শিপনের আম্মা আমাকে অনেক পছন্দ করতেন। C-3 তে থাকতে ওদের বাসার পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সামনের দরজা দিয়ে বের হতাম। তিন জেনারেশনের তিন ভাইয়ের সাথেই আমার গলাগলি ছিল। আমরা হালিশহর আসার পরও চাচী সবাইকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসছিলেন। ডালিমের একটা কথা খুব মনে পরে। ডালিম বাথরুমের জানালার উপর যে সানশেড ছিল তাতে দাড়িয়ে " বাঁচকে রেহনা রে বাবা বাঁচকে রেহনা রে...." গানটা নাচতে নাচতে গাইত। আর আমি পাশের সানশেডের উপর নাচতাম।
একবার এই অবস্থায় টিংকু বা টিটু ভাই দোতলার জানালা দিয়ে ডালিমের মাথার উপর পানি ঢেলে দিছিলেন। ডালিম আর আমি নাচ,গান বন্ধ করে দিলাম লাফ। আর একটা ঘটনা মনে পরছে। স্কুলের স্টেজে বোম বাস্টিং খেলার সময় নাকি মাঠে ঠিক মনে নাই। লতিফ ('৯০) ডালিমের গলা চেপে ধরল আর ডালিমের নাক দিয়ে গরগর করে রক্ত পরা শুরু করল। তাড়াতাড়ি ধরে হামিদ স্যারের কাছে নিয়ে গেলে স্যার ডালিমকে বাসায় পাঠাই দিছিলেন। ঘটনা আর আগাইছিল কিনা মনে নাই।
শিপনদের জানালার পাশে একটা ছোট নারকেল গাছ ছিল। তখনও বড় নারকেল গাছে উঠার বয়স আমাদের হয়নি। মনিরুল, ভুতের ডিম বাবু, বুড়ামিয়া এদের কেউ একজন অথবা ডালিমও হতে পারে আমাকে ঐ গাছে ওঠার জন্য উদ্বুদ্ধ করল। যাক গাছে তো উঠলাম এবার লাল পিপড়া সামলাবে কে? কোন রকমে একটা ডাব পেড়ে নামলাম। এর মধ্যে চাচী জানালায় এসে দাড়ালেন। আমি ডাবটা সামনের দিকে রেখে চাচীর দিকে পেছন ফিরে সোজা হাটা যেন কিছুই হয়নি। আহা সেই দিনগুলি.....
No comments:
Post a Comment