একটা গোলাপি পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবীটাও সুন্দর। পাঞ্জাবীটা বসে বসে দেখছি। কেটে ফেলবো নাকি পাঞ্জাবীর হাতাটা!! অর্ধেক হাত কাটলেই একটা চমৎকার ফতুয়া হয়ে যাবে!! নিচে নেমে একটা কেচি কিনে নিয়ে আসলে কেমন হয়?? নাহ কাজটা ঠিক হবেনা। আদর করে ছোট ভাইকে একটা পাঞ্জাবী দিয়েছে, বড় ভালোবেসে দিয়েছে, এই পাঞ্জাবীর হাত কেটে ফতু বানানোটা অমানবিক কাজ হবে। তারিককে পাঞ্জাবীটা খুব মানিয়েছে। আরে দেখতে হবেনা পাঞ্জাবীটা কে দিয়েছে!?? ঈদ মোবারক "গোলাপী পাঞ্জাবী"। ঈদ মোবারক জেরিন রিপা। ভালোবাসা রইলো এই ছোট বোনটির প্রতি।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, July 9, 2016
ঢাকা শহরে খোলামেলা জায়গা পাওয়া খুবই কষ্টকর
ঢাকা শহরে খোলামেলা জায়গা পাওয়া খুবই কষ্টকর, পাওয়া যায়না বললেই চলে। বাচ্চা গুলো বড় হয় ফার্মের মুরগীর মত বন্দী জীবন নিয়ে। মাঝে মাঝে সিটি ক্লাব মাঠে ছেলেকে নিয়ে আসি, সেখানেও এত মানুষ যে এক চিলতে খেলার জায়গাও পাওয়া যায়না।
আজ ঈদের ফাঁকা শহরে সিটি ক্লাব মাঠ টিও ফাঁকা পাওয়া গেল, এই সুযোগে বাপ ব্যাটা মিলে চুটিয়ে ক্রিকেট খেললাম।

নুবাইদ তার নানার বাড়ীতে পা রেখেই বল হাতে উঠাতে নেমে পরে
নুবাইদ তার নানার বাড়ীতে পা রেখেই বল হাতে উঠাতে নেমে পরে !!
শহরে খেলাধুলা করার জায়গা নেই বললেই চলে । বাড়ীতে গেলে ছেলে-মেয়েরা অনেক খুশির মধ্যে দিন কাটাত , তারা বেশি ভাগ সময় খেলাধুলা ও দৌড়া দৌড়ির মধ্যেই থাকে । আজ নুবাইদ ও নুসফিকা বৃষ্টিতে ভিঁজে গোসল করেছে । আমি তাদের কোন বাঁধা দেই নি বরং আমিও তাদের সাথে বৃষ্টিতে ভিঁজে গোসল করেছি । মেয়েটা আমার অনেক খুশি বাবাও তাদের সাথে বৃষ্টিতে ভিঁজতেছে । মেয়েটাও বলেই ফেললো বাবা আমরা বাড়ীতে আরো কয়েকটা দিন থাকি । বাবার কি আর সেই সময় আছে - বাবা তো কামলা , কর্ম করে পেট চালাতে হয় । ছেলে ও মেয়েটাকে আরো এক সাপ্তাহ ছুটি দিলাম , আর আমাকে আগামীকাল কর্মে ফিরতে হবে । এই কয়টা দিন কর্মের শেষে বাসায় গিয়ে সেই রান্নার জামেলা পোয়াতে হবে । অফিস শেষ করে রান্না বান্না করা বড়ই কষ্ট ।
তাই চিন্তা করছি এই ৪/৫দিন কোন না কোন স্টিলারের ঘরে গিয়ে হামলা চালাবো । সাথে কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন !!

মন খারাপের দৃশ্যাবলী
আমাদের স্কুলে ক্লাস কামাই করার জন্য জরিমানার বিধান ছিল।টিফিনে না আসলে ১ টাকা আর পুরো দিন না আসলে ৫০ পয়সা।ক্লাস সেভেনে আমাদের ক্লাস টিচার ছিলেন সাফা স্যার। বছর শেষে উনি যখন হাজিরা চেক করে দেখছেন,তখন দেখা গেল আমার ফাইন আসছে ৫০ পয়সা।তার মানে সারা বছর আমি ক্লাসে আসিনি একদিন।এটা নিয়ে সবার কি হাসাহাসি। স্যারও হাসলেন।সুজন খুব বিরক্ত ছিল এটা নিয়ে আমার উপর। বলত তোর কি অসুখ হয়না বা বিরক্ত লাগেনা।
সত্যি বলতে আমার যে অসুখ হত না,তা না কিন্তু সেটা স্কুল যখন বন্ধ থাকত। ঈদের বন্ধের সময় আমার ঈদের কয়েকদিন পর জ্বর আসত।কিংবা অন্য বন্ধের সময়। আর পরীক্ষা শেষে হাত পা কাটা যেত।
আর ক্লাস করতে যে খুব ভাল লাগত তা না।কিন্তু মনে হত কোন একটা ক্লাস না করলে দরকারি কিছু মিস করব।
মাঝেমাঝে ভাবি মন খারাপের জন্য যেমন কিছু বদলে যাওয়া দৃশ্য আছে তেমনি মন ভাল করার জন্য কিছু সুখ স্মৃতিও আছে

Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!