ছোট ছোট গোলাকার মারবেলের তৈরী বল দিয়ে খেলা হয়। মারবেল খেলা কয়েক ধরনের হয়। আন্টিস, চম্পা, বাত এদের মধ্যে অন্যতম।
মারবেলও বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন বর্ণের হয়। ভিতরে রঙ্গিন কাজ বিশিষ্ট মারবেল গুলোর নাম ছিল "পাঙ্কিল"।
আন্টিস- মুলত আঙ্গুল দিয়ে খেলতে হয়। (তাই হয়ত এই নাম)। ছোট একটা গর্তকে কেন্দ্র করে খেলাটা চলে। গর্তটার নাম "কেপ"। একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব থেকে সব খেলোয়াড় কেপের দিকে তাদের "ডাগ্গি" ( সব চেয়ে গোলাকার, সুন্দর মারবেল, যেটা দিয়ে মুলত খেলা হয়, বাকি গুলা exchange এর জন্য) নিক্ষেপ করে। যারটা কেপের সবচেয়ে কাছে সে প্রথম মারার সুযোগ পাবে। এরপরের জন দ্বীতিয়, তারপরের জন তৃতীয় এভাবে..। বুড়া আঙ্গুলটা মাটিতে রেখে মধ্যমা দিয়ে কেপ করে অন্যের মারবেল ঠুকতে হয়। যার মারবেল ঠুকা হবে সে একটা মারবেল যে ঠুকবে তাকে দিয়ে দিবে। এভাবে চলতে থাকবে যতক্ষন একজন বাদে অন্যরা ফুতুর হয়ে যাবে। অনেক সময় সমঝতার মাধ্যমে যে কোন সময় খেলা শেষ করা যায়।
টান নেওয়ার জন্য অনেকে একটা মারবেল ঘষে ঘষে ছোট বানিয়ে ফেলত। যার নাম ছিল "চুঁই"। এই চুঁই কেউ হারাতে চাইত না। কখন হারালে পরে অনেক মারবেলের বিনিময়ে হলেও সেটা ফেরত নিত।
ভেনু- আন্তর্জাতিক ভেনু- C-3 এর সামনে। লোকাল ভেনু- তারিকদের বিল্ডিং(C5 না C6 ভূলে গেছি)এর পাশের শুকনা ড্রেন, C-10 এর পাশে, পেছনে, C2 এর পিছনে।
খেলোয়াড়- যতদুর মনে পরে আন্টিসে চ্যাম্পিয়ন ছিল ডালিম। ওরা তিন ভাই (শিপন, ডালিম, জাম্বু) সবাই ভাল মারবেল খেলত। ডালিম আর মনিরুল ছিল সার্বক্ষনিক (স্কুল ফাকি দিয়ে)খেলোয়াড়। টিটু ভাই, টিংকু, রতন, বুড়া মিয়া, তারিক,
বিপুল, পলাশ, তপু, তুহিন, দুলি, সমু, হুরায়রা, রানা, বাবু কে খেলে নাই মারবেল!
মাঝে মাঝে কয়েকজন মিলে গ্যাং বানাতাম। সবার লাভ করা মারবেল একজনের কাছে জমা রাখতাম। কখন গ্যাং ভেঙ্গে গেলে সেই মারবেল আর ফেরত পেতামনা।
মারবেল হার জিতের খেলা। যে মারবেল হারাত তার অনেক কষ্ট হত। যদিও এক টাকায় ২০ মারবেল পাওয়া যেত, তখন এক টাকারও অনেক দাম। এটা বুঝতে পেরে হয়ত টিটু ভাই একটা নতুন ধরনের আন্টিস খেলা আবিষ্কার করছিলেন। যেটাতে মারবেল হারাতে হত না। নাম ছিল সম্বভত "হুকন্তি"। খেলাটা অনেক জনপ্রিয় হইছিল।
দুঃখ লাগে আমার শৈশবের ছিটে ফোটাও আমার বাচ্চাকে দিতে পারছি না........
No comments:
Post a Comment