রেকর্ড। মার্চ মাসের রেকর্ডটা আবারও ভেঙ্গে গেল। এপ্রিল মাসেও লিখালিখি আর লেখকের পদচারনায় ভরপুর ছিল সি.এস.এম পেজটি। প্রতিদিনই অসংখ্য লিখা, পোস্ট, ছবি, ছড়া, কবিতা এসেছে পেজ টিতে। তাই এই মাসেও অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হইছে।

যাইহোক এইবার ফলাফল প্রকাশ করি।

# Facebook CSM Colony পেজ এ এপ্রিল ২০১৬ (১ এপ্রিল ২০১৬ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত) ছোট, বড়, মাঝারি, বাংলা, ইংলিশ, বাংলিশ মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত সকল ছোট, বড়, মাঝারি ভাই বোনদের মোট লিখার সংখ্যা (অনুছড়া/পরমাণু ছড়া/হঠাৎ ছড়া/কচুর ছড়া/বাথরুম খেলা/অন্যান্য খেলা বাদে) ৩৫০ টি (এভারেজ ১১.৬৭), যা মার্চে ছিল ২৯৩ টি (এভারেজ ৯.৪৫) এবং আমি আবারও বলেছি যা গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বাধিক।

# এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি লিখা পোস্ট হয়েছে ২ এপ্রিল ২০১৬ (২৭ টি) আর সবচেয়ে কম লিখা পোস্ট হয়েছে ১১ এপ্রিল ২০১৬ (মাত্র ৪ টি)।

# এপ্রিলে মোট লেখকের সংখ্যা ছিল ৬৫ জন, যা মার্চে ছিল ৫৩ জন, সুতরাং লেখকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ জন (২২.৬৪%) আবার মার্চের তুলনায় এপ্রিলে লিখার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৭ টি (১৯.৪৫%) ।

# যদি কারো লিখা ভুলবশত বাদ যায় তাহলে ক্ষমা করবেন এবং আমাকে ট্যাগ করবেন। উল্লেখ্য যে এপ্রিলে লিখার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবার জন্য এই মাসের পরিসংখ্যান করতে গিয়ে আমাকে কিছুটা হিমসিম খেতে হইছে।

• এপ্রিল ২০১৬ তে আতিক ভাইয়ের এর লিখা সবচেয়ে বেশি, উনার সর্বমোট লিখার সংখ্যা ৬৩,
• দ্বিতীয় অবস্থান আছে নিয়াজ মোরশেদ জনি, স্কোরঃ ৩৯, 
• তৃতীয় অবস্থান আছে আসলাম উদ্দিন মামুন ভাই, স্কোরঃ ২৫।

বাহ বেশ বেশঃ এখন এই সি এস এম পেইজ এ যখন ইন করি তখন মাঝে মাঝে মনে হয়


বাহ বেশ বেশঃ এখন এই সি এস এম পেইজ এ যখন ইন করি তখন মাঝে মাঝে মনে হয় এই তো আমাদের সি এস এম কলোনির গর্বিত ভাই ও বোনেরা। যেমন এখন ই দেখলাম সুজন এর এপ্রিল এর রেজাল্ট, মামুন এর ngo করাবে তার জন্য অনেক অনেক ভাই /বোন্দের পোস্ট,একটা মানুষের এর ছেয়ে বেশি কি কোন ভালবাসা দরকার হয়,আমার মনে হয় না,আমি যখন এমন ngo করাতে গেছিলাম তখন আমার ভিতরে যে কেমন লাগছিল বলে বুজাতে পারবো না ,কিন্তু খুব ই সাধারন একটি অপারেশন,তখন আমি ও বুজিনি যেমন এখন মামুন বুজতেছে না, শুধু ২ দিন পা টা কে সোজা করে একই অবস্থায় রাখতে হবে,দোয়া করি মামুন এর ব্লক থাকবে কিন্তু ৫০% বেশি না আল্লাহ যেন আমাদের এই দোয়া কবুল করেন,আমি যা জেনেছি ৩০ এর পর যে কোন মানুষের হার্ট এ ব্লক থাকে কিন্তু % এর উপর নির্ভরশীল ,আল্লাহ সবাই কে ভাল রাখুক।

সি এস এম এর ভাই ও বোনদের মধ্যে এখন অনেক প্রতিযোগিতা চলে যেমন কে কত বেশি পোস্ট করতে পারে


সি এস এম এর ভাই ও বোনদের মধ্যে এখন অনেক প্রতিযোগিতা চলে যেমন কে কত বেশি পোস্ট করতে পারে,কে প্রথম হবে,কে কাকে বেশিই তেল বা ঘী দিবে, যেমন আমাদের ছোট ভাই মামুন সবাই কে তেল দিতে দিতে নিজে হার্ট এর ধাকায় নিজেই এখন হার্ট ফাউন্ডেশন এ চিত হয়ে গেছে,কিন্তু এতো কিছুর পর ও খুব মজা ও ভাল লাগে এ পেইজ এ ডুকলে।

এখন এমন দিন কাল চলছে কোন কাজ নাই, মন ভাল নেই, পকেটে টাকা নেই, কি করবো, কোথায় যাবো,এমন সময় মন বলে চিন্তা কিসের সি এস এম পেইজ আছে না আর এই পেইজ এ এসে মন ,দিল,পকেট বউ, বাচ্চা সব ভুলে যাই,মাঝে মাঝে বন্ধুদের ফোন করলে পাই না আর যখন পাই তখনই শুনি কোথায় ছিলি বলে সি এস এম(ভারচুয়াল), আর যখন এক সাথে কোথাও থাকি তখন ও বন্ধুরা সবাই সি এস এম কলোনি ফেইজ বুক(মোবাইল দিয়ে) ,খুব ভাল ,খুব মজা,খুব আনন্দ,চালিয়ে যাও।

আজ মামুনকে যখন দেখতে গিয়েছিলাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে


আজ মামুনকে যখন দেখতে গিয়েছিলাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে সেখানে রেজা ভাই রিপন ভাইয়ের পাশাপাশি মামুনের স্ত্রী সহ, মামুনের দু বোন এবং আরো দুয়েকজন নিকটাত্মীয় ছিল। মামুনের স্ত্রী আর নিকটাত্মীয় দের কথা বাদ দিলাম, মামুনের দু বোন স্টিলার হয়েও আমার মত এই স্টিলার রত্ন কে চিনতে পারেনি, আমার জন্য ব্যাপারখানি বড়ই আফসোসের বিষয় ছিল। একটা মানুষ কে সবাই চিনতে পারে যদি সে বিখ্যাত বা কুখ্যাত টাইপ কেউ হয়ে থাকে। বুঝা গেল আমি কলোনিতে বিখ্যাত বা কুখ্যাত কোনটাই ছিলাম না। ছিলাম পুরোপুরি ভেজিটেবল ।

একজন ডাক্তার বলতে পারবে, রুগিকে কি চিকিৎসা দিতে হবে


একজন ডাক্তার বলতে পারবে, রুগিকে কি চিকিৎসা দিতে হবে। আমরা অসহায়। আমাদের কে বিশ্বাস রাখতে হবে, ডাক্তার এর উপর। আর আল্লাহর কাছে হাত তুলে বলতে হবে, তুমি আমাদের রোগ থেকে মুক্তি দাও। মামুনের জন্য মনটা খারাপ। অল্প বয়সে একটি ধাক্কা খেলো। আজ দুপুরে, এনজিও গ্রাম করার পর, মামুনের ধমনী তে ব্লক ধরা পরে। ডাক্তারের ভাষ্যমতে, ২টি ব্লক, তাও ১০০%। বাইপাস সার্জারি অথবা স্ট্যান্টিং(রিং) যে কোনো একটি করতে হবে। আমাদের ডাঃ রিমুর কথাটি ছিলো, কাটা ছেড়া করার চেয়ে, স্ট্যান্টিং করা টাই উত্তম। মামুনের বড় ভাই মিতু সহ, আমরা রিমুর কথাকেই গুরুত্ব দিলাম। আল্লাহ চাহেতো ভালোভাবেই মামুনের হার্টে রিং পড়ানো হলো। আল্লাহর রহমতে মামুন এখন নিরাপদ। ১টা মাস বা তারও অধিক মামুন কে পুর্ন বিশ্রাম নিতে হবে। খাদ্য অভ্যাস- এর পরিবর্তন করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। ইনশাল্লাহ আমাদের মামুন ভালো থাকবে। কাল সম্ভবত মামুন কে, তার কেবিনে দিবে। সবার প্রতি অনুরোধ রইলো, মামুনের কেবিনে খুব একটা লোক জনের, হইচই যেন না হয়। মহান আল্লাহ পাক আমাদের মামুন কে দ্রুত সুস্থ করে তুলুক। আমিন।

মামুনকে দেখতে গিয়েছিলাম আজ


মামুনকে দেখতে গিয়েছিলাম আজ। ও আছে পোস্ট অপারেটিভ রুমে। ওখানে entry restricted. মিতুভাইয়ের বদৌলতে গেলাম মামুনের কাছে। চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। মাথায় হাত রাখার সাথে সাথেই চোখ মেলে তাকালো।আমাকে দেখেই স্বভাবসুলভ কথা শুরু করে দিল। "বুবু,কাউরে ডাকো তো, আমার পায়ে এখন যে ব্যান্ডেজটা আছে ওটা খুলে দিতে বল,আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছে"। ডাকলাম কর্তব্যরত সিস্টারকে। সে ফাইল এনে দেখে বললো ডাক্তার এসে খুলবে,আরেকটু সহ্য করেন। ওর বেডের ওপর আরেকটু উচু টেবিল এটাচ করা এমনভাবে যেন সে পা নাড়াতে না পারে। কিন্তু কথা থামছে না। আমার হাত ধরে বললো "বুবু,তুমি আসছ,খুব খুশি হইসি"। এরপর রিমু আর মিতু ভাই আসলো। রিমুর কাছে জানতে চাইলাম কেবিনে কবে দিবে। সে বললো কাল। দেখি কাল আবার যেতে চেস্টা করবো। আমার বাসা থেকে অনেক দূর। খারাপ লাগছিল, এই বয়সেই এমন একটা বিষয়। ও বার বার বলছিল আমার এমন অসুখ কেন হলো।এই কেনর তো কোন জবাব নেই। চলে এলাম। কারন ও অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে যা তার বারন।
কথা হল পেইজের সকল জিহবা ওয়ালা ভাই ও বোনেরা(আমি সহ), চা পরটা,নলা,মেজবানী,জন্মদিনের কেক কম খাইলে দুনিয়ার কারো ক্ষতি তো হবেই না,বরং তোমাদেরই লাভ বেশি। জিহবা সামাল দাও সবাই। যাহোক,সবাই মিলে মামুনের জন্য দোয়া করি চল।ও সুস্থ হয়ে উঠুক।

বিশ্বাস!!!!!--'অতঃপর ঠকা''


বিশ্বাস!!!!!--'অতঃপর ঠকা''

প্রতিবারই ভাবি এই শেষ,,আর জীবনে কোন দিন কাউকে বিশ্বাস করবো না বা বিশ্বাস করে উপকার করবো না।।আর দশজন যেভাবে চলে বা করে সে ভাবেই চলবো বা করবো।।কিন্তু পারিনা!!!!বরাবরই আমাকে বিশ্বাস করতে হয় এবং ঠকতে হয়।।

যে চাকরি টা করি সেটাকে সবাই খারাপ বা ঘৃণার চোখে দেখে আর তাই বরাবরই আমি নিজের ব্যবহার দিয়ে বা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হলেও উপকার করার চেষ্টা করি।।এই ভেবে যে আমার দ্বারা হলেও যেন তার মনে আমার প্রতি বা আমার পেশার প্রতি একটু সম্মানের সৃষ্টি হয়।।কিন্তু না মানুষ আমাকে দূর্বল ভাবে।।আমার সম্মান টাকে তাঁরা দূর্বলতা ভাবে।।আমার সাথে প্রতারণা করে।।প্রতারণাটা যখন বুঝতে পারি তখন মনে হয় আসলে আমার পেশায় জড়িত অন্য সদস্যরা যা করে তা ঠিকই করে।।