দোতলার রিমন ভাইদের বাসায় একটা আনন্দলোক এ দেখেছিলাম।তারপর আমাদের বাসার একটা ম্যাগাজিনে। প্রথমে অতটা ভাল লাগেনি। সাল টা ১৯৯১ সালের শেষ দিকে। তারপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে, রিনিদের বাসার একটা আনন্দ বিচিত্রা তে দেখেছিলাম তার ছবি।তখন বছরের শেষে আমাদের বাসায় ভিসি আর আনলে হিট ছবি গুলো দেখতে পেতাম। ১৯৯২ সালে ডিসেম্বর এ দেখলাম দিওয়ানা ছবিটা। দেখেই ভক্ত বনে গেলাম। এরপর গীত, দিল আশনা হ্যায়,দিল কা কেয়া কসুর।চেহারায় একটা নিষ্পাপ ভাব ছিল। তাই হয়ত ভাল লাগত।
এরপর যেকোন ম্যাগাজিনে তার ছবি খোজা। কলোনি তে বের হলে কলি ভিডিও বা মনিকা ভিডিও তে তাকিয়ে থাকতাম তার ছবির পোস্টার এর দিকে। গেইট এর পাশে ইসলাম এর দোকানে বা ভাই ভাই স্টোরে গেলে তার ছবির ভিউ কার্ড।কিন্তু তেমন একটা পেতাম না। সবাই যখন মাধুরী, শ্রীদেবী বা জুহি চাওলার পেছনে ছুটছে, আমি তখন দিব্য ভারতী র ভক্ত। চাইতাম নায়িকা হিসেবে সে সবাইকে ছাড়িয়ে যাক।
কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটল এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ,১৯৯৩। বিকাল বেলা খেলছি, এমন সময় শুনলাম দিব্য ভারতী মারা গেছেন। তখন আমার বয়স সাত কি আট। কিন্তু তার মারা যাওয়া আমার ছোট মনে দাগ ফেলল দারুন ভাবে।অনেক দিন তার মৃত্যুকে মনে হয়েছে ষড়যন্ত্র।
এরপর অনেক নায়িকা এসেছে, আরব সাগরে আছড়ে পড়েছে অনেক ঢেউ।কিন্তু দিব্য ভারতী র জায়গা কেউ নিতে পারেনি।
আল্লাহ যাদের ভালবাসেন তাদের তাড়াতাড়ি দুনিয়া থেকে নিয়ে যান।আবার যারা অল্প বয়সে মারা যায়,তাদের বয়স বাড়েনা। মানেনা, তারা সবার কাছে ওই বয়সের থেকে যান।দিব্য ভারতী ও থেকে যাবেন আমার মানস পটে চিরতরুনী, চির সবুজ

No comments:
Post a Comment