একটু যদি তাকাও তুমি
মেঘ গুলি হয় সোনা
আকাশ খুলে বসে আছি
তাও কেন দেখছোনা
একি আকাশ মাথার উপর
এক কেন ভাবছোনা
২০ দিন হয়ে গেলো চিটাগাং থেকে এসেছি। নো কথা/বার্তা। এই পেজের সবার প্রিয় বোন তো বলেই বসলো, "এখন ভাবির মান ভাংগান"। আরেক আদরের ছোট বোন মাঝে মাঝেই জিজ্ঞাসা করে, "ভাইয়া, সারাফের মার রাগ কমছেনি"। কমেনাই, বরং মেঘ গুলি গুমোট আকার ধারন করছে। রাতে একটু দেরি করেই বাসায় ফিরি, এখন। এড়িয়ে চলাই ভালো।
গতকালও, বাবু ভাইয়ের ফার্মেছিতে আড্ডা মেরে রাত করে বাড়ি ফিরে, বুঝলাম, আজ কপালে খারাবী আছে।
যে কোনো মুহুর্তে, আক্রমন হতে পারে।
কোথায় ছিলে? বাবু ভাইয়ের ফার্মেছিতে একজন ভালো ডায়াবেটিসের ডাক্তার এসেছে, তার সাথে ডায়াবেটিস বিষয়ে একটু আলাপ হলো। তাই নাকি?? ডাক্তার সাহেব কি বললো?? বললো, টেনশন ফ্রি থাকতে, হাটাহাটি করতে, আর বললো একদম রাগ করা যাবেনা।
একদম চুপ, সোজা কথা বলো, তুমি আমাকে চিটাগাং নিলেনা কেন?বুঝলাম, আজ ফাইনাল খেলা!!! মিনমিন করে বললাম, তুমিই তো যেতে চাওনি। তুমি CSM বুঝতে চাওনা, CSM না বুঝলে, গিয়ে লাভ কি?? কোনো কথা বলবেনা, তুমি মনে করেছো, আমি বুঝিনা, আমি দেখতে সুন্দর না, তাই তুমি আমাকে নিয়ে যাওনি। সুরু হয়ে গেলো, আতিকের ইমোশন পানির কথা/বার্তা। তোমার উচিত ছিলো আমাকে বিয়ে না করা। আমিতো জোড় করে, তোমার কাছে বিয়ে বসতে আসিনি। দেখো সারাফের মা, আমিতো তোমাকে পছন্দ করেই বিয়ে করেছি, মনে নাই তোমার, ঐ যে বিয়ের আগে, ঘন্টার পর ঘন্টা, তোমার সাথে টেলিফোনে আলাপ করেছি। কথা শেষ করতে পারলাম না, তার আগেই কান্না সুরু হয়ে গেলো।
না অনেক হয়েছে, এবার সরাসরি কান ধরলাম(নিজেরটা)। আর যদি জিবনে তোমাকে ছাড়া কোথাও যায়, এমন কি মরতেও যাবোনা!!!
বুইড়া!! কাকে বললে?? তোমাকে, আর কাকে, বলেই, আক্রমন করে বসলো।
বুজলাম সুখের দিন শেষ, কাল থেকেই সুরু হয়ে যাবে,"সারাফের বাবা, এখনো বসে আছো?? যাও মশারি ফেলো!!!
আসবে বলে ঐযে দেখো
মেঘেরা দাঁড়িয়ে
আকাশটাকে দেখি চলো
মেঘ গুলি তাড়িয়ে
মেঘের মতো হাটবো দুজন
হাত কেন রাখছোনা
আকাশ খুলে বসে আছি
তাও কেন দেখছোনা।
No comments:
Post a Comment