অনেক বছর আগের কথা। মোটু খেতে বসে বললো, ভাইয়া, তিন কন্যার আগমন ঘটেছে! জামিলদের বিল্ডিং -এ। পরে রনির কাছে, নাম জানলাম, বন্যা/উর্মী/সর্মী। সর্মী তখন ম্যালা ছোট। উর্মীও মনে হয় স্কুলের নিচের ক্লাসে পড়ে। তবে, বন্যা তখন স্কুল শেষ বা কলেজে যায়। colony তে বন্যার সাথে কোনো কথা হয়নি। যদিও তার যাতায়াত ছিলো, রনি, মিতু আর সর্নার সাথে। মোটু আর রফিকের সাথে, দাও মাছ সম্পর্ক ছিলো, বন্যার। এর জন্য চাচা(বন্যার বাবা, আল্লাহ চাচাকে বেহেস্ত নসিব করুন) মোটুকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে, বিচার করেছে এবং সাথে ভালো/মন্দও খাইয়েছে। বন্যাকে এর বেশি আমি জানতাম না।
আবারো বহু বছর পর, কোনো একদিন, কি কাজে যেনো, আমি বেইলী রোডে, ভিকারুননেছা স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বন্যা কে দেখলাম। সাথে হয়তো ওমাম ছিলো। রনি কে জিজ্ঞাসা করলাম, colony তে, গোব্দা/গাব্দা একটা মেয়ে ছিলো, বাবু আর রফিকের সাথে ঝগড়া হতো, কি যেন নাম!? ভাইয়া, তুমি বন্যার কথা বলছো, বন্যা তো এখন ম্যালা টাকা কামায়! পোলাপান পড়াই, আর দুই হাতে টাকা কামায়! ভাইয়া, সর্না বলে, বন্যার টাকা গুনার জন্য, একজন assistant রাখতে হবে। আবার নতুন করে বন্যা কে চিনলাম। আমার খালাতো বোন, ভিকারুননেছা স্কুলে পড়তো। তারপর একদিন বন্যাকে দেখলাম, আমার ছোট খালার বাসায়। আমাকে একখান লম্বা ছালাম দিয়ে, কথা শুরু করে দিলো!! এই প্রথম! আমার সাথে বন্যার আগে কখনো কথা হয়নি।
কিন্তু এখন হয়। মাস্টোরনির অভিযোগের কোনো শেষ নাই। যত রাগ আমার উপড়। খালি পারেনা, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ৫ তালা থেকে ফেলে দিতে!
তবে এই ভদ্র মহিলার মনটা অনেক বড়। মানুষ কে আপন করে নিতে পারে সহজেই। নিজেকে গুটিয়ে রাখেনা। সহজেই মেলে ধরতে পারে নিজেকে এবং নিজের অস্তিত্ব ভালোভাবেই জানান দিতে পারে,ঠিক এই যায়গাটিতেই তার জন্য সমস্যা হয়ে পড়ে! অনেকেই ভুল বুঝে তাকে! কিন্তু যেটা হওয়া উচিত নয়। এই ভদ্র মহিলাকে ভুল বুঝার কিছুই নাই। বন্যা মানুষ কে ভালোবাসতে জানে। অনেক বেশি ভালোবাসতে জানে। বিশেষ করে, পেজের ভাইদের প্রতি সে খুবই দুর্বল ( নিজের ভাই নেই, হয়তো সে জন্যই)। আমি বিশ্বাস থেকেই বলছি, কোনো ভাই বোনের বিন্দু মাত্র রাগ যদি বন্যার প্রতি থাকে, শুধু হাতটি বাড়িয়ে দিয়ে, বুবু বলে ডাকো, বুঝবে পারবে, বুবুর ভালোবাসা কত আন্তরিক।
( নাজমুল তেলের পরিমানটা, বেশী হয়ে গেলো নাতো!!!)।
No comments:
Post a Comment