Thursday, July 28, 2016

" স্বপ্ন "


আমার ছোট বোন Tanjina Huda মনিকা। সে বর্তমানে বাহারাইন থাকে।মনিকা সি এস এম পেইজে লিখা পোষ্ট না দিলেও মাঝেমাঝে কমেন্টস করে। আজ তার সাথে ফোনে কথা হলো। সে বললো - পেইজেতো দেখি খুব লেখালেখি চলছে। আমি না লিখলেও সব সময় সবার লিখা পড়ি ও লাইক দি আর মাঝের মধ্যে কমেন্টস করি। আর আজতো সবাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলাম। আমি জানতে চাইলাম কি? বলে কি - বাড়িতে মেজবানি চলতেছে সব দেখছি সি এস এম মানে আমাদের কলোনীর মানুষ। তুমি সবাইকে খুব যত্ন করে খাওয়াচ্ছো আর আমি সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছি। দেখছেননি কারবার আমারে কাজে লাগাই দি হেতি বলে আড্ডা দেয়। যা হোক সবাই আমার বোনের জন্য দোয়া করবেন। সবাইকে নিয়ে যেন এমন মেজবানি দিয়ে আড্ডা দিতে পারে। আল্লাহ তোমার মনের আশা পূরন করুক মনিকা।

ডি টাইপের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিকালে আমরা আটজন


ডি টাইপের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিকালে আমরা আটজন (আমি, মনু, লিটন, শাহেদ, মানিক,সুমন শাহিন,বাবু) কত হেঁটেছি। এই রাস্তাটি আমাদের পছন্দের রাস্তা ছিল। কারন কলনির সব রাস্তায় লোকসমাগম প্রচুর ছিল। তুলনামুলক এই রাস্তায় লোক সমাগম কম ছিল। তাই এই রাস্তাতে আমরা একটু বেশি হাঁটতাম। তবে মাঝেমধ্যে (সব দিন নয়) অফিসার ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে সি-১ এর পাশে রাস্তা হয়ে সি-২ এর সামনে দিয়ে আবার এই রাস্তায় হাঁটতাম। দুই/তিন রাউন্ড দেওয়ার পর সেই ঐতিহাসিক ড্রেনের পাড়ে বসতাম। কিছুক্ষণ বসার পর আবার হাঁটাহাঁটি।
আমাদের হাঁটার ছবিতে ইমুকে ও সুলতান কে দেখা যাচ্ছে। Muhammad Moinul Huda, Shahabuddin Liton, Shahed Hussein, Taj Suman, Saiful Manik,

আজ দুপুরে একটা জরুরী কাজে রুপালী ব্যাংক, বিদ্যুৎ ভবন শাখায় গিয়েছিলাম


আজ দুপুরে একটা জরুরী কাজে রুপালী ব্যাংক, বিদ্যুৎ ভবন শাখায় গিয়েছিলাম। সেই ব্যাংকের ম্যানেজার হচ্ছেন Masuk Elahi. খুবই অমায়িক এবং সজ্জন লোক। সেখানে যাওয়ার সাথে চা খাওয়ালো। এবং আমি যে কাজে গিয়েছিলাম, সেই কাজটা উনি সরাসরি ফাইল এনে সাথে সাথে করিয়ে দিলেন। কাজ শেষে উনার কাছ থেকে বিদায় নিতে চাইলাম, কিন্তু না উনি কিছুতেই ছাড়বেন না। জোর করে বসিয়ে রাখলেন। তারপর উনি অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সময় দিলেন। প্রায় দুপুর দেড়টা বাজে। এর মাঝে আরেকটা ব্যাংক থেকে ফোন আসলো। তাই উনার কাছ থেকে জোর করে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। অবশ্য আসার আগে দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য অনেক চাপাচাপি করছিল। কিন্তু আমি আবার একা খেতে পারি না। তাই কেউ সঙ্গে ছিল না বিধায় না খেয়ে চলে আসতে হলো।

রেজা কে যেমন দেখতাম


১. স্কুল পালিয়ে পুকুর পাড়ে, খাল পাড়ে, টং দুকানে, চা সিগারেট আর পান মুখে নড়ে চরে থাকতে।
২. মেয়েদের ক্লাস ছুটি তে কখনও ইউনুসের দুকান, টাং কির উত্তর থেকে দক্কিন দিকে বিরদপে কিসের খুজে এগিয়ে আসতে।
৩. দেখতাম লুংগি পরিহিত বরা দুপুরে এফ টাইপ থেকে পিরমাজারের দিকে ছুটেছ আসতে।
৪. দেকতাম শুনতাম সি টাইপের মাঠেঘাটে কুনার ব্লিদিং দিকে আকাশ দেখার নামে তাকিয়ে থাকতে।
৫. প্রায় সময়ে দেখা যেত এক হাতে লুংগি ধরা মুখে স্টার সিগারেট আর পান ত থাকতুই ওয়াকাস ক্লাব থেকে উস্ক খুস্ক চেহারায় বেড়িয়ে আসত। কি করত রেজা ক্লাবে??
কখনও জানতে চাইতাম না কিন্তু বুজতাম। মাজে মাজে শুনতাম এ টা খান্সুর(চাচা সালাম নিবেন) সাহেবের ছেলে না,,,,,। 
৬. দেখতাম সাদা প্যান্ট আর সাট মাথায় সাদা টু পি হাতে বল নিয়ে ইকবাল(ভাই) বাহিনির সাথে এ মাঠ থেকে অন্য কন মাঠেঘাটে চষেছে কলনির মাথা উদ্দে তুলে ধরতে।
সে ছিল অলরাউন্ডার,,, তার বিচরন সব্রখানে সচল ছিল সব সময়।
তবে ছে লে ভা ল।।।

প্রিয় শহর চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেছি ১৯৯৮ সালে


প্রিয় শহর চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেছি ১৯৯৮ সালে। চট্টগ্রামের অনেক কিছুই মিস করি প্রতিনিয়ত। মিস করা অনেক কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মিস করি ছোট বেলার বন্ধুদের। আর খাবারের কথা বলতে গেলে লইট্টা মাছ। 

চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে আসার পর অনেক বার গিয়েছি চট্টগ্রামে অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে অনেকের সাথে হয়নি। আর লইট্টা মাছ টা ৯৮ সালের পরে আর কখনো খাওয়া হয়নি।

আজ ঢাকা মেডিকেলে আমাকে দেখতে এসেছিলো ছোট বেলার বান্ধবী হিরা। ওর সাথে দেখা দীর্ঘ বাইশ বছর পর। সাথে নিয়ে এসেছিলো রান্না করা লইট্টা মাছ। লইট্টা মাছের সাথে দেখা আঠারো বছর পর। 

অনেক ঝামেলা করে আমার জন্য চট্টগ্রাম থেকে লইট্টা মাছ নিয়ে এসেছে হীরা। 

বাইশ বছর পর ছোট বেলার বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়া আর আঠারো বছর পর প্রিয় মাছ লইট্টা খাওয়া দুইটাই ছিলো ভীষন আনন্দের। :D :D :D

আজ আবরার ভাইয়ের সাথে বসে অনেকক্ষণ ধরে কথা হহল,পাপ্পুর এক্সিডেন নিয়ে


আজ আবরার ভাইয়ের সাথে বসে অনেকক্ষণ ধরে কথা হহল,পাপ্পুর এক্সিডেন নিয়ে।

পাপ্পু এক্সিডেন করে ২০০৯ সালে।তারপর দেশের চিকিৎসা তে সেরকম উন্নতি না হওয়ায় পাপ্পুকে নিয়ে যাওয়া হয়।ইন্ডিয়াতে,সেখানে সিএমসি তে নয় মাস পাপ্পুকে চিকিৎসা করে কিছু সুস্থ করা হয়।

সেই নয়টা মাস খালাম্মা ও সুরাইয়া যে কি পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে তা শুনে আমি সত্যি আবেগিত।মা- বোনরা মনে হয় এরকম হয়।সুরাইয়া পাপ্পুর ছোট বোন, সেই নয় মাসে নাকি প্রতিদিন তিন ঘন্টার বেশী ঘুমাতে পারেনি।ভাইয়ের বেডের পাশে চেয়ারে বসে বিছানাতে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকত।সত্যি ছোট বোন তোমায় সালাম।তোমার মত বোন আমাদের সিএসএমের গর্ব।

খালাম্মা কথা কি বলবো,মারা তো এমনই হয়,হাসপাতাল থেকে যে হোটেলে খালাম্মারা উঠেছিল তার দুরত্ব, আমাদের স্টিল কলোনী থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পযন্ত হবে।খালাম্মা প্রতিদিন ভোরে উঠে নামাজ পরে,নাস্তা তৈরি করে সকাল ছয়টায় হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যেত।কারন সেখানে নাকি রিক্সা নেই,টেক্সি ভাড়া প্রতিদিন দেওয়া সম্ভব ছিল না।আবার রোদে - বৃষ্টি তে হেটে এসে দুপুরের খানা পাকিয়ে আবার টিফিন ক্যারিয়ার করে নিয়ে যাওয়া।আল্লাহ খালাম্মাকে অনেক ধ্যৈর্য্য দিয়েছে,যা আমরা পাপ্পুকে দেখতে গিয়ে দেখেছি।পাপ্পুর পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে,সেটা বড় কথা নয়,ভাইটি এখন মোটামুটি বেঁচে আছে।তবে যেমনে আছে সেভাবে তার পরিবার খরচ চালিয়ে নিতে পারবে,তবে যদি বড় কোন চিকিৎসা করতে হয়, তার জন্য যে পরিমান খরচ লাগবে তা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা কষ্ট কর।তাই আমাদের সিএসএমের সকলের নিকট আবেদন যেন ভাইটির চিকিৎসার জন্য আমরা আমাদের সাধ্যমত সহয়াতার হাত বাড়িয়ে দি।কারন আমরা আমরাইতো।

কাকার কিছু কথা আছে,তা পরে আরেকদিন বলবো।

এখন যোগাযোগের কত মাধ্যম, সেকেন্ডের আগেই সব তথ্য আদানপ্রদান করা যাচ্ছে


এখন যোগাযোগের কত মাধ্যম, সেকেন্ডের আগেই সব তথ্য আদানপ্রদান করা যাচ্ছে। সেটা ব্যবসা হোক, রাজনীতি হোক আর অফিসিয়াল হোক অথবা মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রেমের ক্ষেত্রই হোক। প্রেমের ক্ষেত্রে যোগাযোগ মাধ্যম তো মহা জরুরি বিষয়। আজকাল তো যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে কখন কোথায় কিভাবে দেখা হবে নিমিষেই জেনে যাচ্ছে বা জানানো যাচ্ছে। আজ থেকে ২০/২২ বছর আগে আহ এ সুযোগ গুলো যদি থাকতো! তখন তো চিঠি বা রিলায়াবেল মেসেনজারের উপর নির্ভর করা লাগত। এমনও হয়েছে বার্তাবাহকের ভুলের কারনে প্রেমিক বসে আছে প্রেমিকার অপেক্ষায় অথচ প্রেমিকা কিছুই জানেনা। জানবে কিভাবে বার্তাবাহক যে মেসেজ টি দিতে ভুলেই গেছে। এর উলটোটাও হয় প্রেমিকা বসে আছে প্রেমিকের জন্য অথচ প্রেমিক কিছু জানেনা।কারন মিডিয়া তাকেও খবব্ দিতে ভুলে গেছে। আর মিডিয়ার এ ভুলের খেসারত দিতে হয় লাইলি মজনু কে। দু জনের মাঝে চলে মান অভিমান ঝগড়া আর কথা বনধ।

আহারে জুকারবার্গ, আহারে মোবাইল, আহারে ইন্টারনেট তোমরা তখন কোথায় ছিলে? কোথায় ছিলে তখন ওস্তাদেরা?

কলোনীতে থাকার সময় ২১শে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে


কলোনীতে থাকার সময় ২১শে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে,শেষে শহিদ মিনারে অব্স্থান করতাম।ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে,জিলাপি খেয়ে বাসায় ফিরতাম।আজ সেই জায়গায়তে হাজারো শ্রমিকের পদধ্বনিতে মুখরিত হয় প্রভাত বেলা।শুধু অতীত হয়ে গেল আমাদের সোনালি দিন গুলো।কিছু স্বার্থনিশী মানুষের অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেল CSM পরিরাব।আমি আজও দেখি CSM এর লোহা পুড়ানোর কালো ও সাদা সেই ধোঁয়া।

আমাদের গল্প


ঝুমুর আপা একবার মজা করে বলেছিলেন কলোনি তে থাকতে উনি যদি একটা প্রেম করতেন, তাহলে লিখার মত অনেক কিছু পেতেন। হয়ত উনার কথা অনেক টাই সত্য। আমি নিজেও ত বন্ধুত্ব, হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার থেকে অনেক দূরে ছিলাম।কিন্তু তারপরেও মনে করি,এত বড় একটা কলোনি, এত এত মানুষ, এত বছরের দিনলিপি। অনেক গল্প ত হবার কথা। প্রতিটা বিল্ডিং এর প্রতিটা মানুষ আর এক একটা দিন,প্রতিটা মানুষের হাসি আনন্দ, কান্নার গল্প হিসাব করলে ত আমাদের অনেক গল্প।আর প্রতিটা দিন ত সাধারন রুটিনের না।বিশেষ দিনের গল্প গুলো ত আলাদা। এই পেজে তাই সেইসব দিনের গল্প শুনতেই ভাল লাগে যা শুধু কলোনি র মানুষ গুলো র ভালবাসা আর মায়া মমতার কারনে অসাধারণ হয়ে উঠেছিল, যা এত অল্পতেই ফুরাবার নয়

ক্যাঁচ করে রিকশাটি বিজয় স্মরনী সিগনালে ব্রেক কষল


ক্যাঁচ করে রিকশাটি বিজয় স্মরনী সিগনালে ব্রেক কষল। আর তখনই, নিপুর চিৎকার , দেখো দেখো -কদম ফুল। আমাকে কিনে দাওনা িএকটা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কদম ফুল বিক্রি করছে এ সিগন্যালে।ফয়সল পুরোপুরি বিরক্ত নিপুর এমন ছেলেমানুষি কাজ দেখে, কদম ফুল তো কি েহয়েছে, তার জন্য চেচিয়ে রাস্তা মাথায় তুলার তো কোন মানে হয়না। বিরক্ত নিয়ে ফয়সল বলল, আরেকটু সামনে যাই সেখানে কুমড়ো ফুল পাওয়া যাবে, দেখতেও সুন্দর আবার বড়া বানিয়েও খাওয়া যাবে আর কদম ফুল হচ্ছে বাদুড়ের খাদ্য, আমরাতো আর বাদুড় না।নিপু পুরোপুরি বেকুব হয়ে গেলো ফয়সালের এ ধরনের বেরসিক কথা বার্তায়। নিপু ভাবলো এই ফয়সল নামক গাধা পন্ডিত টাকে বিয়ে করে বিরাট ভুল হয়েছে। ভুল দুই প্রকার। পুটি মাছ সাইজের ভুল এবং আর তিমি মাছ টাইপ ভুল। ফয়সল কে বিয়ে করে সে তিমি মাছ ধরনের ভুল করেছে।

নিপু ভারী কাঁচের চশমা পড়া ফয়সলকে বললো – “তুমি রিক্সা থেকে নামো । সামান্য বাকী টুকু রাস্তা আমি নিজেই যেতে পারবো। এ রকম তিমি মাছ টাইপ গাধা পন্ডিতের সাথে এক রিকশায় যাওয়া অসম্ভব।
তোমাকে এই টেনিস বল টাইপ কদম ফুল কিনে দেইনি বলে আমাকে এতোগুলা কথা বলতে পারলে, বিষণ্ণ স্বরে বলল ফয়সল। 

সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছে। রিক্সা চলতে শুরু করেছে।

নিপু ভারী অবাক এবং হতাশ ভাবে জিজ্ঞেস করলো- “তুমি কী সত্যি সত্যি আমাকে কদম ফুল কিনা দিবা না ?”

ফয়সল একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাস ভঙ্গিতে বললো- “না। কদম ফুল এমন কোন বিশেষ কিছু না। টেনিল বল সাইজের একটা ফুল। এইটা দেখে এতো প্রেমে নুয়ে পড়ার কোনো মানে নাই। সামনে ফুলের দোকান আছে। কয়েকটা গোলাপি গোলাপ কিনে দিচ্ছি।”

নিপু মাথা নীচু করে বিয়ের আংটি টা দেখছে আর ভাবছে এই গাধা মার্কা রসকষ হীন তিমি পন্ডিতের সাথে বাকীটা জীবন কাটাতে হবে, ভাবতেই নিপুর চোখ থেকে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল।

হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। রিকশা সংসদ ভবনের কাছাকাছি, হঠাৎ ফয়সল চেচিয়ে উঠলো, বললো এইরিকশা থামো। রিকশাওয়ালা ভয়ে আতংকে ব্রেক চাপলো।

ফয়সাল নিপুর হাত ধরে রিক্সা থেকে তাঁকে নামিয়ে নিলো। রিক্সা ড্রাইভারকে বললো – ভাই ব্রেকটা চেপে রাখেন।

ফয়সল রিক্সার সিটের উপর দাঁড়িয়ে গেলো। তার মাথার উপরই একটি কদম গাছ ,সেখানে ডালে দুটো কদম ফুল ঝুলছে । ফুল দুটি ছিড়ে রিক্সার সিট থেকে নেমে নিপুর হাতে দিয়ে বললো- ”প্রিয় মানুষটিকে নিজের হাতে গাছ থেকে ফুল পেড়ে দিতে হয়, কিনে ফুল দিলে ফুল ও ভালোবাসার পবিত্রতা নষ্ট হয়।”

বৃষ্টির ছাট বাড়ছে, নিপু িবৃষ্টি ভেজা ফুল হাতে নিয়ে হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে, সে নিজেও ভিজে গিয়েছে। বৃষ্টির পানি আর চোখের পানি একাকার হয়ে গেছে।
আর ফয়সল ভাবছে,এই মেয়ে- এতো সুন্দর করে রাগে কেনো ? এই মেয়ে – এতো সুন্দর করে কাঁদে কেনো ?

মা বলতো- তোর বাবার যখন মন/মর্জি ভালো থাকবে, তখন কিছু চাবি


মা বলতো- তোর বাবার যখন মন/মর্জি ভালো থাকবে, তখন কিছু চাবি। আজ বাবার মন/মর্জি ভালো। বাবা আরাম করে বসে টিভি দেখছে। বাবার পাশে মা, সামনে নিচে বসে আছে, রনি এবং বাবু। শুধু নাই আমি!! দুপুরের পর থেকেই টেনশনে আছি--- খুব বেশী টেনশনে!!!। কি করি?? আল্লাহ একটা উপায় বের করে দাও। রির্পোট কার্ডে সাইন করাতে হবে। তিনটা বিষয়ে ভয়াভহ রকমের ডাব্বা মেরেছি।

টিভিতে "যদি কিছু মনে না করেন হচ্ছে"। আজ আমার বাবাও কিছু মনে করবেন না। এক বুক সাহস নিয়ে বললাম, বাবা সাইন করতে হবে। বাবা তাকালো, আমার দিকে। ধির/স্থির ভাবে জিজ্ঞাসা করলো, কোথায়?? রির্পোট কার্ড দিছে, বাবা। কই দেখি?? বাবার কই দেখি কথাটিতেই, পরিবেশ পালটে গেলো!! মা উঠে অন্য ঘরে চলে গেলো!! বাবু আর রনি নিমিষেই হাওয়া!! এখন শুধু আমি এবং বাবা আর টিভিতে যদি কিছু মনে না করেন!!।

বাবার হাতে রির্পোট কার্ড, চেয়ারে বসে/বসে দেখছে, আমি সামনে দাঁড়ানো। বাবার চেহারা দেখি আস্তে/আস্তে পরির্বতন হচ্ছে। হটাত, একটা "সাইড কিক" বসা অবস্থায় বাবা আমাকে মেরে বসলো!! অসাধারন ছিলো সেই সাইড কিক-টি!! আমি টিভির সামনে গিয়ে পড়লাম!! বাবা এবার উঠে দাড়ালো। বুঝলাম, আজ অল্পতে ছাড় দিবেনা!!। পর্দার রড হাতে নিয়ে এবার বেশ কিছু দিলো। আমি মা/মা করে কাদছি, কিন্তু আমি নিশিত, মা আমার একসাথে তিনটা পান মুখে দিয়ে, অন্য ঘরে বসে চিবাচ্ছে!!। আর যদি কিছু মনে না করেন অনুষ্ঠানে, হানিফ সংকেত খুশিতে, সুন্দরিদের নিয়ে "রিমেক্স" গানের তালে/তালে নাচতেছেন!!।

গ্রামের বাড়িতে খাওয়া/দাওয়ার পর, বাবার সাথে এখন অনেক গল্প হয়। বিশেষ করে রাত্রে খাওয়া/দাওয়ার পর। বাবা নিজে একটা পান বানিয়ে খায়, সাথে আমাকেও একটি দেয়। পরম মমতায় বলে, নে একটা পান খা। যদিও পান খাওয়ার অভ্যাস আমার নাই, তবে বাবার হাতের পান আমি খাই।

বাড়ি থেকে যখন চলে আসি--, আমি জানি, বাবা আমার চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে আছে। পিছনে কখনো-ই তাকাই না!!! রাত্রে ঘুমানোর সময়, মোবাইল-টি কানের কাছে রেখে ঘুমাই। গভীর রাতে কোনো ফোন আসলে বুকটা কেপে উঠে। বয়স হয়ে গেছে বাবার। কোনো কিছু চিন্তা করতে পারিনা। দু'চোখ জলে ভরে যায়।

" হলুদ রং "


আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি হলুদ রং নিয়ে। কেউ হুমায়ুন আহমেদ গল্পের হিমু, কেউ বা হলদে পাখি, আবার কেউবা হলুদ পরী। যে যাই হোক না কেন সবাইকে হলুদ রং এ কিন্তু দারুন মানিয়েছে। যাদের ছবি পেয়েছি তাদের গুলোই দিলাম। সবার ছবি সংগ্রহ করতে পারিনি কারন এই রং এর জামা আমাদের স্টীলার ভাই বোনরা খুব কম পড়ে মনে হলো। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।


আমাদের ব্যাচ (২০০০) সাল


আমাদের ব্যাচ (২০০০) সাল। সকুলে ভবনের সামনে মাগরিবের নামাজের পর তোলা ছবিটা।তখন সবাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম।সেইবার এনোয়েল ফ্যানশনে আমরা ভলেনটিয়ার ছিলাম।অনেক কাজ করাইচে পিটি স্যার আমাদের কে দিয়ে।আমরাও অনেক মজা করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছি।অনেক মজা অনেক আনন্দ কত সৃতি যে লুকিয়ে আছে ওই কলোনিতে আমার প্রিয় স্কুলটাতে।মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে।নাজিম উদদিন স্যার খুব আদর করতেন।আর এখানে আমার সব বানধবিদের খুব মিস করি।যে যেখানে থাকিস ভাল থাকিস।।।

আল্লামা লিটন!!!!!


তখন খুব সম্ভবত আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি।।বাবার খুব ইচ্ছে ছিল আমাকে মাওলানা টাইপের কিছু বানাবে।।কারন বাবা ৯১ঘূর্ণিঝরের পর অনেকটাই আধ্যাত্মিক মাইন্ডের হয়ে গিয়েছিলেন।।যেটা এখনও বাবার মাঝে বিরাজমান।।তো যা বলছিলাম মায়ের সাথে আলোচনা করে বললো ওকে মাদ্রাসায় দিয়ে দেই কি বলো??মা বললো এখন কি আর এসব হবে,প্রথম থেকে যদি দিতে তাহলে না হয় আশা করা যেত,কিন্তু এখন???মা বাবাকে বললো দেখ চিন্তা করে পরে না হিতে বিপরীত হয়।।যেই কথা সেই কাজ,হাজার অনিচ্ছা সত্তেও বাবা বছরের মাঝামাঝি আমাকে স্কুল থেকে নামিয়ে ফেলেন এবং স্কুলের পাশের মাদ্রাসায় আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন।।শুরু হলো আমার জেলখানার জীবন।।ভোর চারটায় আমার ঘুম থেকে ওঠা,,তারপর নামায,,পরে কোরআন তেলওয়াত,,তারপর নয়টায় মাদ্রাসা,,দুপুরে নামায তারপর খাওয়া এবং পরে আবারও পড়া,,বিকেলে নামায পরে আলোচনা,,তারপর নামায,,এরপর পড়া,,তারপর নামায শেষে খাওয়া এবং ঘুম।।তারপর আবার গতানুগতিক।।মনে হচ্ছিল আমার সমস্ত স্বাদ আল্লাদ শেষ।।কোথায় স্কুল জীবনের মজা আর কোথায় বন্দী জীবন।।খুব খারাপ লাগতো আমার যখন দেখতাম আমার বন্ধুরা সবাই বিকেলে ফুটবল খেলছে আর আমি আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত।।মাকে বললাম মা আমি আর যাবো না,আমার ভালো লাগেনা।।আমাকে আবার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।।মা বললো ঠিক আছে তোর বাবার সাথে কথা বলবো।।কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হলো বাবা সিদ্ধান্ত নিল আমাকে মাদ্রাসার হোস্টেলে দিয়ে দিবে।।কথা শুনে আমি বাসার বাহিরে চলে গেলাম এবং সেই রাতে আমি আর বাসায় ফিরলাম না।।পরের দিন বাবা আমাকে খুজে নিয়ে বাসায় ফিরলো এবং মজার মজার অনেক খাবার নিয়ে এসে আমাকে খাওয়ালো এবং বোঝালো।।কিন্তু কে শোনে কার কথা,আমার একই জবাব "না"।।শেষ মেষ বাবা রেগে আমাকে দিল মাইর।।দৌড়ে এসে মা আমাকে বাচালো এবং বাবাকে উল্টো ঝারতে লাগলো,বললো তুমি ওর বয়সে কেমন ছিলে সেটা একবার ভেবে দেখ।।বাবা পরে ভেবে দেখলো না আমার ""এই লাউ কোন দিন কদু হবে না""শেষে আমাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনলো মানে মাদ্রাসা থেকে নামিয়ে ফেললেন এবং পরে আবারও মুক্ত জীবনে ছেড়ে দিলেন মানে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন।।

সরি বাবা ""লাউ থেকে কদু হতে পারিনি বলে""

রিপন-মানিকভাইয়েরা বাটফারি কইতে কইতে অব্যাস খরাপ হই গেছে


রিপন-মানিকভাইয়েরা বাটফারি কইতে কইতে অব্যাস খরাপ হই গেছে। আই জামাইয়ের লগে সুখে ঘর করইতেছি,আর মানিক ভাই মিছা প্রছার ছালাইছে,আই নাকি এরেস্ট হইছি!ডাহা মিছা কতা!এত ফিডা খাই হেতেরা ঠিক হইলো না!তাজ্জব ব্যাপার!বড় চিন্তা বিষয়!আবার কি গুজুব উডাই দেয়!

অনেক আদেশ, অনুরোধ অগ্রাহ্য করা যায়, আবার অনেক কিছুই অগ্রাহ্য করা যায়না


অনেক আদেশ, অনুরোধ অগ্রাহ্য করা যায়, আবার অনেক কিছুই অগ্রাহ্য করা যায়না। নাহ! লিখতে হবেই, হেভিওয়েট দের জন্য না হলেও, কিছু তৃণমূল দের জন্য, যারা আমার মত "সেন্টারিং বাঁশ" কে সবসময় সামনেই রাখে। আর আমি না হয় আরো কিছুদিন এই সেন্টারিং এর বাঁশ হয়েই থাকি।

Special thanks to Mdnurul Kabir Niru vai Mohammed Kamar Uddin vai তৃনমূল আর অপরিচিত নাম্বারটিকে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss