গত কয়েক দিন ধরে ভাবছি লিখব, কিন্তু কি লিখব? লিখার জন্য স্থির হতে হয়। তাতো হতে পারছিনা, গাড়িতে বসে লিখা যায়, কিন্তু ঝাঁকুনি তে ভাবনাগুলো ঝাকাঝাকি করে।তবুও লিখা, ফাল্গুন, ভালবাসা দিবস এগুলো ঈ ত লিখার মৌসুম।
ঘটনা টা নব্বই দশকের।তখন আমরা ডি টাইপে থাকি।সবে ভার্সিটি তে এডমিশন নিয়েছি কিন্তু ক্লাস শুরু হয়নি।গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছি।সন্ধ্যাবেলায় বাসায় ফিরছি।দেখি আমাদের পাশের বাসার তুশি নিচতলার লিমার সাথে কথা বলছে কোন রচনা পড়বে তা নিয়ে।কালকে ওর ইংরেজি ২ য় পরীক্ষা। ওর টেনশন দেখে আমি বলে বসলাম A journey by bus রচনা দেখে যেতে পারিস, আসতে পারে।এটা বলেই আমি বাসায় ঢুকে গেলাম।
পরদিন বিকালবেলা বাসায় ফিরে দেখি তুশি বাংলা বই নিয়ে বসে আছে।প্রশ্ন দাগিয়ে দেবার জন্য।আমি ত অবাক।যুক্তি দিল আমার বলা রচনা পরীক্ষায় এসেছে,তাই প্রশ্ন ও আসবে।আমি বললাম আমার দাগানো প্রশ্ন পড়ে গেলে নির্ঘাত ফেল।কিন্তু তুশি র জেদের কাছে হার মানলাম।দাগিয়েই দিতে হল।
তুশি মেয়েটা দেখতে সুন্দরী কিন্তু পড়ালেখায় ফাঁকিবাজ। দুনিয়ার বেশিরভাগ সুন্দরী মেয়েদের ধারনা ধনবান আর মেধাবী ছেলেগুলোকে তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।তাই মেয়েগুলো তাদের পড়াশোনা র সময়টা সাজসজ্জা র কাজে ব্যয় করে।ফলে পড়াশোনায় ফেল।এ মেয়েগুলো র বিয়েও হয়ে যায় তাড়াতাড়ি।
এরপর আমার কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন দাগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেন তুশির রুটিনের মত হয়ে যায়।আমি উপরে উপরে খুব বিরক্তি দেখাই কিন্তু মনে মনে ওর এই আসাটা আমার ভালই লাগে।একসময় ওর পরীক্ষা শেষ হয়।আমি ভাবি ও বুঝি আর আসবেনা।কিন্তু আমার ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে ও নানা অজুহাতে আমাদের বাসায় আসতে থাকে।কখনো এক কাপ চিনি নিতে, কখনো ওর মায়ের রান্না করা নানা রেসিপি নিয়ে।
১লা ফাল্গুন। আমার হালকা জ্বর। বাসা থেকে বের হইনি।বারান্দায় বসে আছি মা' র সাথে।তুশি ওর বান্ধবী র সাথে স্যারের বাসা থেকে ফিরছে। মা ওকে দেখে ডাক দিলেন।হাতে কিছু নতুন প্যাকেট। মা বললেন, " তোর মা তোর মামাকে দেখতে ক্লিনিকে গিয়েছে।চাবি আমার কাছে।তাই ডাকলাম"। মা ভেতরে যেতেই তুশি আমার হাতে কার্ডের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলল, "রিফাত ভাই, এখানে কিছু কার্ড আছে। তুমি সুন্দর করে কিছু কথা লিখে দিও।আমার একজন কাছের মানুষকে দিতে হবে।প্লিজ! "
তুশির এরকম আচরণ এ আমি বিরক্ত হই কিন্তু অসুস্থতার জন্য চুপ করে থাকি।
রাত বাড়তে থাকে।আমার ঘুম আসেনা।একসময় টেবিলে রাখা তুশির কার্ড গুলোর দিকে হাত বাড়াই।বাহ! কার্ড গুলো ত দারুন। লিখার জন্য যেই না খুলি দেখি সেখানে লিখা," আমার জীবনে যতগুলো সত্যি আছে তার মধ্যে একটি হল তুমি।জানি না কখন থেকে আমি তোমাকে ভালবাসতে শুরু করেছি, তবে এটা জানি আমি তোমাকে ভালবেসেছি অল্প অল্প করে দিনের পর দিন"
কথাগুলো পড়ার পর আমার তুশিকে নিয়ে হ্যালুসিনেশন হয়।যেদিকে তাকাই ওকে দেখি। বাতি নিভিয়ে দেই।কিন্তু ঘুম আসেনা।তুশির কথাগুলো মাথায় ঘুরতে থাকে।
পরদিন সকাল সকাল আমার ঘুম ভেংগে যায়।আমি বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়।দেখি তুশি আর লিমা বনি আলম স্যারের কাছে পড়তে যাচ্ছে। আমার খুব ইচ্ছা করে ওকে ডাকি কিন্তু এক আশ্চর্য এক শক্তি আমার কন্ঠ টাকে থামিয়ে দেয়।
না, ডাক দেয়া উচিত হবেনা। এখন এ ধরনের ছেলেমানুষি করা উচিত হবেনা।সামনে ওর পরীক্ষা। এখন এসব বিষয় ওর মাথায় ঢুকিয়ে দিলে রেজাল্ট খারাপ হতে পারে।তাই নিজেকে সামলে নেয়া বুদ্ধিমান এর কাজ হবে।এমন সময় মা এলেন।জিজ্ঞেস করলেন এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে কেন উঠেছি।আমি কিছু বললাম না।ভেতরে চলে গেলাম।
বিকেল বেলা সিড়ি দিয়ে নামছি। দেখি তুশি স্যারের বাসা থেকে আসছে।আমি কার্ড এর ব্যাপার টা তুলে বললাম," এগুলো তোর কাজ।ইদানীং খুব যে হিন্দি সিনেমা দেখা হচ্ছে তা বেশ বুঝতে পারছি।আয়, তোর মাকে জানাই" এই বলে ওর হাত ধরে হেচকা টান দিলাম।দেখলাম ওর চোখ দুটো পানিতে টলমল করছে।মায়া হল। হাত ছেড়ে দিয়ে বললাম,"যা, আজকের মত মাফ করে দিলাম"।নিজেকে কিছুটা হালকা মনে হল।রাতে টেবিলে বসলাম। তুশির মুখটা সামনে আসতে লাগল।উঠে বাবার পাশে বসে ম্যাকগাইভার দেখতে লাগলাম।
এরপর তুশি আর আমি একে অপরকে এড়িয়ে যেতে থাকলাম।একে অন্যের সামনে যাই না।তুশির সাথে এমন ব্যবহার করাতে অপরাধ বোধ হতে লাগল। ভাবলাম সরি বলব।কিন্তু কিভাবে? তখন মোবাইল, ফেসবুক এগুলো ছিল না।চিঠি লিখে দিব।কিন্তু ওর মায়ের হাতে যদি পড়ে।তাছাড়া ব্যাপার টা সিনেমা টাইপ হয়ে যাবে।দুপুরে ছাদে লুকিয়ে সিগারেট খাচ্ছি। দেখি তুশি আচার শুকাতে দিতে আসছে। আমি সিগারেট লুকিয়ে ফেলি। একটু পর ও চলে গেলে আমি "সরি " লিখে পাঁচটা চিরকুট পাঁচটি আচারের বয়ামের নিচে রেখে আসি।যদিও সুন্দরী মেয়েদের অভিমান একটু বেশিই হয়,তারপরেও চেষ্টা করে দেখা।
এর কিছুদিন পর আবার সিড়িতে দেখা
আমি পথ আগলে দাঁড়ালাম। "পথ ছাড়ুন, রিফাত ভাই। প্যাকেজ নাটক করবেন না। বাসায় যাব"। আমি বললাম, " বাসায় যাবি ঠিক আছে।কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যা, তুই কি এখনো আমার উপর রেগে আছিস। তুই যে পাগলামো গুলো করছিস সেগুলো কারো চোখে পড়ছেনা।সামনে তোর পরীক্ষা। এখন এসব বিষয়এ মাথা দিলে তোর রেজাল্ট খারাপ হবে।তখন আমি সবার কাছে ছোট হয়ে যাব।তুই আমাকে কথা দে,আমাকে কারো কাছে ছোট হতে দিবি না, মন দিয়ে পড়াশোনা করবি। দ্যাখ, ভালবাসার নিজস্ব কিছু চাহিদা আছে, ভালবাসা ছোট হতে জানেনা, সামনে পথ চলতে শেখায়।আর আমি ত সবসময় তোর পাশেই আছি। " আমার কথা শুনে তুশি কি বলবে বুঝতে পারেনা।একটু পর মৃদু অভিমানের সুরে বলে, " তাহলে তোমাকেও কথা দিতে হবে প্রতিদিন আমাদের আচারের বয়ামের নিচে এভাবে চিরকুট রেখে আসবে যাতে আমার মনে হয় তুমি সবসময় আমার পাশেই আছ।এই বলে তুশি দৌড় দিয়ে বাসায় চলে যায়।
কিছুদিন পর আমাদের বাসায় তুশিদের বাসা থেকে মিষ্টি আসে।প্রথমে আমি ভাবি চাচাকে তুশিকে কোথাও বিয়ে দিচ্ছেন না ত। পরে মা বলেন আমার দাগিয়ে দেয়া প্রশ্ন পড়ে গিয়ে ওর রেজাল্ট ভাল হয়েছে টেস্টে তাই।মনে মনে বলি, ঝড়ে বক মরে,ফকিরের কেরামতি বাড়ে।
না, ডাক দেয়া উচিত হবেনা। এখন এ ধরনের ছেলেমানুষি করা উচিত হবেনা।সামনে ওর পরীক্ষা। এখন এসব বিষয় ওর মাথায় ঢুকিয়ে দিলে রেজাল্ট খারাপ হতে পারে।তাই নিজেকে সামলে নেয়া বুদ্ধিমান এর কাজ হবে।এমন সময় মা এলেন।জিজ্ঞেস করলেন এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে কেন উঠেছি।আমি কিছু বললাম না।ভেতরে চলে গেলাম।
বিকেল বেলা সিড়ি দিয়ে নামছি। দেখি তুশি স্যারের বাসা থেকে আসছে।আমি কার্ড এর ব্যাপার টা তুলে বললাম," এগুলো তোর কাজ।ইদানীং খুব যে হিন্দি সিনেমা দেখা হচ্ছে তা বেশ বুঝতে পারছি।আয়, তোর মাকে জানাই" এই বলে ওর হাত ধরে হেচকা টান দিলাম।দেখলাম ওর চোখ দুটো পানিতে টলমল করছে।মায়া হল। হাত ছেড়ে দিয়ে বললাম,"যা, আজকের মত মাফ করে দিলাম"।নিজেকে কিছুটা হালকা মনে হল।রাতে টেবিলে বসলাম। তুশির মুখটা সামনে আসতে লাগল।উঠে বাবার পাশে বসে ম্যাকগাইভার দেখতে লাগলাম।
এরপর তুশি আর আমি একে অপরকে এড়িয়ে যেতে থাকলাম।একে অন্যের সামনে যাই না।তুশির সাথে এমন ব্যবহার করাতে অপরাধ বোধ হতে লাগল। ভাবলাম সরি বলব।কিন্তু কিভাবে? তখন মোবাইল, ফেসবুক এগুলো ছিল না।চিঠি লিখে দিব।কিন্তু ওর মায়ের হাতে যদি পড়ে।তাছাড়া ব্যাপার টা সিনেমা টাইপ হয়ে যাবে।দুপুরে ছাদে লুকিয়ে সিগারেট খাচ্ছি। দেখি তুশি আচার শুকাতে দিতে আসছে। আমি সিগারেট লুকিয়ে ফেলি। একটু পর ও চলে গেলে আমি "সরি " লিখে পাঁচটা চিরকুট পাঁচটি আচারের বয়ামের নিচে রেখে আসি।যদিও সুন্দরী মেয়েদের অভিমান একটু বেশিই হয়,তারপরেও চেষ্টা করে দেখা।
এর কিছুদিন পর আবার সিড়িতে দেখা
আমি পথ আগলে দাঁড়ালাম। "পথ ছাড়ুন, রিফাত ভাই। প্যাকেজ নাটক করবেন না। বাসায় যাব"। আমি বললাম, " বাসায় যাবি ঠিক আছে।কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যা, তুই কি এখনো আমার উপর রেগে আছিস। তুই যে পাগলামো গুলো করছিস সেগুলো কারো চোখে পড়ছেনা।সামনে তোর পরীক্ষা। এখন এসব বিষয়এ মাথা দিলে তোর রেজাল্ট খারাপ হবে।তখন আমি সবার কাছে ছোট হয়ে যাব।তুই আমাকে কথা দে,আমাকে কারো কাছে ছোট হতে দিবি না, মন দিয়ে পড়াশোনা করবি। দ্যাখ, ভালবাসার নিজস্ব কিছু চাহিদা আছে, ভালবাসা ছোট হতে জানেনা, সামনে পথ চলতে শেখায়।আর আমি ত সবসময় তোর পাশেই আছি। " আমার কথা শুনে তুশি কি বলবে বুঝতে পারেনা।একটু পর মৃদু অভিমানের সুরে বলে, " তাহলে তোমাকেও কথা দিতে হবে প্রতিদিন আমাদের আচারের বয়ামের নিচে এভাবে চিরকুট রেখে আসবে যাতে আমার মনে হয় তুমি সবসময় আমার পাশেই আছ।এই বলে তুশি দৌড় দিয়ে বাসায় চলে যায়।
কিছুদিন পর আমাদের বাসায় তুশিদের বাসা থেকে মিষ্টি আসে।প্রথমে আমি ভাবি চাচাকে তুশিকে কোথাও বিয়ে দিচ্ছেন না ত। পরে মা বলেন আমার দাগিয়ে দেয়া প্রশ্ন পড়ে গিয়ে ওর রেজাল্ট ভাল হয়েছে টেস্টে তাই।মনে মনে বলি, ঝড়ে বক মরে,ফকিরের কেরামতি বাড়ে।
No comments:
Post a Comment