১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। যদিও আমি তখন এর ভয়াবহতা কিছু কম বুঝছি। সেদিন বিকাল বেলা মাইকিং হচ্ছিল।১০ নং সিগন্যাল। যিনি করছিলেন তার উচ্চারণ নিয়ে আমার আপা, রুবি আপা, বেবি আপা হাসাহাসি করছিলেন। আর আতিক ভাইয়ের একটা ফ্যাশন ম্যাগাজিন দেখছিলেন বারান্দায় বসে।
রাত ১০ টার দিকে কারেন্ট একটু ডিস্টার্ব করেছিল।আমরা ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।রাত ১ টার দিকে শব্দে ঘুম ভাংল।দেখি আমাদের বাসায় মানিক ভাইদের বাসার সবাই সাথে রিনির আব্বা।রিনিরা নানার বাড়িতে গিয়েছিল। বারান্দায় গিয়ে দেখি পানিতে ভেসে যাচ্ছে সব।মানুষের চিতকার।ভয় লাগল।হাস মুরগি গুলো বের হতে পারছেনা।
আমি আবার ঘুমায় গেলাম রিনির আব্বার পাশে।পরদিন দেখি পানি কিছুটা কমে গেছে।রিনির আব্বা পরের দিন রেখা আপা, তার পরিবার আর মৌসুমি কে খুজতে। একেক দিন তিনি একেক জনের লাশ খুজে পান আর কবর দিয়ে আসেন। সন্ধ্যা হলে মন খারাপ করে নানা কথা বলেন।আসলে ওই সময় যারা হারিয়েছে তারাই জানে এর ব্যথা কতটুকু।
পানি ছাড়া, বিদ্যুৎ ছাড়া অনেক গুলো দিন।তারপরেও ভাল লাগত কলোনি র মানুষগুলো একসাথে হয়ছে।শুনেছিলাম আমাদের স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র হয়েছে।কিন্তু সেদিকে আর যাইনি।
অনেক দিন পর পরিবেশ নরমাল হল।স্কুল খুলল। কিন্তু মনে যে আতংক ছড়িয়ে দিল তা সহজে ভোলার নয়।
No comments:
Post a Comment