আমাদের শৈশব ছিল মুক্ত বিহঙ্গের মত। স্কুল থেকে এসে বই খাতা বাসায় রেখে নাস্তা করেছি কি করি নাই সোজা মাঠে। C-type এর বড় মাঠে তখন চান্স না পেলেও স্লিপারটা আমাদের দখলেই ছিল। মারবেল খেলার ভেনু ছিল C-3 বিল্ডিং এর সামনে।গোল্লাছুট,লুকোচুরি,সাতচারা,দারিয়াবান্ধা,বোম বাস্টাং,কিংকং খেলতাম।তখন C আর D type এর মাঝের পুকুরটায় গোসল করা যেত। আমি সাতার শিখেছি ওখানেই।আর গোসল করে চোখ লাল করে বাসায় বকা খাওয়া।আম চুরি করতাম স্রেফ মজা করার জন্য।Adventure। চুরি করা আম কখনো খেয়েছি বলে মনে পরেনা।Officer's club এর টেনিস কোর্টে বড়রা ফুটবল খেলতো।আমরা বসে থাকতাম জাম গাছটার আগায়.................................
নতুন কিছু লিখার সময় পাচ্ছিনা তাই পুরান লেখা.....
সম্ভবত ক্লাস টুতে পড়ি। আমরা তখন C-11-Cতে। আম্মা টাকাগুনার সময় ২টা পাঁচ টাকার নোট নিচে পরে গেল। আর আমি কৌশলে পকেটে ঢুকিয়ে ফললাম। পরদিন স্কুল থেকে আসার সময় আমি, রিমন, ভূতের ডিম বাবু, বুড়া মিয়া মিল্ক ভিটার গাড়ীথেকে চকলেট মিল্ক কিনে C-টাইপ মাঠের স্লিপারের নিচে বসে বড় আয়েস করে, খেলেধুলে, মজা করে সাবার করলাম। ঐ দিন তুমান কেন জানি স্কুলে যায়নি। পর দিন তুমানকে ক্লাসে বলাম। তুমান তো রেগে মেগে, শালা আমাকে ছাড়া...দাড়া এখনই আম্মু কে বলছি, আম্মু...।আমি তাড়াতাড়ি তুমানের মুনের মুখ চেপে ধরে বললাম, আরে না না তোকে রাগানোর জন্য বানাই বলছি। জান বাচানো ফরয। আহা সেই বন্ধুরা? সেই সময়?
No comments:
Post a Comment