পিকচার আভি বাকী হ্যায়।
একজন মানুষ অসুস্থ থেকেও কতটুকু লাইভলি থাকতে পারে তার উদাহরণ তারিক মামা।ঢাকায় মামাকে নিয়ে আসার পর থেকে মামার সাথে আমরা খুব ফ্রেন্ডলি হয়ে গিয়েছিলাম। মামা এমন সব হাসির কথা বলতে পারে,তা যদি কেউ জানতো। খালি আমরাই জানি।মামা আমাদের মতই,ফুচকা, আইস্ক্রীম, চকলেট মামার খুব পছন্দ।মামা যখন ঢাকায় ছিল প্রতিদিন দেখতে যাওয়া না হলেও সপ্তাহে দুইদিন দেখা হত।মামা আমাদেরকে হসপিটালের ক্যান্টিনের পোলাও-মাংস পর্যন্ত ট্রিট দিয়েছে।আমাদের বাসায় মামাকে আনা হয়েছে রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য।মামা পুরা ভিকারুন্নিসা স্কুল কলেজ ঘুরে দেখে বলেছে "গত ছয় বছরে এটা আমার বেস্ট দিন।"
মামা যেদিন চলে গেলো,মনে হলো কেউ কলিজা ছিঁড়ে নিচ্ছে।খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
তারিক মামাকে পচাইনা অনেকদিন,দেখিনা প্রায় দুইমাস।ইদানীং খুব মিস লংকা গান গায়।শিওর লাইফে কোনো লংকা এন্ট্রি মারসে।আমরা একটা বড়-সড় ট্রিটের অপেক্ষায় রইলাম।
তারিক মামা,তোমাকে ভাগ্নী হিসেবে অধিকার নিয়ে আদেশ দিচ্ছি- জলদি আসো।আর ডাক্তার যা যা বলেছে তা করো।একমাত্র তুমি পারো তোমাকে সুস্থ করে তুলতে। জলদি সুস্থ হয়ে উঠো।অনেক ভালো থাকো।

No comments:
Post a Comment