বেচে থাকতে কার না ইচ্ছে করে। চরম হতাশায় নিমজ্জিত যে মানুষটি, তারও ইচ্ছে করে বেচে থাকতে। এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে কেউ যেতে যায়না। তবে সত্যটা হলো এই যেতে হবেই। মা'কে চলে যেতে দেখেছি খুব কাছ থেকে। বেচে থাকার বড় আকুতি নিয়ে, মা আমার হাতটি ধরে ছিলো, আমি কিছুই করতে পারিনি।ডাক্তারও পারেনি। আল্লাহ পাক যা ভালো মনে করেছেন, আল্লাহ পাক তাই করেছেন। মা দীর্ঘদীন অসুস্থ ছিলো। একজন অসুস্থ মানুষ তার আপনজনদের কাছে চায়। শারিরিক এত জালা যন্ত্রনার মাঝেও , আমি, রনি ও বাবুকে মা যখন একসাথে পেত , মা'র মুখে তখন শান্তির হাসি ফুটে উঠতো। কিন্তু এই দুনিয়াতে যার স্বামী,ছেলে, মেয়ে কেউই নায়? কার কাছে বলবে , তার সুঃখ\দুঃখ এর কথা? কাকে বলবে , আমি আজ বড় অসহায়? একজন অসুস্থ মা'এর চাওয়াটা যদি এমন হয়? আমাদের ছোটো বেলাতে, যিনি আমাদের বুকে টেনে নিয়েছিলেন, মায়ের পরম মমতায় আমাদের ভালোবেসেছিলেন।যত্ন করে গান শিখিয়েছিলেন। বড় কঠিন এই জগত টা! আজ প্রথম আমি আর মাকে নিয়ে কিছু বললাম। আমি আমার এই কষ্ট টা সাধারনত কারো সাথে শেয়ার করিনা। বড় ভয় হয়, যদি কেউ করুনা করে? মা'কে নিয়ে কোনো করুনা সহ্য করা যায়না।
একটি ক্ল্প কাহিনি আমার মনটা ভেংগে দিয়েছে। মানুষ কতটা নিচু হতে পারে, এবং কতটা রুচিহীন হলে এভাবে লিখতে পারে! পন করেছিলাম সরে যাবো, এই আনন্দ বাড়ি থেকে, হয়তো যাবো।
বড় ভাই(মোসাদ্দেক ভাই) আমি আছি আপনার সাথে। আপনার দেখানো পথের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। আমি যা বলি ,আমার বিশ্বাস থেকে বলি। মা'কে নিয়ে কোনো করুনা চলেনা। মা' এর গর্ভেই যে আমরা জন্ম নিয়েছি।
No comments:
Post a Comment