Thursday, December 31, 2015

HAPPY NEW YEAR


এই বছরের সর্বশেষ দিনটির বিদায় আর আগামীকাল আসা নতুন একটি বছরে পা রাখার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি CSM এর সবাইকে।।

HAPPY NEW YEAR.
ভালই কাটুক নতুন বছরের ৩৬৬ দিনের (লিপ ইয়ার) প্রতিটি সেকেন্ড আর প্রতিটি মুহুর্ত। নতুন নতুন আশা, ইচ্ছা আর কামনা নিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেও নতুন বছরটা হয়তো কারো জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে আবার কারো জন্য হয় তিক্ততায় ভরা। আশীর্বাদ আর তিক্ততা যাই হোক একটা দিন অতিরিক্ত আমরা এবছরে পাচ্ছিই।

আহা সেই দিনগুলা.......


আমরা যখন C-11-C তে সাইদ, চুমকি,রুমকি রা তখন C-11-D তে। সাইদ আমাদের সিনিয়র। আমার সাথে ছিল অন্য রকম সম্পর্ক।

ওরা D টাইপে থাকতে ( আমরা তখন C-2-B) ওদের বাসায় টিভি দেখতে যাইতাম। সাইদ গোসল করার সময় আমাকে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে হত, না হলে ও গোসল করবে না বলে গো ধরত। চাচা আমাকে কোলে করে নিয়ে বাথরুমের সামনে বসিয়ে দিতেন।

C-11-C আসার পর একসাথে কত গোসল করছি। একবার বাথরুমে দুই জনে সিগারেট খাইতে গিয়ে বাবুল ভাইয়ের কাছে হাতে নাতে ধরা।

জসিম ভাইয়ার জন্মদিন


আমাদের সবার প্রিয় জসিম ভাইয়ার আজ জন্মদিন । জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিনের শুরু তেই আমাদের ভাবি ( আপু বললেও ভুল হবে না ) জসিম ভাই ( দুলা ভাই ডাকতে পারবো না , মাইরা ফালাইবো) কে নিয়ে কবিতা লিখলোঃ
আজো তুমি সুর্য্য হয়ে দূর করে দাও অন্ধকার
আজো তুমি আছো বলেই
কবিতা গল্পে আমি আমাকে খুজে পাই
আজো তুমি আমাকে সি এন জি করে ঘুরে বেড়াও
এখনো বুঝতে পারি তুমি কি ছিলে আমার ?
এভাবেই চলুক
কখনো পায়ে হেটে কখনোবা রিক্সায় কিংবা মার্সিডিজে
যেভাবেই কাটুক আমাদের সময়
তুমি পাশে থাকলেই আমি সুখি
একদিন ইতিহাস হবে আমাদের ভালোবাসা
তুমি জন্মেছিলে বলে পুর্নতা পেয়েছে আমার জীবন

হ্যালো CSM


হ্যালো CSMপ্রথম প্রথম এই ভাবে লিখাটা সুরু করতে ভালো লাগতো। হ্যালো CSM হ্যাপী নিউ ইয়ার। ২০১৫ সালটা আমাদের জন্য ছিলো লাকি বছর। আমরা csm এর একটি বিশাল অংশ, এখন একটি জায়গায় অবস্থান করছি। কারো খুশীতে যেমন আমরা আনন্দিত হয়, ঠিক তেমনি কারো সমস্যায়,আমারা পাশে দারানোর চেষ্টা করি। এটা একটা বিশাল ব্যাপার।

এই শক্তিটাকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। এবং সেটা করতে হবে, সবাইকে সবার প্রতি সন্মান ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে। সবার মতামতকে মুল্যদিয়ে, ভালো ব্যাপার গুলিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

কিছু আক্ষেপের কথা



আমি মোটামুটি স্বাধীনচেতা মানুষ। মন রক্ষা করে কথা বলার অভ্যাস আমার কখনোই ছিলোনা। এখন যা বলবো তা কারো ভালো লাগবেনা বলেই আমার বিশ্বাস। উপায় নেই, ভালো না লাগলেও শুনতে হবে, পড়তে হবে। কিছুই বলবো না ভেবেছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বলা উচিত।

এই পেজের মোটামুটি শুরু থেকে এবং ২৯ তারিখের "রিইউনিউনের" উদ্যেগের শুরু থেকে সক্রিয় সদস্য হিসেবে আমি প্রতিটা ইভেন্টে উপস্থিত ছিলাম। সব মিলিয়ে ২৯ তারিখের ইভেন্টের ব্যাপারে আমার কিছু পর্যবেক্ষন আছে।

রিইউনিউন কোন প্রাত্যাহিক সাক্ষাৎ নয়। CSM এর রিইউনিউনে কিছু মানুষের পারস্পরিক সাক্ষাৎ ঘটবে ১৫/২০ বছর পর। আবার এটি কোন বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানও নয়। এধরনের অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা আর গাম্ভির্য থাকতে হয়। আমি শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি এ উপলক্ষ্যে একটি মান্সম্পন্ন স্মরনিকা প্রকাশের। আরো ইচ্ছা ছিলো উপস্থিত সবার হাতে একটি করে স্মারক বস্তু (souvenir) প্রদান করা। শুরুতে বড় ভাইরা এতে উৎসাহ দেখালেও পরবর্তিতে পিছিয়ে যান। পিছিয়ে যাবার কারন হিসেবে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখালেও আমার বদ্ধমুল বিশ্বাস কারণটি অর্থনৈতিক নয়। কেননা স্মরনিকার বিজ্ঞাপন থেকেই স্মরনিকা প্রকাশের খরচ উঠে যেতো। বরং বাড়তি কিছু অর্থ মুল ফান্ডেও যেতে পারতো। এমনকি মুল ফান্ড থেকে খরচ করে হলেও স্মরনিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি কমিয়ে হলেও। মনে রাখা উচিত এ ধরনের অনুষ্ঠান স্মৃতিকাতরতা থেকেই হয় তাই স্মৃতিস্মারক হিসেবে কিছু দিয়ে দিতে হয় অংশগ্রহণকারীদের। (আমি মনে করি এখানে টাকার সমস্যার চেয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে সাহসের অভাবই বেশি কাজ করেছে)