Tuesday, April 19, 2016

১৯৯১ সালের ২৮ শে এপ্রিল


সকাল থেকে হালকা বাতাস হচ্ছে। বিকাল হতে হতে বাতাস বাড়তে থাকে। টিভিতে বার বার সতর্ক করছে। কলোনি মানুষজন খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে না। আমার।আব্বা ছিল csm মেডিকেলে।আস্তে আস্তে বিকাল শেষ হয়ে সন্ধ্যা নামল। বাতাসের গতিও বাড়তে লাগল।আমার বোনের ( সেলি আপা) ছিল এস এস সি পরীক্ষা। হাতে মোম আর ম্যাচ নিয়ে পড়তে বসে ছিল। কারন কারেন্ট একবার আসতেছে একবার যাচ্ছে। আমার বড় ভাই ( জসিম ভাই) আপাকে বলছে জীবনে পরীক্ষা অনেক দিতে পারবি কিন্তু এই দৃশ্য আর নাও দেখতে পারিস।সিড়িতে দাড়িয়ে বাতাসে গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ছে তা দেখাচ্ছে। ছোট ছিলাম বলে খুব ভয় পেয়েছিলাম আর বারবার আব্বার জন্য খারাপ লাগছিল আব্বার মুখটা ভেসে উঠছিল আর কান্না পাচ্ছিল। এরপর বড় ভাই যখন আব্বার জন্য খাবার নিয়ে মেডিকেলে গেল তখন আম্মার সেকি টেনশন। দোয়া পড়ছে আর বাইরে তাকাচ্ছে। 

অবশেষে বড় ভাইয়া বাসায় আসার পর শান্তি। আব্বাও ভালো আছে। এরপর বাতাস আরো বাড়তে লাগল সাথে সাথে বাতাসের সাথে বাতাসের ভয়ঙ্কর। শব্দ। তারপর রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি। ঘুমতো আসছেনা।শুয়ে শুয়ে দোয়া পড়ছি। হঠাৎ শুনি দরজায় কে যেন নাড়ছে। বড় ভাই দরজা খুলল দেখলাম তিন তলার দুই পরিবার নিচে চলে এসেছে। বাবু ভাইরা আর রুমিরা।যাহোক ওনাদের দেখে মনের ভয়টা অনেক টা দুর হল।এরপর বাবু ভাই আর আমার বড় ভাই তিনতালায় গিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে আসল। সবাইমিলে গল্প করছে এমন সময় সামনের বারান্দায় পানি আসল ভাবল হয়তো ড্রেন ভরে গেছে তাই পানি ঢুকছে। দরজা খুলে যেই দেখতে যাবে অমনি ভরভর করে পানি ঢুকতে লাগল।

( চলবে)

No comments:

Post a Comment