Thursday, July 28, 2016

আজ আবরার ভাইয়ের সাথে বসে অনেকক্ষণ ধরে কথা হহল,পাপ্পুর এক্সিডেন নিয়ে


আজ আবরার ভাইয়ের সাথে বসে অনেকক্ষণ ধরে কথা হহল,পাপ্পুর এক্সিডেন নিয়ে।

পাপ্পু এক্সিডেন করে ২০০৯ সালে।তারপর দেশের চিকিৎসা তে সেরকম উন্নতি না হওয়ায় পাপ্পুকে নিয়ে যাওয়া হয়।ইন্ডিয়াতে,সেখানে সিএমসি তে নয় মাস পাপ্পুকে চিকিৎসা করে কিছু সুস্থ করা হয়।

সেই নয়টা মাস খালাম্মা ও সুরাইয়া যে কি পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে তা শুনে আমি সত্যি আবেগিত।মা- বোনরা মনে হয় এরকম হয়।সুরাইয়া পাপ্পুর ছোট বোন, সেই নয় মাসে নাকি প্রতিদিন তিন ঘন্টার বেশী ঘুমাতে পারেনি।ভাইয়ের বেডের পাশে চেয়ারে বসে বিছানাতে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকত।সত্যি ছোট বোন তোমায় সালাম।তোমার মত বোন আমাদের সিএসএমের গর্ব।

খালাম্মা কথা কি বলবো,মারা তো এমনই হয়,হাসপাতাল থেকে যে হোটেলে খালাম্মারা উঠেছিল তার দুরত্ব, আমাদের স্টিল কলোনী থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পযন্ত হবে।খালাম্মা প্রতিদিন ভোরে উঠে নামাজ পরে,নাস্তা তৈরি করে সকাল ছয়টায় হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যেত।কারন সেখানে নাকি রিক্সা নেই,টেক্সি ভাড়া প্রতিদিন দেওয়া সম্ভব ছিল না।আবার রোদে - বৃষ্টি তে হেটে এসে দুপুরের খানা পাকিয়ে আবার টিফিন ক্যারিয়ার করে নিয়ে যাওয়া।আল্লাহ খালাম্মাকে অনেক ধ্যৈর্য্য দিয়েছে,যা আমরা পাপ্পুকে দেখতে গিয়ে দেখেছি।পাপ্পুর পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে,সেটা বড় কথা নয়,ভাইটি এখন মোটামুটি বেঁচে আছে।তবে যেমনে আছে সেভাবে তার পরিবার খরচ চালিয়ে নিতে পারবে,তবে যদি বড় কোন চিকিৎসা করতে হয়, তার জন্য যে পরিমান খরচ লাগবে তা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা কষ্ট কর।তাই আমাদের সিএসএমের সকলের নিকট আবেদন যেন ভাইটির চিকিৎসার জন্য আমরা আমাদের সাধ্যমত সহয়াতার হাত বাড়িয়ে দি।কারন আমরা আমরাইতো।

কাকার কিছু কথা আছে,তা পরে আরেকদিন বলবো।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss