Wednesday, April 6, 2016

উফফ,কি রোদ আজকে


উফফ,কি রোদ আজকে!!! এত গরম। আর আমাদের বাসাতায় পুরা রোদটা পড়ে। নাহ,এই ঘরে শোয়া যাবেনা,আম্মার ঘরে গিয়ে শুই। একটু পর আব্বা চলে আসবেন অফিস থেকে। 

উমামের চোখে ঘুম নাই। আম্মা তুমি ওরে আনটাইমলি ঘুম পাড়াও, আর আমি দুপুরে ঘুমাতে পারিনা।

হাসিনা গেইটে কে দেখতো? ও খানসুর চাচি? চাচি কেমন আছেন? ভাল, তুমার আম্মা কই? আম্মা শুয়ে আছে ডাকতেসি। আম্মা,চাচি আসছে। রান্নাঘরে ঢুকলাম চা বানাতে। এমন সময় সিদ্দিক চাচি,সাইফুল আমিন চাচিও হাজির। শুরু হল দ্বিপ্রাহরিক আড্ডা। আম্মা বললো, বন্যা আরো লাগবে। চা বানায়ে এসে দেখি রেজা ভাই আম্মাদের সাথে বসে নাশতা খায়। এলোমেলো গল্পের এই অংশটুকু সত্যি। রেজাভাই একটু খেয়েই প্লেট থেকে কয়েক কোয়া কমলা আর কয়েকটা বিস্কুট নিয়ে উঠে দাঁড়ালে আম্মা বললো রেজা চা খেয়ে যাও। রেজা ভাই বলে না চাচি রোগি দেখে আসি। আম্মা বলে রোগি কে? রেজাভাই বলেন তিনতালার অপু(মোল্লা অপুভাই)। কয়দিন ধরে জ্বর,দেখে আসি। খালি হাতে ত যাওয়া যায় না, তাই বিস্কুট, কমলা নিয়ে নিলাম। চাচিরা হাসতে লাগলো।


হাসিনা এসে আমাকে বলে ভাবি, বাবুরে বাইরে নিয়া যাই? বললাম দাড়া কাপড় পাল্টায়ে দেই। ও মাঠে গেলো। আমার চোখ তখন সামনের এই মাঠে। একটু পর প্রথম ঢুকলেন সাইফুল আমিন চাচা। উমামার কাছে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত রেখে আদর করলেন। এরপরে দুইজন সিদ্দিক চাচা আর কাশেম চাচা। কাশেম চাচার খুব ভক্ত উমাম। চাচাকে দেখে সে চিৎকার কাক্কাস নানা আসছে। কাশেম চাচাকে সে ডাকতো কাক্কাস নানা।চাচা ওকে ঘাড়ে তুলে নিলেন।
দেখসো সাড়ে চারটা বেজে গেছে,আমার ক্লাস আর দুই তি মিনিট পর। ছবি একটা দেখে ওখানেই ডুবে গিয়েছিলাম। আহা

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss