সকালে যখন আজকের দিনের প্রথম পোষ্টটি দিচ্ছিলাম তখন বউ বলল, েকেনো আমি মানুষকে খোটা দিয়ে লিখছি, কেনো মানুষের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করছি। তারে আমি কি করে বুঝাই এটা কাউকে আঘাত বা শত্রুতার জন্য নয়, এটা পুরো সিএসএম এর আবেগ। তবে আমি শুধু েনেতিবাচক দিক টিই দেখিয়েছি, এখানে আমাদের ইতিবাচক দিকটিই বেশী।
যে বন্ধু টি খুব অল্প বেতনে চাকরী করে নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খায়, সে যখন আমাদের মহৎ উদ্যোগে শরীক হওয়ার জন্য আরেক জনের কাছ থেকে একটি হাজার টাকা ধার নেয় ,তখন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ধনী মনে হয় সেই বন্ধুকে।
যে বোন টি মফস্বলে সামান্য বেতনের চাকরী করে সেখান থেকে পাঁচশ টি টাকা পাঠায়, সেই টাকা কে আমার কাছে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় প্রজেক্টের ফান্ড বলে মনে হয়।
যারা কখনও সি এস এম কি চেনেনা, তারাও যখন আমার এই ভাই বোন দের এক কথায় হাজার হাজার টাকা দিয়ে দেয় তাদের ভালোবাসা কি কখনও মাপা যাবে?
যে ভাইয়েরা দু রাত নির্ঘুম ভ্রমন করে, নিজের সব কাজ ফেলে রেখে চিটাগাং থেকে ঢাকা এসে আবেগ প্রকাশ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা কি এ দুনিয়াতে আছে?
যে বড় বোন টি সারা দিন স্কুল চালিয়ে, সংসার সামলে নিয়ে ছোট ভাইটির জন্য পরম মমতায় নিজ হাতে কাবাব বানিয়ে নিজে ড্রাইভ করে হাসপাতালে ছুটে আসে তাকে কিছু বলার ভাষা কি আমাদের আছে?
যে দুটি ভাই নীরবে প্রতিদিন হাসপাতালে দৌড়াচ্ছে, রুগীর জন্য স্পেশাল জুতা লাগবে ,তার জন্য ঢাকা শহরের এ মাথা ও মাথা করে ফেলছে, তাদের জন্য কোন স্যালুট কি আজো সৃষ্টি হয়েছে?
যে শিশুটি নিজের জমানো সঞ্চয় থেকে দুটি হাজার টাকা দিয়ে আমাদের এই মহৎ কাজে জড়িয়ে যায়, তাকে আমরা কি বলব?
যে ছোট বোন টি কলোনী তে ছিলো দুধের শিশু ে, তাকে আমাদের ভালো ভাবে মনেও নেই, সে যখন আজ তার দুধের শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আমাদের রুগীকে দেখতে আসে, এ ভালোবাসার প্রতিদান কি কখনও দেয়া যাবে?
যে ভাইয়েরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনবরত ভালোবাসায় সিএসএমকে চাংগা রেখেছে, তাদের সম্মান জানানোর উপায় এখনও তৈরী হয়নি।
যে ভাই ২০ ঘন্টা জার্নি করে আমেরিকা থেকে ঢাকা নেমেই হাসপাতালে ছুটে আসে, তাকে কিভাবে সম্মান জানাই?
যে বড় ভাইটি ঢাকা থেকে ৫০ কি মি দূরে খেকে আর নিজের সব কাজ ফেলে রেখে,প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্ম দিন কে ভূলে গিয়ে প্রতিদিন অবিরাম হাসপাতাল হাসপাতাল করছে, সে ভাইয়ের প্রতি কি শ্রদ্ধা জানানোর কোন ভাষা কি আমরা জানি?
এতো আবেগ আর ভালোবাসা, কখনও আমরা বলে শেষ করতে পারবনা।
যারা এখন অনেক বড় বড় জায়গায় আছে, অনেক ধন সম্পত্তির মালিক অথচ শিকড় ভুলে যাচ্ছে, তাদের বলছি, আমরা আপনাদের নিয়ে গর্বিত যে আপনারা সিএসএম এরই সন্তান।আর Mahbub Hasan Liton এর ভাষায় বলতে হয় “এই সব বড় লোকদের কাছে আমরা এক বেলা খেতেও চাইবোনা,অর্থ চাইবোনা, চাইব একটু আদর ভালোবাসা আন্তরিকতা।
No comments:
Post a Comment