24/06/2016 ইং তারিখে ইফতার পার্টি নিয়ে-শ্রদ্ধেয় মোছাদ্দেক ভাই, আতিক, নাজমুল, জসিম, শিরিন ভাবী, টিটু শিকদার ও আরও অনেকে অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চাঁদপুরে-ধনী, গরীব ছোট-বড় সবাই এক কাতারে মিলে যে বিনা সুতার মালা তৈরী হয়েছিল-তা কি? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলে-শুধু একটাই উত্তর আসে আর তা ‘‘হলো-মায়া”/‘‘মায়ার-বন্ধন”।
পৃথিবীকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়-ধরনী তুমি কিসের টানে বেঁচে আছ? সে হয়তো বলবে, কেন, তোমরা জাননা বুঝি- আমি মহা শূন্যের মায়ার টানে বেঁচে আছি। আমরা মায়ের গর্ভে যে ভাবে 10 মাস 10 দিনে তিলে তিলে বেড়ে উঠি-ঠিক তেমনি আমাদেরও িএকটি সবুজ বেষ্টনি ঘেরা গর্ভধানীছিল-তার নাম সিএসএম কলোনী। যার রূপ রস গন্ধ আলো বাতাস খেয়ে আমি-আমরা বড় হয়েছি প্রায় দীর্ঘ 35 বছরেরও বেশী। যা আমাদের কাছে-মহামান্নিত অতীত আর গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্যের ভাস্কর-এখানকার কৃতি সন্তানেরা প্রমিথিউসের মতো আলো জ্বেলেছেন ঘরে ঘরে এবং নন্দীত হয়েছেন বিশ্বের অনেক জায়গায়। এই সিএসম এম কলোনী টা-আমার ছিল-আমাদের ছিল, তাই এর কোন ষ্টিলারের সমস্যা মানে আমার সমস্যা-আমাদের সমস্যা। তদ্রুপ কোন ষ্টিলারের সুখ মানে আমার সুখ-আমাদের সুখ। কাল ইফতার পার্টিতে কয়েক জনের সাথে আলাপ করে আমার মনে হলো-পৃথিবীতে একেকজনের ইচ্ছা একেক রকম। আমার ইচ্ছার সাথে আরেকজনের ইচ্ছার মিল নাও থাকতে পারে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে যারা এসে ছিল-তারা প্রায় সবাই স্ব স্ব জায়গজায় সু প্রতিষ্ঠিত। তাই যে কোন কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে-দশ জনের দশ মতামত কে সবাই মিলে পর্যালোচনা করে-যে কোন সুন্দর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। হঠাৎ করে দুই একজন মিলে তাদের মতামতকে সবার উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ সিএসএম পেইজ কে আমারা যন্ত্রণার জায়গা বানাইতে চাই না। তাই সকল ষ্টিলারকে তিল তিল করে অন্য ষ্টিলারদের কল্যাণ সাধনে দ্রুত মনকে প্রস্তত করতে হবে, তা হলে একদিন দেখা যাবে আমরা যে কোন ষ্টিলারের সংকট ময় মুহুর্তে হয়তো সবচেয়ে বেশী কল্যাণ সাধনে সফল হবো।
কয়েক দিন আগে কয়েকজন জুনিয়র ভাই-আমাকে নিয়ে যে নাটকটা করলো- মনে বড় দুঃখ পেয়েছি। একজন আমাকে অন্য এক পেইজের এডমিন বানালো এবং এই সুযোগে আর একজন বয়ান করলো-নিজের পিঠে ময়লা রেখে আর এক জনের পিঠের ময়লা চুলকানোর আমার এত খায়েশ কেন? সেই থেকে পেইজে লেখার খায়েশ আমার মিটে গেছে। তারপর দেখলাম-কয়েকজন ভাই/বোন উড়তে শেখা পাখির মত নীড় ছেড়েছে। অনেক কষ্ট নিয়েও আমারা অনেকে নীড় ছাড়িনী। আমরা খুব ভালো করে জানি-নীড় ছাড়লে আমার বা পেইজের কিছু আসে যাবে না তবুও অন্তরের অন্তস্থলের কোথায় যেন একটু নরম জায়গা আছে, যা আমাকে পেইজ ছাড়তে দেয়নি। এটা এক অনন্য অনুভুতি। লাভ এন্ড হেট। ভালবাসা আর ঘৃনা। খাত মেশানো সোনার মত ভালবাসা এবং ঘৃনার এক অদ্ভুদ মিশ্রন ঘটে কোন কোন মানুষের মনে।
মানুষের সমস্ত প্রয়োজনকে দূরহ করিয়া দিয়া প্রকৃতি মানুষের গৌরব বাড়াইছেন। পশুর জন্য মাঠ ভরিয়া তৃণ পড়িয়া আছে-মানুষের অন্নের জন্য প্রান-পন করিয়া মরিতে হয়। এই কষ্ট করিয়া অন্নমুস্টি আমাদের গৌরব। আত্মরক্ষার উপায় সঙ্গে লইয়া মানুষ ভুমিষ্ট হয় নাই-মানুষকে অনেক কষ্ট করিয়া এবং সমাজ বদ্ধ হইয়া সব অসম্ভবকে সম্ভব করিতে হয়। এই কথাটি মনে রাখিয়া আমরা সঙ্গবদ্ধভাবে মানব কল্যানে ঝাপাইয়া পড়িব।
No comments:
Post a Comment