ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন, এক বর্ষাকালের
ঠিক সন্ধ্যার আগে আগে অফিসার্স ক্লাব থেকে আমি ,দুলি, রাশেদ সহ আরো
কয়েকজন বের হচ্ছিলাম, ক্লাবের গেটের বাইরে
আসতেই চোখ পড়ল আনোয়ার ভাইদের (ডি 1) কাঁঠাল গাছের দিকে, যেটার অবস্থান
উনাদের বিল্ডিংএর পিছনে আর রাস্তার ঠিক পাশে। দেখি তিন চারটি কাঁঠাল আমাদের দিকে
তাকিয়ে আছে আর মনে হচ্ছে যেনো বলছে আমাদের গাছ থেকে পেড়ে নাও।
দুলি আর আমি পরস্পর
একে অপরের দিকে তাকালাম, যা বোঝার দুজনেই
বুঝে নিলাম। কিন্তু তখন ও হালকা আলো ছিলো আর রাস্তা দিয়ে মুসুল্লিরা মাগরিবের
নামাজ পড়তে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলো।আর বৃষ্টির জন্য গাছ ও পিছলা হয়ে আছে, সে জন্য কোন ঝুঁকি নিলাম না।কি করা যায় চিন্তা করছি।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম, দেখি রাস্তায়
লোকজন কমছেনা। দুলি আর সহ্য করতে পারলোনা একটা পাথর নিয়ে সোজা গাছের কাঁঠাল বরাবর
মারলো এবং দুটো কাঁঠাল নীচে পড়ল। পাথর ছুড়ে আম, বরই পেরেছি কিন্তু কাঁঠাল পারা !!!
আমরা দুলির প্রতিভায়
মুগ্ধ, পাথর মেরে কাঁঠাল এই
প্রথম পারতে দেখলাম। আমি গিয়ে কাঁঠাল দুটো নিয়ে আসার সময় আনোয়ার ভাইদের বাসা থেকে
চোর চোর বলে চিৎকার আর আমিও কাঁঠাল দুটো নিয়ে ভো দৌড়।
পরে ক্লাবে গিয়ে এক কোনায় বসে চার পাঁচজন মিলে খেলাম। খু্বই মিষ্টি ছিলো
কাঁঠাল টি। অথচ কাঁঠাল আমার কোন কালেই পছন্দ ছিলোনা। আর এখন তো খেতেই পারিনা
কাঁঠাল।
No comments:
Post a Comment