একটা সময় সিড়ির জানালার ( সি টাইপে)বৈদ্যুতিক বালব আর সিঁড়ি র কাঁচ অপারেশন এ আমরা একেকজন "এন এক্সপার্ট হেডমাস্টার" হয়ে উঠি, কাঁচ খুলার জন্য কোমরে সবসময় প্লাস গুঁজে রাখতাম, ফাঁক পেলেই ১ মিনিটের মধ্যেই কাঁচ খুলে ফেলেছি। দেখা যেত কোন সিঁড়ি র জানালায় মাত্র কাঁচ লাগাচ্ছে আর আমরা তক্ক্কেতক্কে থাকতাম, কাঁচ লাগিয়ে যাওয়া মাত্র সে কাঁচ নিমিষেই উধাও করে দিতাম। স্টিল মিল মেইন গেটের পাশের একটি ছবি বাঁধাই র দোকানে মোটামুটি ভাল দামেই বিক্রি করতাম, পরে সাপ্লাই বেশি দেওয়াতে দাম পড়ে যায়, তাই এ বানিজ্য ছেড়ে দেই।
এবার আসি বৈদ্যুতিক বালবের অপারেশনে এটাও শুধু সি টাইপে চলত, আমাদের অপারেশনের কারনে প্রায় সিড়ি সবসময় অন্ধকার থাকতো, এমনকি নিজেদের বিল্ডিং এতএত সিঁড়ির বালব ও আমাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
এক দুপুরে ইকবাল ভাইদের বিল্ডিং (সি ১০) এ অপারেশন চালাচ্ছি আমি জিমি রাশেদের কাঁধের উপর উঠে বালব খুলছি বাকীরা সিঁড়ি তে বসে আছে রিলাক্স ভঙ্গিমায়, দুপুরবেলা কেউ ঢুকবেনা এই আশাতে, ঠিক তখনই সিঁড়ি তে পায়ের খচমচ শব্দ দ্রুত রাশেদ ঘুরতে গেল আর আমিও ভারসাম্য হারিয়ে ফেললাম, আমার একটি পা রাশেদের শার্টের পকেটে ঢুকে পকেট শুদ্ধ ছিড়ে নীচে পড়ে যাই অল্পের জন্য মাথা ফাটার হাত থেকে রক্ষা পাই, আর যে হারামি খচমচ করে সিঁড়ি তে এসেছিল সে হচ্ছে আমাদের ফইটকা টুটুল, এভাবে বিড়ালের মত নি:শব্দে আসার জন্য ওরে অবশ্য সবাই মিলে হাল্কা ধোলাই দিয়ে দেই। মাঝখান দিয়ে রাশেদের (জিমি) সুন্দর একটি শার্ট নস্ট হলো। আমাদের বড় ক্রেতা ছিল ভাই ভাই স্টোর।


No comments:
Post a Comment