Sunday, March 27, 2016

ডিসেম্বর মাস শেষে নানা বাড়ি না হলে দাদা বাড়ী যাওয়া হতো


ডিসেম্বর মাস শেষে নানা বাড়ি না হলে দাদা বাড়ী যাওয়া হতো,৮৮/৮৯ সাল আব্বা একবার আমাদের কে দাদা বাড়ি দিয়ে আসলো ১০/১২দিন পর আবার এসে নিয়ে যাবে তখন আমাদের নতুন বাড়ি তৈরী হচেছ,খাট ছিল একটা কোন তোশোক নেই কাথা বিছিয়ে তোশোক বানানো হতো, বালিশ ও ছিল চারটা,ইলেট্রিকসিটি লাইন নেয়া হয় নি বাড়িতে শুধু দাদী একলা থাকতো,আমরা বাড়ি যাওয়াতে আব্বা দাদিকে চিটাগাং নিয়ে আসলো পাহাড়তলি আমবাগান,জেঠার বাসায় চিকিৎসা করাতে, আমাদের বাড়িতে প্রচুর আম, নারিকেল গাছ ছিল গ্রামের শেষ সিমানায় ছিল আমাদের বাড়ি রাস্তা পাশে,আমি আবার রাতে শোয়ার সময় দুইটা বালিশ ছাড়া শুতে পারতাম না,এই নিয়ে আম্মার সাথে প্রতিদিন ঘানর ঘানর করতাম,বালিশ ছিল চারটা আমরা দুই ভাই একবোন আর আম্মা চারটা হয়ে যেতো, কিন্তুু আমার যে আর একটা বালিশ লাগে,ছোট ভাই রকিবুল তখন ৮/৯ বছরের একদিন শোয়ার পর ছোট ভাইয়ের মাথা থেকে বালিশটা টান দিলাম জোরে এতে বকিবুলের মাথা জোরে খাটের তত্তা মধ্যে বারি লাগলো রকিবুল তো কান্না শুরু করে দিল,আম্মা আমাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দরজা লাগিয়ে দিল তখন রাত মনে হয় নয়টা কি সাড়ে নয়টা শীতের রাত,আমি ও অনেক সময় বাসার সামনে দাড়িয়ে রইলাম মনে করছি দরজা খুলবে,দরজা না খুলাতে শেষ মেষ উঠানের মধ্যে একটা আম গাছে উঠে বসে রইলাম,ডালটা বেশি উচুতে না ভয়ও লাগতাসে কি করবো,হঠাৎ দেখি একটা টচ লাইট এর আলো এদিক ওদিক জলতাসে আর আমাদের বাড়ির পাশে রাস্তা দিকে আলো টা আসতাছে, আমি তো চুপচাপ গাছে বসে আছি, লাইটের আলো গাছের মধ্যে আমার শরীরের মধ্যে পড়লো,আর তো লাইট ওয়ালা চিৎকার শুরু করে দিল এই কে গাছে লাইট মারতাছে আমার শরীরে আমি তো আরো ভয় পেয়ে গেলাম,আমি মিন মিন গলাতে বলি আমি তার চিৎকার শুনে আর দুএকজন আশেপাশের বাড়ি থেকে বাহির হয়ে আগাইয়া আসলো গাছ থেকে নামাইয়া রুমে দিয়ে আসলো,এতো অল্প বয়সে এতো সাহস কি ভাবে পেলাম এখন বুঝতাসি জিদ টা ই সাহস জোগাইছে তাইনা

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss