Tuesday, April 5, 2016

চিরদিনের


কলোনি থেকে চলে আসার পর নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। নতুন সহপাঠী, নতুন পরিবেশ,নতুন শিক্ষক। সব কিছু মিলিয়ে নতুন আর মিশ্র অভিজ্ঞতা। পারব ত সবার সাথে মানিয়ে চলতে। নিজেকে নতুন করে প্রমানের একটা চাপ ছিল। পুরনো দের মিস করছি কিন্তু তা নিয়ে ভাবার সময় কই।

আস্তে আস্তে সবার সাথে মিশতে লাগলাম। সবাইকে জানার চেষ্টা করছি,বুঝার চেষ্টা করছি।কিন্তু কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে,তা বেশ বুঝতে পারছিলাম।এখন আর টুং করলে টাং হয় না। এটা ও টা জানার পর যেটা খেয়াল করলাম এখানে সবার মায়েরা কর্মজীবী। কারো মা স্কুল শিক্ষিকা, কারো মা কলেজের প্রফেসর, কারো মা ডাক্তার,কারো ব্যাংকার।কারো মা আবার পি এইচ ডি ডিগ্রী নিতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন।

এখন সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার মা কি করেন।আমি ত এসব ব্যাপারে ক্রেজি। সবাইকে সোজা উত্তর দেই।বাসায় এসে মাকে বলি, তুমি কি স্কুলে একটা চাকরি নিতে পারো না,আমার সহপাঠী দের মায়েরা কিছু না কিছু করেন।শুধু তুমিই ছাড়া।


শুনে মা কিছু বলেন নি।হেসেছিলেন আমার পাগলামি দেখে।পরে আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম মায়েদের পরিচয় তাদের পেশা বা চেহারায় নয়।মায়েদের পরিচয় তাদের মায়া,মমতায়।বিপদে আপদে সন্তানের পাশে থাকার মাঝে মাকে খুজে পাওয়া যায়।প্রত্যেক বাবার কাছে তার মেয়েরা যেমন রাজকন্যা তেমনি সব ছেলেরাই তাদের মায়ের চোখে রাজপুত্র। সময়ে সময়ে সন্তান হয়ত মাকে ভুলে যেতে পারে বা ভুল বুঝতে পারে,কিন্তু মা সন্তান কে ঠিকই ক্ষমা করেন। এজন্যই একজন মাকে সৃষ্টিকর্তা একটি ইন্দ্রিয় বেশি দেন যাতে করে সন্তানের বিপদ আপদ এর ব্যাপার গুলো আগে থেকে বুঝতে পারেন।মায়েদের এই বিষয় গুলো হঠাত কোন ব্যাপার নয়, বরং চিরদিনেরই

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss