জন্মের পর থেকে স্টীল মিল কলোনীর আলো বাতাসে বড় হয়েছি। সব সময় ছোট বড় সকলের স্নেহ ভালবাসা পেয়েছি। কলোনীতে কতইনা দুস্টমি করেছি ডাব চুরি পেপে চুরি আম চুরি এমন কি জেরিন আপার পরিক্ষার খাতা চুরি এই চুরি করতে গিয়ে কত বিপদেই না পরেছি।
যতই দুস্টমি করি না কেন কখনো কারো সাথে বেয়াদবি করিনি। আমাদের দুশটমির জন্য মুরব্বিরা আমাদের কতইনা বকা দিয়েছেন পরক্ষনে আবার ডেকে ছাত্তার স্টোরে খাইয়েছেন। এটাকে কি বলবেন শাষন না ভালবাসা। রাস্তায় চলাফেরার সময় কখনো মুরব্বি এমন কি বড় ভাইদের সামনে সামনে কখনো হাটিনি।বড় ভাইয়েরাও ঠিক তেমনি আমাদেরকে দেখলে উনারা নিজ থেকে সরে যেতেন।
আমরা কলোনি থেকে বের হয়ে টি এস পি কলোনির পাশে বাড়ি করে এখানেই আছি, আজ ১৭ বছর এখনো আমি পাশের বাড়ির মানুষকে চিনিনা। প্রথম প্রথম এখানকার ছেলেদের সাথে মিশতে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি ওদের সাথে কোনো ভাবে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারিনা। ওদেরকে খারাপ বলার কোনো অবকাস নেই কিন্তু পারিনা কোথায় যেন একটা কিসের অভাব অনুভব করি।
আজ সি এস এম পেইজের মাধ্যমে সবাইকে পেয়েছি মনে হচ্ছে আমি কলোনিটা পেয়েছি।আবার সেই ছোট বড় ভাই বোন মুরব্বিরা সবাইকে পেয়েছি।এই ১৭ বছরের যে শুন্যতা ছিল মহান রাব্বুল আলামিন সেই শুন্যতা পুরন করেছেন।
পেইজে ডুকলে মনে হয় কলোনিতে আছি।ঔযে জসিম ভাই নাজমুল ভাই শাহিন ভাই ওয়ার্কাস ক্লাবের পাসের গাছতলে বসে আড্ডা দিচ্ছে। রবিন রাসেল হিমেল ফুটবল খেলার জন্য সবাইকে ডাকছে, হারুন হুজুর নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে যাচ্ছে, আতিক কাকু হোন্ডা চালিয়ে এসে বলছে এরে তোরা ইয়্যানে কিয়ারছ। স্কুলে পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রাইভেট পড়ার জন্য কেও এফ টাইফ কেও ই টাইফ ডি টাইফ সি টাইফের দিকে যাচ্ছে। হঠাত করে কোত্থেকে নিরু ভাই এসে বলল এই সাজু লিটন সন্ধা হইছে বাসায় যা। সবার সাথে সবার কথা হচ্ছে দেখা হচ্ছে। যারা এই কলোনিতে ছিলনা তারা কখনো বুঝবেনা আমরা কোথায় ছিলাম। হাজার বছর সাধনা করেও তারা এই ভালবাসার কলোনি পাবেনা।
আজ ১৭ বছর পরে এসে আমার প্রানের আমার ভালবাসার কলোনি পেয়েছি। আমি তাকে হারাতে পারবোনা।
আজ আব্বাকে খুব বেশি মনে পড়ছে যার কারণে আমি স্টীলার হতে পেরেছি। আমার কাছে এটা খুবই গর্বের।
No comments:
Post a Comment