গত কয়েকদিন অাগে অামি "একটি দুপুরবেলা ও অামার স্বাধীনতা" শিরোনামে একটি পোস্ট করেছিলাম। অনেকেই পোস্টটির ইতিবাচক দিকগুলো উপলব্দি না করে নেতিবাচক দিকগুলো নিয়েই নাচানাচি করেছে। অাজ পুরো একটি সপ্তাহ যেতে না যেতেই অাবার সেই "মুখে বন্ধু ভাবাপন্ন অথচ অন্তরে বিষময় ইন্ডিয়া" এবার বাংলাদেশের ক্রিড়াঙ্গন নিয়ে icc কে ব্যবহার করে হিংসার বুনোজাল বিস্তার করলো। "হিংসা" শব্দটি ব্যবহার করলাম, কারণ ইন্ডিয়া চায় না তার প্রতিবেশী বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে তাদের সমর্পযায়ের হোক বা এগিয়ে যাক। তাই icc কে ব্যবহার করে অামাদের দেশকে নিয়ে এই নীল নকশা। এটা হিংসার বর্হিঃ প্রকাশ নয় কি?
অারাফাত সানির ব্যপারটা না হয় কিছুটা ভিন্ন। তার বল করার ধরণ কিছুটা "সেমি চাকার" এর র্পযায়ে পড়ে। কিন্তু তাসকিন? ওর বল করার মধ্যে কোন প্রকার "চাকার"এর লক্ষণ পাওয়া যায় নি। শুধু বাউন্স ডেলিভারীতে গিয়ে তার হাত ৩০ ডিগ্রী এঙ্গেল হয়। তাও অাবার সংশোধনযোগ্য। এছাড়া বাকী সবদিক থেকে তার বল করার ধরনের কোন ক্রুটি খোজেঁ পাওয়া যায়নি। তারপরও কেন তাসকিন নিষিদ্ধ?
তাহলে কি ভারতীয় অধিনায়ক ধোনির কাটা মুন্ড হাতে তাসকিনের ছবির জন্যই ভারতের এই প্রতিহিংসা(যে ছবিটা ভারতের সুমিত নামের এক নাগরিকেরই পোস্ট করা)?
যা হোক, অামি ভারত কিংবা পাকিস্তান বুঝি না। ভারতপ্রেমী বা পাকিপ্রেমী বুঝি না। অামি বুঝি অামার দেশ। অামি বুঝি অামার মাতৃভুমি। অামি বুঝি অামার দেশকে বা দেশের নাগরিককে হেয়প্রতিপন্ন করা প্রতিটি দেশই অামার অাত্নার শত্রু। ধ্বিক্কার জানাই ভারতের এমন জঘন্য মনোভাবের জন্য। বাংলাদেশ জেগে উঠবে, দাত ভাঙ্গাঁ জবাব দেবে ব্যাট অার বল দিয়ে। অার অামরা জবাব দেব শত মাইল দূরে বসে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়ে।
১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতি পরাজিত হতে বিশ্বের বুকে নতুন মানচিত্র অংকণ করেনি। বাঙ্গালী জাতি দেহের শেষ রক্তবিন্দু উজাড় করে জয়ী হতে শিখেছে।
জয় হোক বাংলার ক্রিকেটের, জয় হোক বাংলার।
"অামার দেশ অামার অহংকার, অামার দেশের প্রতিটি নাগরিক এই দেশের শক্তি।"
No comments:
Post a Comment