১৪/১৫বছর আগের ঘটনা,ঢাকা কল্যাণপুরের হালচাল পুরোপুরি আয়ত্তে মধ্যে কোনখানের পানি কোথায় ডালতে হয় মোটামুটি জানি,কল্যাণপুর একসময় বিএনপি ঘাঁটি ছিল,ব্যবসার সুবাধে সবার সাথে পরিচয় হয়েছে,কিছু সমবয়সী ছেলে পেলে সাথে ভালো সম্পক হয়ে গেলো,তার মধ্যে আবার কমিশনারের ছোট ভাইও ছিল, তার সাথে আবার আমার খাতির ভালো ছিল,তাদের বাসায় নীচতলা একরুম ভাড়া নিলাম,আমার এপ্রিল ২৯এর বেশির ভাগ দোস্তরা এই বাসায় ঘুরে গিয়াছে,তো একদিন দুপুরে দোকানে কমচারী বসিয়ে আমি বাসায় আসলাম, তখন ঢাকা শহরে পানির সমস্যা বেশি ছিল,কলে পানি নেই বাসার বাহিরে এসে দাড়ালাম,দেখি তিতাস রাসেল, মানিক দাড়িয়ে দাড়িয়ে গল্প করছ,আমি ও তাদের সাথে যোগদিলাম, হঠাৎ দেখি একটি ছাগল রাস্তারর পাশে দাড়িয়ে আছে, ছাগল টা কার জানতে চাইলাম তিতাস বললো কল্যাণপুরে আওয়ামী এর একবড় ভাই মাতবর তার ছাগল,আমি তখন বললাম ছাগলটা খেয়ে পেললে কোন সমস্যা হবে নাকি তারা সবাই বি এন পি করতো বললো না কোন সমস্যা না তখন মানিক করলো কি ছাগলটা কোলে করে সোজা আমাদের রুমের বাথরুমে তিতাস বাসা গিয়ে ধারালো একটা ছুরি নিয়ে এসে বাথরুমের ভিতর জবেহ করে দিল কোন মতে বটি দা দিয়ে ছাগল এর চামড়া ছিলে বড় একটা পলিথিনে সব নাড়ি ভুরি ময়লা সুন্দর করে রেখে দিলাম,গোশত সব আমার রুমে রুমের অবস্তা দেখে আমি তো থ,পুরা ঘর পিছলা,এখন চাল মসল্লাল দরকার সামনের রুম থেকে টাকা উঠালাম,ফ্রি বাবুচী দিয়ে রান্না শুরু করে দিলাম, মানিক রাসেল ময়লার পলিথিন রিকসা করে সোজা কল্যাণপুর খালে রাতে খেতে বসে খালি গোশত পরের দিনও ছাগলের গোশত খা খা কতো খেতে পারবি খাইলেও শেষ হয়না
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
No comments:
Post a Comment